আয়না ফিরে তোর ঘরে,
কান পাতে উদাসী বাতাস!
তোর পদধ্বনি শুনতে পাই!
জাগছি দুজন এই আশ!
দেখনা এই পথের দুপাশে
জ্বালিয়ে রেখেছি সহস্র দীপ,
মৃত্যু আঁধার আর ছোঁবেনা
আলোয় ভরেছে চারি দিক!
বকুল ফুলে বিছানা পেতে
কাটাবো রাত করে কূজন,
কোন ফাগুনে রঙিন গানে
তারার পানে আমরা দুজন!
নাইবা দিলি আমারে তুই
উঁচু মহলে সুখের ঘর!
নতুবা পেলাম রত্ন মানিক
রেখে তুই যাসনা আর।
আকাশের সব রঙিন আলো
রাখবো বেঁধে ঘরের কোণে,
দীপ জ্বালাবে সন্ধ্যা তারা
হাসনাহেনা মাতবে মনে!
প্রতিদিনের স্বপ্নগুলো
ছড়িয়ে বুঝি পরবেনা আর,
শ্রাবণ রাতের ঝোড়ো বাতাস
ভাঙবেনা আর আমার দ্বার!
বসন্ত পাখির ঠোঁটের ভাষায়
ছড়াবে কোন মায়াজাল,
ভাসবে মাতাল সেই মধুক্ষণ
খুশির না’য়ে তুলবো পাল!
ঝরবে মনের শুকনো পাতা
সুখ কিশলয় মারবে উঁকি,
ফাল্গুনি রাত জোছনা ঢেকে
মোদের ঘরে খেলবে ঢুকি!
হৃদয়ের এই গোপন কথা
জড়িয়ে দিয়ে পদ্ম পাতায়,
ভাসিয়ে দিলাম নিশি রাতে
শেষের পথে সময় ধায়!
এজনমে বুঝি হবেনা দেখা
হয়তো শত বর্ষ পরে!
চিনতে তোকে পারবো ঠিক,
ডাকবি পুরোনো নাম ধরে!
নব জন্মের নতুন প্রাতে
মিলন মোদের ধন্য হবে!
নতুন সুখে ভুলিয়ে ক্ষত,
শত জনম আলোয় রবে।