১) অদম্য প্রেম


এভাবেই বসে থাকি একা একা , তোমার সাথে গোপনে;
সম্মুখ দিয়ে দিন চলে যায়, রাতের সংবাদ দিতে দিতে।


এভাবেই আমি টেবিল পাশে দাড়িয়ে
উপন্যাসের বইগুলো দেখি সজল নয়নে।
পড়িবার সাদ জাগিলেও যে ভিন্ন ভাষায় ভিন্ন রস
আহরণের শিক্ষা নেই মোর মনে।


এইভাবেই আমি বসে বসে জ্বানালার পাশে
বাহির মাঠে দূরন্ত শিশুর মত কত খেলা খেলি
চোখ বন্ধ করে আকাশে ভেসে ভেসে।


কিন্তু যখনি
চায়ের কাপে চুমু দিতে যাই নেশার তরে।
কাপটাই বলে উঠে
মনে কি পড়ে না বালক
এ তোমার শেষ চিহ্ন তার সাথে?
বিদায়ের হাতে দায়মুক্তি যে নিয়েছিল
আমারে সপে তোমার পাশে।
আজও কি তারে তুমি পারো নি ভুলিতে?


তোমার মত রুদ্ররা এভাবেই বুঝি বাঁচে?


                ২)অকথ্য প্রেম


জ্বলন্ত মোমবাতিটা আমি নিভিয়ে দেই পরম আদরে
আমাকে দেখে যদি আমি চিনে ফেলি আমারে।


গোসলের তোয়ালেতে ঢেকে রাখি সকল জলকণা
যদি ওরাও জেনে ফেলে সিক্ত উতপ্ত তনুরে।


যদিও
জানে না আমার গায়ের পোশাক,
কার জন্যে তারে পড়েছি যতনে?
জানে না আমার অলংকার প্রসাধনী ,
কার জন্যে তাদের নিত্য রাখি
চর্চার নিয়ম কানুনে।


তবে
উপন্যাসের পাতাগুলি পড়ি আর ভাবি,
রবি বাবু আমার সাথে তোমার  দেখা হয়েছিল কবে?
তাহলে মহেন্দ্রের বুকে মরিবার যে সাদ আমার
তা জানলে কেমনে?
কেমনে জানলে বিহারী ঠাকুরপোর নামে
কয়েকটা কবিতাও লিখা হয়
এই অসতী কবির মনে?