কী এক আশ্চর্য রোগ আমার!!
এত বছর ধরে স্বপ্ন দেখছি
অথচ তার শেষই হল না।


মাষ্টার মশাইয়ের ডাস্টার ভেঙ্গে গেল
ব্লাকবোর্ডে একের পর এক চকের সৎকার হল,
তবু আমার স্বপ্নের শেষ হল না।
উনি চেয়েছিলেন আমি যেন বেল তলায় গিয়ে  
বেল-ই চাই।
কিন্তু আমি চেয়েছি আম।
আজ চাই  তেতুল তলায় চিনির স্বাদ পেতে।


ও পাড়ার তমা দাস আমাকে বলেছিল
তুমি খুব বড্ড পাগল গো বাবু,
এ ভাবে কি কেউ অমান্য করে গুরুকে?
এভাবে কী স্বপনের জন্যে চাক্ষুষ জ্ঞানকে
লাথি মারে কল্পনার তরে?


কিন্তু আমি যে স্বপ্ন ভালবাসি
স্বপ্নের তরে কত রং বেরঙের
আশা,ইচ্ছা, মনে রাখি।
আর তাই
নারায়ণ পুরের চন্ডিবাড়িতে গিয়ে
আমি মনষা দেবীরে খুঁজি।
অহল্যার পাথর রূপে দাড়িয়ে
দেব রাজ ইন্দ্রের প্রশংসা শুনি।
শুনি কংসের মুখে  কৃষ্ণ কথা
আর এক আকাশের নিচে জনে জনে
একটাই পৃথিবী!


কিন্তু লোকে বলে
এ সব কিছু এক ঢঙের  স্বপ্ন  আমার,,!!
পাগলামি; বেমানান সব কিছু থেকে।
আর তাই
অনলের কাছে জলের কেচ্ছা
শুনার স্বপ্ন টা আমাকে আরো বেশি তাড়া করে।
তাড়া করে নদীর পানিতে ডুব দিয়ে
বাতাসের ঘ্রাণ পেতে।
খুব ইচ্ছে করে বিড়ালকে মাছের পাহারা শিক্ষা দিতে।
বর্গা নিতে জমিদারের সব জমি প্রজার হাতে হাতে,,
মিছিলের স্লোগানে উত্তম সুচিত্রার সংলাপ শুনতে।
খুব ভাল লাগে পত্রিকার শিরোনামে শুধু
সবুজ আর সবুজ কালি দেখতে।
আরবের দেশে বোরকা পুড়ার ঘ্রাণ পেতে।
খুব ভাল লাগে আমার
এমন গান এই শহরে
গ্রামের মত গাইতে।


এভাবেই স্বপ্ন দেখি আমি সবখানে
উচু নিচু সমতল ভুমিতে।
তাই স্বপ্ন রোগে পাগল হয়ে
স্বপ্নেরই কেবল করি চাষ স্বপ্নের তরে।
এক স্বপ্নের জন্ম হয় আরেক স্বপ্নের
লাশ কাটা ঘরে।


---------------
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস