‘মা’ ভুবন মাঝে দিলে আমায় জনম    
কত কষ্ট মুখ বুজে করেছ হজম ।
আদর ভালোবাসায় করেছ লালন
তুচ্ছ করে নিজের জীবন ।


শত কাজের মাঝেও রেখেছ খেয়াল
তৈরি করে এক অদৃশ্য প্রতিরক্ষা দেয়াল ।
একটু খানি ব্যথা পেলেই করতে ছটফট
কান্নার আওয়াজ শোনলেই পাল্টে যেত দৃশ্যপট ।


‘মা’ পৃথিবীর আলো তুমি দেখালে
ছোট ছোট পায়ে হাঁটতে শেখালে ।
পছন্দের খাবার তুলে নিতে
নিজ হাতে খাইয়ে দিতে ।


সূর্যের আলোতে দিতে আঁচল ছায়া
মায়ের কাছে মিলে মমতা মাখানো মায়া ।
আমার হাসিতে তুমি হাসতে
আমার দুঃখে তুমি কাঁদতে ।


অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলে বিছানায়, কেউ দিত না দেখা
ভয়কে সরা জ্ঞান করে তুমি করতে সেবা ।
তুমি যে ‘মা’ তোমার অসীম ধৈর্য্য সাহস সন্তানের জন্য  
ছেলে মেয়ের মুখে হাসি দেখলে হও ধন্য ।


‘মা’ ডাকেতে হৃদয় শান্ত হয় ।  
পদদলিত করে সমস্ত ভয়
দুর্জয়কে করতে পার জয়
আপন সন্তানকে দাও অভয় ।
তুমি যে আমায় দিয়েছ একা চলতে প্রথম প্রশ্রয়
তোমার কোলেতে পাই শান্তির আশ্রয় ।


তুমি প্রতীক্ষায় থাক পথটি চেয়ে সারাক্ষণ  
আমায় দেখে প্রশান্তিতে ভরে তোমার দু'নয়ন ।
তোমার আদর ভালোবাসার ঋণ শোধ হবার নয়
তোমার সেবায় যেন থাকতে পারি সব সময় ।