যখন পাড় ভেঙ্গে রাজপুত্রের মত
নদীর ঢেউ গুলি চলে যায় সম্মুখ দিয়ে...
মনে পড়ে কি আলী শেখ? তুই আর আমি একসাথে..
পঙ্খীরাজ মাছের ডানায় কত সাঁতার কেটেছি সেথায়।
তীরের তিল ভেদ নিশানায় যে বজ্রাঘাতের সাথে
মাটিমুখি  হয় বাদল বর্ষার।...
সেথায় তোর আমার কৈশোরের পা চারটি
আজও খোঁজে ডাকহরকরার চিঠির মত!
তোর আর আমার একসাথে টকি না দেখলে যে
আজও গ্রামের মেলা মেলাই হয় না।
বিলের মাঝে আজও মাছ ধরার উজান বও
তুই আর আমি একসাথে
ভাগাভাগি করে মাছ ধরব বলে।
আমার বধু সতীলতা একটা রুমালে তার চুল সুতায়
লিখেছিল আলীশেখ ঠাকুরপো...
তোকে দিবে বলে আজও হাজার বার বের করে
আবার কোটিবার ভাজ করে।
অথচ তুই আর আসিস না...
এই নিত্যানন্দের বাড়ির পাশে যে
একটা খেজুর গাছ আছে...
রমজানের মাসে যে সেথায় খেজুর পাকে
তা দিব্যি ভোলে গেলি।


আমার যে তোর বাড়ির ওই পাগলা ষাড়টায় বেশ ভয়!
৪৭ টি গুতো আর ৭১ টি লাথি খাবার রক্তাক্ত ভয়!
কেবল তাই বুঝি আজও তোর মনে আছে?


কি বোকাই না তুই !
কত কষ্ট করে ষাড়টাকে পাঠালি আমার কাছে...
ধ্যোত পাগলা আমাকে বলতি
আমি এই বড় থালায় সাজিয়ে নিয়ে আসতাম
আমার সবুজ লংগদুর উদ্যানটা তোর ষাড়ের কাছে।
কি দরকার ছিল জনসম্মুখে এবার
দু হাজার সতেরটা লাথি গুতো খাওয়াতে?