আমার ভুবনে আমি একাই বাসিন্দা
মৃত সবে আমি একাই জিন্দা।
প্রতিবেশী ভুবনের সবাইও ঘুমন্ত
কাল হতে কালন্ত।
পারিনা কারো জাগাতে
দিবস কিম্বা নিশুতি রাতে।

পারি না কারো বোঝাতে মোর ভাষা
হৃদয়ের মাঝে ব্যথাগুলো পাথরের মত ঠাসা!
প্রকৃতিও এক আলাদা ভুবন
এর কোন শোভা ছোঁয় না কারও মন।
সূর্যের আলো পৌঁছে না ওদের প্রাণে
বাতাসের ঝিরি ঝিরি ছন্দ শোনে না কানে।

জানি না ডুবে আছে কোন্ নেশার ঘোরে
কোন্ বীণায় ভাঙবে ওদের নিঁদ বিষন্ন ভোরে।
আকাশের কাল মেঘ, আর বারি বর্ষণ
করে না কভুও ওদের চিত্তাকর্ষণ।
অনুভূত হবে না কবে শামিল হবে শেষ ঘুমে
চঞ্চলতা পড়ে র'বে, ডুববে আঁধারের ভূমে।

চপলা ঝর্ণা দেখেও হৃদে জাগে না স্পন্দন
তমশায় কাটে প্রহর, প্রাণে প্রাণে নেই বন্ধন।
পহাড়ের উচ্চতা ভাবিয়ে তোলে না
সাগরের বিশালতা ওদের চোখ খোলে না।
শীতল হয়ে গেছে উষ্ণ রক্ত
বৃথা চাঁদ সুরুজ পার করে অক্ত।

হেথা শুধু বৃথা ফুল ফোটে
বাতাসে ভর করে মৌমাছি ছোটে।
কখন পাখিরা গায় গান
শুনতে পায়না কারও কান।
কখন গাছে গাছে শুকনো পত্র ঝরে
আবার কখন সবুজে সবুজে ভরে।

আমিই শুধু একা জেগে দেখি
একেলা পড়ি আর  লেখি।
চারদিক এত কোলাহল
দিবা-রাত কৃত্রিম আলো ঝল মল।
বাতাসেরা দিয়ে যায় নাড়া
পাইনা মানুষের সাড়া।

নিজ গতিতে চলে পশু-পাখি
পাতা আর ফুলে সাজে শাখী।
মেঘেরা কত রং ছড়ায়
নদীতে কত জল গড়ায়
কেউতো পারে না এসব দেখিতে
অনন্ত নিঁদ শুধু মানুষের চিতে!


রচনা : ২২.০৩.২০০৭ খ্রিঃ