তখন ভোর----
'ভোঁ,ভোঁ' শব্দে খুমটা গেল ছুটে-
'ক্যাঁচচ'--খুলল দরজাটা ,
কালো ভুষুণ্ডি লোক কয়েকটা বেরিয়ে এলো সাইকেল হাতে-
অবষন্ন মুখে চলল ওরা পথের-ই বাঁকে ।


আসি বন্ধু----
প্রতিবেশী কয়েকজন উত্সাহী গল্পে ওই দরজা মুখি-
'মাথায় টুপি,পায়ে জুতো'-পেটের টানে নিতে রাজি হাজার ঝুঁকি ,
পরস্পর দু'দল জানিয়ে বিদায়,একদল গেল নিজের দেশে-
আরেক দল কয়লা খনির উদ্দেশ্যে ।


অগ্নিগর্ভ----
শুরু হল 'আবার','ঠক ঠক'-শব্দে লোহা পিটানোর আওয়াজ-
চিমনি দিয়ে যে হারে বেরুচ্ছে ধোঁয়া এতে অতুষ্ট হবেন স্বয়ং ব্রহ্মরাজ ।
'ও-কী'-ভিতরে এতো উজ্জ্বলতা কিসের?-এ যে বিশাল অগ্নি মনি ,
লোহার সাথে তপ্ত হয়ে লোক গুলোও উত্তপ্ত,সেই কালো ভুষি লোক গুলোর এটাই কয়লা খনি ।


আবর্জনার স্তুপাকার----
এখন যেটা অবশিষ্ট পুকুর খানা,এককালে ছিল অথৈয় জলে সবুজ পানা-
ওই দরজার পাশে নর্দমাকারে প্রতিনিয়ত বেরিয়ে আসে আবর্জনা ,
কেহ করে না তাদের মানা,সংস্কারের বেলায় সবাই নিরাকার-
যেখানে ছিল বিরাট গহ্বর,সেটা আজ আবর্জনার স্তুপাকার ।


---সন্ধ্যেবেলা বাঁশি বাজলে বেরিয়ে আসে ওরা আবার ,
জিজ্ঞেস করলে বলবে তারা সুখের খোঁজে দাস আমরা আজব কারখানার ।।
                __________________
______রাজেশ কর্মকার