খুকুমণি বাবার কোলে
   হরেক রকম বায়না,
এটা চাই ওটা চাই
   ভোলানো আর যায়না।


রঙ পেনশিল খেলনা পাতি
   সারাটি ঘর ময়,
তার পিছে কাটে মায়ের
   জীবন ও সময়।


কুড়কুড়ে আর চকলেটে
   মনটা থাকে পরে,
বাকি খাবার তিতো সবই
   বায়না রাখে ধরে।


সারাদিনে  অনর্গল
   ঝরে কথার ফুলঝরি,
দুষ্টুমিতে বেজায় পটু
   চলে ভাব আড়ি।


বাবা যখন বাড়ি ফেরে
   করে শত নালিশ,
বাবা বলেন সারাদিনযে
   করি তোকে মিস।


এইনা বলে কোলে তুলে
   শুন্যে ছুড়ে দেয়,
লুফে নিয়ে পিঠে তুলে
   খুশিতে ঘোরায়।


অসুখ হয় যখন আবার
   গভীর ঘুমে রয়,
সারা বাড়ির প্রতি কোণে
   কাটে ছন্দ লয়।


কলকাকলি ক্ষণিক যদি
   বন্ধ তার হয়,
বাবা বলেন বাড়ি আমার
   নিঝুম কেন রয়।


তাকে ঘিরে চলে জীবন
   একটু করে বাড়ে,
আজকে যেটা প্রিয় তার
   কালকে হেলা করে।


ঘরে মাঝে সবার প্রিয়
   ছোট্ট চারা গাছ,
ধীরে ধীরে হচ্ছে বড়
   সবুজ ভরা সাজ।


বাবা ধীরে হচ্ছে যখন
   বয়স ভারে নত,
মেয়ে ঘরের বনসাই আর
   স্বপ্ন ডানা শত।


ছড়ায় আজ খুশির বাতাস
   অক্সিজেন অবাধে,
ভরায় সে অথর্ব বাপের
   দায়িত্ব তুলে কাঁধে।


এ বনসাই গভীর সবুজ
   এরা সমাজের গর্ব,
ভুলেও এদের অধিকার সব
   কোরো নাকো খর্ব।


বীজে দিও বাঁচার ভূমি
   চারাতে দিও জল,
শ্বাসের বাতাস দিও ভরে
   পাবে মধুর ফল।


জানবে ঘরে দুর্গা সে
   মনের দশ হাতে,
ঘরের বাতি আগলে রাখে
   কদম কদম সাথে।