সুরাইয়া....
নামটা কেমন জানি মিছকিন মিছকিন টাইপের!!
তারপরেও তুমি কেন গিয়েছিল ওদের দুয়ারে?
ও আচ্ছা ,তোমার বৃদ্ধ পঙ্গু বাবার সংসারে ভাতের
খুব দরকার!
ছোট নাবালক ভাইটার একটু গুরের পানি!
কী উচ্চাশা তোমার?
কী গো তোমাদের দেশে ভিক্ষাবৃত্তি হয় না?
শুনেছিতো মাজার দরবেশ আউলিয়ার আস্তানায়
দানের টাকা উইপোকায়ও খেয়ে শেষ করতে পারে না?
তাহলে তোমার একটা পতিতাবৃত্তিও মিলল না?
ভিক্ষার চেয়ে পতিতাবৃত্তি যে ভাল।


কী স্বপ্ন ছিল তোমার,,,,!
আরবের দেশে আসি সারাদিন গতর কেটে
সন্ধ্যাবেলা একটু আয়নার সামনে বসবে।
রিক্সাচালক রহিম শেখের বেটা সালমান শেখ
সেই কোন কালে তোমার হাতে একখান আয়না ধরিয়ে বলেছিল ...খুব মায়ালাগে রে তোরে খুব মায়া।
কিন্তু তোমার মাথায় তো আর চুলই নেই সুরাইয়া...
সারা রাত যে আরবের অসভ্য যৌনবিকারতায়
তুমি একটা গৃহ বেশ্যা, আর তোমার চুল গুলো প্রতিরাতের এক একটি যোনিপথ।


ওই সালমানের আয়নায় দাড়িয়ে চুল হীন মুন্ড মস্তকের কী আর দেখবে সুরাইয়া।
তোমার চোখের কান্না?
তোমার লিপস্টিক হীন রক্তাক্ত ঠোট?
নাকি সমস্ত দেহে হায়েনা পিতা পুত্রের দন্ত চিহ্ন?


সুরাইয়া ভেঙ্গে ফেল এই আয়নাটি...
বালুর দেশে এ বড় বেমানান?
কসাইয়ের দোকানের মাংসের ঘ্রান
তোমার নারীত্ব গায়ে।
এখানে তুমি মানেই এক মিসকিনের কন্যা..
আরও ভোগ্য! আরও গণিমতির মাল!!


তোমার চোখের জলের ছুয়ায় ছুয়ায়
ওদের মরুভুমির তপ্ত বালু একটু ঠান্ডা হয়।
তোমার বিবস্ত্র দেহে ওদের পশুত্বের একটু নীরিক্ষা হয়।
আর তোমার ঠোটের রক্তাক্ত মানচিত্রে
ওদের ঐতিহ্যের হাল্কা একটু বর্ণন হয়।


এতটুকু তো সহ্য করতেই হবে সুরাইয়া..
এক থালা গরম ভাত
এর চেয়ে আর সস্তা হয় না!
কান্নাকাটি করলে তোমার পঙ্গু বাবার
পা কি ভাল হয়ে যাবে?
পিতা পুত্রের গৃহ পতিতা না হলে
তোমার ভাইয়ের কি গুরের পানি জোগার হবে?
হবে না সুরাইয়া...হবে না।
চিৎকার করে কাদলেও হবে না...
তুমি যতই কাদবে, যতই হবে অসহায়
ঠিক ততই তোমার দেশ থেকে
উড়োজাহাজ ভাড়া করে আসবে মানুষ..
আসবে আরবের মাটি  পবিত্র ভাবনায় ।


কাজল ভেজা জলে তুমি একবার কালো হবে
আবার চিৎকার করবে , আবার কাজল লাগাবে!
কে শুনবে বল তোমার এমন চাপা কান্না?


আজ কাল মাইক না লাগালেরে পাগলি
ঈশ্বরও শুনে না।