শিয়রের ওই দ্বারের আগল
দাওগো আজ খুলে,
প্রকৃতির আজ সব ঋতু
আসুক পেখম তুলে।
বহুদিন তাদের সাথে
আমিতো কথা কয়নি,
তাদের নিয়ে সুখ দুঃখর
মালা গাঁথা হয়নি।
তারা আমার দুয়ার পারে
নেড়ে যেত কড়া,
বলতো এসে শরত এলো...
কিংবা চৈত্রর ঝরা!
ফাল্গুনি চাঁদ যখন এসে
বসতো মোর দাওয়ায়!
ছেড়ে আসা সুখগুলোরা
আসতো বয়ে হাওয়ায়!
সময় আমার ছিলনাতো
দিতে তাদের সারা,
শুধু মনের গোপন কোণে
দিয়ে যেত নাড়া!
সরিয়ে দে’রে চোখের পারে
অষুধের ওই বোঝা,
সারা ঘর আজকে মোর
ফুলে ফুলে সাজা!
নিতে আমায় আসছে প্রভু
মরণ বাসর ঘরে,
তার ডাকে বিভোর আমি
আরুতি ডালা ধরে!
আজকে কোনো অচেনা ঝড়ে
ভরুক আমায় ধুলায়,
জীবনের ওই অস্ত রাগে
তুচ্ছ সবই মিলায়।
আমার লেখার খাতার পাতা
আনন্দে আজ ভাসে
বীনার তারের ঝংকারে আজ
ছুটির খবর আসে।
পরিচয় আজ হারিয়ে যায়
সীমানা মুছুক আজ,
কারণ বারণ মিশে গিয়ে
অনন্ত করুক রাজ!
ভাঁড়ার ঘরের কোণ গুলিতে
আমার স্পর্শ জাগে,
তেলের দাগে স্মৃতিগুলো
ডাকে বেসুর রাগে!
পেছন ডাকে আজকে আমি
দেবোনা আর সাড়া,
মনের কোণে বহেযে আজ
মুক্তি আলোর ধারা...
আমায় নিয়ে চল বাহির
অগ্নি স্নানের পথে...
সকল পীড়া মিলাক আজ
আমার চাওয়ার রথে!
আজ সম্পর্কর বাঁধন খানা
তুচ্ছ ভাঙা শিকল,
ভালো মন্দ যাই বলো
সবই আজকে বিফল।