তুমি মসজিদে যাচ্ছ, সালাম লহ হে মুমিন
তুমি মন্দিরে যাচ্ছ, নমস্কার লও হে ধর্ম প্রবীণ।
ভালবাসা লহো প্রাণ ভরে......
আমাকে রেখে যাও শুধু আমার মাঝে,
মানব হইয়া মানবেরেই যাই খুজে!


শুধু তুমি করো না সংহার প্রাণ ; অস্ত্র হাতে,
দূর্বলের উপর দেখাইও না বল ত্রিসীমায় থেকে।
নিরীহ শাবক নিয়ে খেলো না পাশা, নাস্তিক সম্বোধে,
ঘৃনার চাষ করিও না পরচর্চা অভ্যাসে...
হিংস্বার সলিতায় জ্বলিও না সদা নরক ক্রোধে।
ব্যস্ত থেকো না অপরের ত্রুটি প্রচারে/
করিও না ছোট ভিন্ন বিশ্বাস.
ধর্মের আত্মঅহংকারে।
সম্মান যদি দিতে নাহি পার অন্য আলয়ে
অসম্মান করিও না কভু তারে, আপনার প্রচারে।
বিচারের ভার নিও না কাঁধে অপরের ধর্ম গ্রন্থে
শিক্ষক হয়ে যেও না তুমি পরের ধর্ম চর্চা নিত্যে।
ভুলেও কভু ধার্মিক হয়ে করো না কতল প্রাণ্
বোমাবাজ সন্ত্রাসে থাকিয়া মৌন
গেও না সম্মতির গান।
আপনার গোত্রের তরে কাদিবার আগে
কাদিও তাহার তরে
ভিন্ন গোত্র হয়েও যে তোমার পাশে বাস করে।
সংখ্যার জোরে তোমার নীতি দিও না তার সংবিধানে..
সেও যে বিধান রাখে আসমানের পানেই চেয়ে।


সিরিয়া কিবা প্যারিস রক্তে তুমি যদি খুঁজ ব্যবধান
লংগদুর কিবা আরাকান অনলে তুমি যদি না হও সমান।
তোমার প্রতিবাদ , তোমার সাহস যদি লুকায়
তব গোত্রের অত্যাচার.../
ভুলেও যদি আপন আলয়ে নাহি দাড়াও
অন্যায়ের সম্মুখে একবার./
অপরের পাপের বাটকারায় মাপ আপনার পাপটাকে...
তাহলে তুমি বরং আসল সন্ত্রাসী
ওই লন্ডনের রক্তমাখা রাস্তা হতে.../
রাজনীতির কূট রীতির সাথে
দাড় করাও যদি তব ধর্মের হানাহানি,
ধার্মিক বলে নিজের সাথে কেনই কর
এই বেইমানি?
কেন তুমি চুপ থাক ওই পাপাচারে
কেন তুমি ধোকা খাও চিনিতে ভন্ড ব্যবহারে?
ত্রাস করিবার আগে কেন নাহি চিন তারে?
সন্ত্রাস করিয়া যে ধর্মের পতাকা
উড়ায় তোমার ঘাড়ে?


মসজিদে যাচ্ছ, সালাম লহ হে মুমিন
মন্দিরে যাচ্ছ, নমস্কার লও হে ধর্ম প্রবীণ।
ভালবাসা লহো প্রাণ ভরে......
আমাকে রেখে যাও শুধু আমার মাঝে,
মানব হইয়া মানবেরেই যাই খুজে!
তুমি যদি তাহা নাহি হও..
হও সাচ্চা হিন্দু কিবা মুসলিম!
তুমি ধার্মিক নহে, ওহে জগৎ শত্রু
তোমার মাঝেই বাড়িছে
তোমার মরণ বীন।


আপনার আসমানে থাকি
মানব ধর্মে যে গেথেছে প্রাণ
তাহাতে আমার মস্তক নত
পুন্যময় জীবন সোপান।