সভ্যতার সভ্য আচরণের সূযোগে
আরও অন্ধকারময় হয়েছে এ অতিরিক্ত বিশ্বাস।
মানুষের কাছে মানুষকেই করেছে
পশু উন্মত্ত জানোয়ার।
ধ্যানের মোহাচ্ছন্য বন্দনার নামে  
রক্ত খেলার আভিজাত্যতা নিয়েছে ন্যায় করে।
আশ্রিত হয়ে আশ্রয়দাতা ব্র্হ্মাকেও
জবাই করতে চায় ওরা!
সুন্দর একত্রিত পৃথিবীকে চায় পাঠাতে
অনৈক্যের রঙ্গশালায় ব্যবধান সূত্রে।


ব্যবধান তাদের মানবতায়; মানুষের সাথে মানুষের।
ব্যবধান তাদের নারীত্বে;
ভোগ্য স্বম্পত্তি আর মাংস জ্ঞানে।
ব্যবধান তাদের খাদ্যাভ্যাসে;
নির্মম শাস্ত্রে জ্ঞানি আর ভিন্ন গোত্রাভ্যাসে ঘৃনা বোধে।
ব্যবধান তাদের পরমত সহিষ্ণুতায়;
পরচর্চা, নিন্দা আর বলপ্রয়োগে করায়ত্ব বোধে।
ব্যবধান তাদের সভ্যতার চর্চায়;
অহংবোধ আর ভিন্নজনে সমতুল্য মানব অচিন্তনে।
ব্যবধান তাদের জাগতিক চেতনায়;
সবকিছু ওই অন্ধ হাতুরঘরে ঢুকিয়ে।
ব্যবধান তাদের ভালবাসায়;
দাওয়াত আর আপনার দলভারীর আয়োজনে।
ব্যবধান তাদের সহাবস্থানে;
ভিন্ন ধর্মের ভিন্ন বিশ্বাসের ধ্বংস আর
ভিন্ন জনের সামাজিক কতল আয়োজনে।
ব্যবধান তাদের পারস্পরিক জীবনচর্চায়;
সবকিছুতেই তার দাবী তার প্রথার প্রয়োগের শক্তিবলে।
ব্যবধান তাদের ভুষণ বেশনে:
অন্যের স্বাধীনতায় নিজের লিঙ্গ চেতনা জাগিয়ে দিয়ে।
ব্যবধান তাদের জ্ঞান গরিমায় ;
গাজার গল্প আর মুর্খতাবৃদ্ধি শিক্ষন সনদপত্রে।
ব্যবধান তাদের যৌনতার বাগানে;
সর্বভোগ্য , বর্বরশক্তিতে বংশবৃদ্ধির কলে।
ব্যবধান তাদের প্রাত্যহিক কর্মে;
খুনী আর জান্নাতলোভি সমায়োজনে।


ঐক্যতা কেবল শুন্যের নামে;
জগন্য,বর্বর,অসভ্য অমানবিক কর্মে উপস্থিথির
দৈহিক ও মানসিক অবস্থানে।