কল্পিত কন্যা


বইটা লিখেছে বেশ ছেলেটা!
একেবারে প্রেমের ছড়াছ​ড়ি সর্বত্র।
বিদ্যাদেবীর দেখা না পেলে
প্রেমের দেবীর এমন বর্নন কভু সে পারত না।
ছেলে বেলার প্রেম! কচি কালের অনুভুতি!
অথচ দেখো নিজের এই প্রেম কাহিনী লিখেই
বাজারের পর বাজার দখল করে নিয়েছে
তার " কল্পিত কন্যা" উপন্যাসটি।
শুনেছি বুকার পুরুস্কার সে পেতে পারে।
নিজের আজন্ম সাধনার এই একটি বইয়ের
পাতায় পাতায় জগৎটা তার দেখাও হতে পারে।


কিন্তু দেখা কী হয়েছিল
তার সেই নায়িকার সাথে?
যার ভাবনাতেই রাতের তারা জাগত আকাশে।
দিনের বেলায় কর্মও হত সচল তার হাতে।
যার কল্পনায় তার চিন্তার ভাষা গুলো হত গুচ্ছিত
মনের ভেতরে গুনগুন করে গাওয়া গান গুলো হতো ব্যাপক আলোচিত।


সেই কবে খেলেছিল পুতুল খেলা এক উঠোনে,,
সেই কবে  বউ জামাই সেজেছিল স্কুলে
যেমন খুশি তেমন সাজ প্রোগ্রামে।
সেই কবে পেয়ারা খেয়েছিল দুজনে বসে মগডালে!
কলা পাতায় চালতা মুড়িয়ে,
পুড়িয়ে খেয়েছিল তা উনুনে।
অথচ আজ এই লেখকের লেখায় সেই দিনের
সেই উনুনের তাপ দাউ দাউ করে জ্বলছে।
চালতা টকের রসে বাড়ছে  নিত্য প্রেমের রস
হৃদয়ের রসালয়ে।


তবু মেয়েটি জানলোই না,,,
তাকে ভালবেসে,ভালবাসার  গল্পে গল্পে
এক ভাষাশিল্পীর ব্যাপক পরিচিতি।
কিন্তু তা কি সত্যি?
বাল্যকালের বাল্য বন্ধুর ভালবাসা সে কী বুঝে নি কভু?
বুঝেনি কারনে অকারনে তাকে বিরক্ত করার  সম্ভার?
সে কী কভু পড়ে নি বইটে একবারো?
শুনেছি লাইব্রেরীয়ান হয়ে সে
ভালই চালাচ্ছে চাকরী আপনার কর্মস্থলে।
তবুও কী কথা অজানাই রয়ে গেল তার কাছে?


না রয়ে যায় নি অবশেষে,,,
বইয়ের পাতায় পাতায় খুজে পেল তাকে।
না জেনে না শুনে কোন রাজ্যেও যে
সে হতে পারে মহারাণী,তা জানল পরিশেষে।
প্রেমিকের প্রেম-কথা পেল প্রাণ
প্রেমিকার জাগরণে।


তবে জাগাতে পারল  না শুধু কল্পনার বোধ
বাস্তবের হাতে বিশ্বাসের চুড়ি পড়ায়ে।
"কল্পিত কন্যা"র ঔপন্যাসিক
ব্রেইন টিউমারের হাতে নিমজ্জিত নয়
পরপারের পথে।
প্রেমের কথা হবে না শুনা
পাশাপাশি বসে একসাথে!


প্রেমের উপহার টা রবেই কী বাধা
বিচ্ছেদের সাথে?
কচি কালের কচি ফুল এমনি চলে যাবে
অজানা নিরুদ্দেশে?
কেবলি শুকাতে?