ও বাবুরা শোন এধার
  একটা প্রশ্ন করি,
মূর্খ আমি সবাই জানে
  প্রমাণ করিস ভারী।


এ কোন দেশে আমি
  বলবি বুঝি তোরা?
ওরা বলে  তোর না
  ভেবেই দিশা হারা!


ধানের সবুজ একই রকম!
  একই মাটির ঘ্রাণ,
একই আকাশে রামধনুটা
  আধা চাঁদের প্রাণ!


তাঁরকাটায় হয়কি ভাগ
  মনের বিবেকখানা?
হয়কি ভাগ মনুষ্যত্বটা,
  প্রশ্ন নেইতো জানা।


ওইতো সেদিন রামেশ্বর
  গরীব, অভাব ঘরে,
বাড়িয়ে দিল তাহার হাত
  বিদেশী বোনের তরে।


রামেশ্বর আর তাসমা রয়
  তারের এপার ওপার।
তবুও কেমনে মানবতা গুলো
  জমলো বুকে তাহার?


বহুদিন এসব কথা
  মনকে বড় জ্বালায়,
উত্তর তোরা দিবি মোরে
  খুঁজি রাতের তারায়!


তোদের বুঝি অনেক জ্ঞান
  পুঁথি ভরা মাথা,
জবাবখানা দিয়ে যারে
  সরল প্রশ্ন যথা!


এপারের মেহের আলি
  যখন শহীদ হলো,
ওপারের জাকিরভাইও
  গুলিতে বিদ্ধ হলো।


তাদের বুকে রক্তধারা
  একই রূপে বলে...
হিংসাকে আর বাঁচিওনা
  মাড়াও পদতলে।  


সেকথা কি শুনতে পাস
  শান্তি ধারার স্রোত?
শুনতে পায় এ ধূলিকণা,
  মানুষ শুধু নির্বোধ!


শুনতে পায় সবুজ বনানী
  শুনতে পায় মাটি,
শুনতে পায় নদীর ধারা
  হৃদয় তাদের খাঁটি!


রক্ত ঝরলে আসেকি শান্তি...
  মুক্তি আছে হেথা?
সমস্যা মেটেকি হিংসা দিয়ে,
  ভাবায় এসব কথা।


আমি নির্বোধ তোদের কাছে
  প্রশ্নই করে যাই,
তোরা জ্ঞানী মূর্খ ভাবিস
  মোরে এড়াস তাই।