ঠিকানা তাঁর খুঁজে আমি
পথে ফিরি একা,
ঝরা পাতা খুঁজে দে’রে
নাপাই আর দেখা!
সন্ধ্যার শ্রান্ত হাওয়ায়
শুনি তার বারতা,
যুগের পরে যুগ ধরে
অশ্রু আকুলতা!
তাকে কিছু বলার ছিল
পেতে তার সাথ,
হাজার বছর জাগি আমি
চাওয়াতে নেই খাদ।
বাঁশি তাহার বরই করুণ
মধুর সুরে গায়,
বনবীথির জেদি কোকিল
বুঝিবা হেরে যায়!
আকাশের চেয়ে উদার
স্বচ্ছ তাহার মন,
তার কাছে সবই বৃথা
তুচ্ছ মূল্য ধন।
সমাজ দাবদাহের পর
কালবোশেখীর রূপ,
ভরায় সে শান্তি বরিষ
ধরা হয় নিশ্চুপ!
মর্মের মাঝে শুধু অকারণ
দিয়ে যায় দোল,
প্রেমের বাণী ছড়িয়ে যায়
মনযে উতরোল।
কথাছিল জোছনা রাতে
ফাল্গুনী চাঁদ উঠবে,
বসবে এসে পাশে মোর
মন পুলকে ছুটবে!
জোছনার সেই মায়া সুতো
মোদের ঘিরে রইবে,
ঝুলন দোলায় দুলবো মোরা
মনেতে সুখ ধাইবে!
ঠিকানা পেলে বলবো আমি
ফেলে কোথায় যাও?
মন চুরি করলে তুমি
ফেরৎ দিয়ে যাও!