(সরল কাব্য )



যারা একের পর এক কালো হাত ঢালে
সভ্যতার উপর অতি অভ্যস্থ শিক্ষায়...
তাদের কে তুমি সন্ত্রাসী বলতে পারবে না আজও।
ধৈর্য ধরে ধরে প্রাণের কম্পন হাতে নিয়ে
অপেক্ষা করতে হবে আগামি কালের জন্যে।
কবে হায়েনা অসভ্য দন্তে লন্ডভন্ড করে দিব সব।


তার আগে ওই হায়েনা
নিরাপদ অভয়ারন্য পেয়েছে যেথায়....
সেই আলয় তার বেহেস্ত যাত্রায় অতি গর্বিত।
তার সম্মানে আরও সম্মানিত হওয়ার উন্নত নাসিকা।
তাদের সাথেই উঠা বসা,
গলা গলি , পথ চলা একই বিশ্বাস নিয়ে।
একই চেতনায় আত্ম পরিচয় আত্মার উঠোনে।


ওদের তুমি জঙ্গি বল,
ভঙ্গি সহসাই বদল করে ফেলে উম্মার সকল সিপাই।
বাক্য তীরে বেদনার জোরে
ওদেরই প্রশংসা করে যায় সবাই।
সবাই দাড়ায় তার পেছনে...
যে হায়েনা শকুনের পথে।
মিথ্যে আচরণে সব করে যায় অস্বীকার
যত তারা করে অন্যায় ব্যাভিচার।
কোথাও কোন চাপাতি চলে নি,
হয়নি বাশখালি কিবা জকিগঞ্জ।
সবই মিথ্যে প্রচারনা,ইতিহাস বদলে দেবার
ঐচ্ছিক শপথ।
সব কিছু ঢেকে দিয়ে মিথ্যার বেশ্যামিতে...
বড় গলায় ভাষণ বাড়ায় হায়েনা শকুন ঢাকিতে।
সবাই তারা ভাইভাই পথের সহচরি..
নানান ভাবে নানান সুরে একে অপরে রক্ষা করি।
খেলাফতের তরে  গান ধরি উম্মার...
না না, হেথায় কোন সন্ত্রাস নেই ,
নেই ব্যাভিচার
ইনোসেন্ট মানুষ হত্যার নাই অধিকার।(?)


যখনি হঠাৎ লন্ডন হামলা হল, হল প্যারীস ব্রাসেলস নানান ক্ষনে নানান ভাবে একই ডিমের শাবকে।
রব উঠিল আহা...ওরা উম্মার কেহ আজ নহে
ভোলে যাও সব
কি ছিল পিরিতি সবার
তাদের সাথে?
ওদের হয়ত হায়েনা বলতে উম্মাই দিয়েছিল বাধা
আসলে সব কিছু নাসার কাজ...
পশ্চিমার তৈরি গাধা!!!


ইনোসেন্টের সংজ্ঞা তাই বদলে গেল বেশ..
হায়েনারা আজও ধার্মিক আছে
খেয়ে আলয়ের সন্দেশ।
শকুন রক্ষার কায়দাটা উম্মার জানা আছে বিশেষ...
সকল চা পাতি, আত্মাঘাতিতে দাও অট্টহাসি
ভোলাতে বালুর নষ্ট ইতিহাসের রেশ।