কোন এক কালি ঘাটে কাল পুজো করে
মা আদরিনী দেবী
সবার গায়ে শান্তির জল ছিটিয়ে দিলেন।


বললেন, শান্তি, শান্তি আর শান্তি।
গায়ে পচা মাংস নিয়ে যে দাঁড়ালো
এই কুমারী আদরিনী দেবীর চারদিকে।
সেও পেল শান্তি নামকরনে,শান্তির ছায়া।
হৃদয়ে  ক্রমান্বয়ে বর্ধিত বকবকা গন্ধ নিয়ে
দাঁড়ালো  যে পরীক্ষিত পশু।
বগলে ছুড়ি লয়ে সেও পেল  
মায়ের শান্তির পরিচয়পত্র ;
আর পরম সহজলভ্য
শান্তির ছুয়া।
বলতে গেলে একটু বেশি ই পেল সে।
মায়ের আদরের চোখ যে তার প্রতি একটু বেশি।


হোক না সে রক্তপিপাসু,হোক না সে গিরিগিটি বাজ
তবু মায়ের জয়ধ্বনী করে যে সে।
তবু মায়ের সিংহাসনের নিচে মাটি যে দেয় সে;
ভোটের মাটি।
মায়ের নামে মায়ের রক্তের স্বাদ
প্রকাশ্যে বা গোপনে সে নিচ্ছে,
নিবেও ভিন্ন দেহ হতে।
তবু মায়ের জয়ধ্বনী আজো বেচে তো আছে!!!!


তাই মা আদরিনী
শকুনের উপর শান্তির জল ছিটিয়ে,,,
নাম দিলেন শকুন শান্তি।
শিয়ালের উপর শান্তির চাদর বিছিয়ে,,
তার নাম দিলেন শিয়াল শান্তি।
সর্পের মাথায় শান্তির টুপি লাগিয়ে
তারও নাম দিলেন সর্প শান্তি।
মীরজাফরের নাম বদলিয়ে বললেন
এ  শান্তির ফেরিওয়ালা।
সকল চাপাতি,দা,হকিস্টিক
ঢেকে দিলেন পুষ্পে পুষ্পে।
আর তার উপর শান্তির জলের
প্রলেপ দিয়ে আরতি আরিতিতে বলেই যাচ্ছেন
এ শান্তির বাদ্য-বাজনা।
শান্তির বাজনা।


ওরে কে কোথায় আছিস,,,
পালা!পালা,,,!!
শান্তি বাহিনীর শান্তির জল
আর যে
চাই না! চাই না।।
এবং চাই না।
----------------------------------------------------
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস


( প্রতিবাদেও যারা ধর্মের চেহারা খোঁজে  পায়,দয়া করে আপনারা আমার লেখা পড়বেন না।)