(লন্ডনের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দগ্ধ বোন রানিয়া ইব্রাহিমের ভিডিও টা দেখেছি, আর চোখের জলে ভেসেছি। সত্যি আমরা কত অসহায়।
লন্ডনের এত উন্নত ব্যবস্থা থাকার পরেও কেন রানিয়া ইব্রাহিম কে তার দুই কন্যা সন্তান সহ এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হল? )


বাইরে যমদূত
অনল রূপে দাউ দাউ করে গিলছে দালান।
ভেতরে প্রচন্ড ধোয়ায় নাসিকা বায়ু
করছে গ্রাস মরন বাজ পাখি।
সম্মুখেই নিশ্চিত পরকাল যাত্রা
এ দুনিয়া থেকে
আবদ্ধ মরণ বেড়াজালে।
বাহু বন্ধনে দুই শিশকন্যাকে জড়িয়ে বলল
সভ্যতার জননী রানিয়া ইব্রাহিম সজল নয়নে।
মা-রে আমরা চলে যাচ্ছি এই দুনিয়া ছেড়ে
এই তেইশতলা দালানের চেয়েও আরো উপরে...
নিচে আমাদের তরে আর কেউ নেই
মা-রে..
কেউ নেই এই ধরাতে!
শুন মা...প্রথমে একটু কষ্ট হবে...
শ্বাস কষ্ট হবে খুব। চোখ জ্বলবে ...চুল পুড়বে;
ধীরে ধীরে পুসকা উঠবে গায়।
ওই লেলিহান অগ্নি শিখা
ধীরে ধীরে আসবে আমাদের কাছে ....
প্রচন্ড জ্বলনে পুড়ে দিবে
আমাদের এই দুনিয়ার শরীর..
একটুও ভয় পাবে না তোমরা , কেমন?
আমি তো আছি তোমাদের সাথে।
মা যে তোমাদের সাথেও পুড়বো
এই অনল স্নানে।
চোখ বন্ধ করো মা..
তপ্ত গরমে বন্দি গৃহে
আগুন বরণ করতে যাচ্ছি আমরা।
আল্লাহর কাছে যাচ্ছি এই খেলনা দেহ পুড়ে।
সেথায় আমরা আবার ঘুম থেকে জাগব
আজকের এই রাত খানা পোহালেই।
কেঁদো না কেঁদো না মা..
দেখ না, বাইরে কোন ক্রন্দন নেই আমাদের তরে।
হাতের খেলনাগুলো বরং ফেলে দাও
জ্বানালা দিয়ে মাটিকে ইচ্ছেমত ছুঁতে।
চারদিকের সব পুড়ছে মারে...
চুপ থাক
এখনি পুড়বো আমরা এক সাথে..।
শুধু একবার মা বলে ডেকে
আস আমার বুকে...
করুনা করে
একবার শুধু চুমু খাও
এই হতভাগী মায়ের কপালে।