হঠাৎ বনে খুশির খবর,
মাতলো বনের আকাশ
দূর করে সব একঘেয়েমি
জাগলো নতুন বাতাস।
সিংহ রাজার বিয়ের খবর
বনের মাঝে ছুটলো,
এইনা শুনে পশু পাখি
খুশিতে মেতে উঠলো।
শ্রাবণ এই পূর্ণিমাতে
মালা বদল হবে,
ওরাং ওটাং পুরহিতটার
উপস্থিতি রবে।
বনের মধ্যে ব্যস্ত সবাই
সাজো সাজো রব
কনের বাড়ির হুলুস্থুলুস
পার্লারে যায় সব।
বাঘ মামার নদীর জলে
চলছে স্নানের বাহার,
গায়ের রঙ হলদে কালো
উজ্জ্বল হয় তাহার।
হাতী মশাই গায়ের কাদা
তুলতে ঘষে মাজে,
হরিণগুলো সিংগুলোতে
ফুল জড়িয়ে সাজে।
নাখের নোলক দুলিয়ে পেঁচক
বড়ো বড়ো চোখে,
লাল ঝুঁটি কাকাতুয়ার
সাজের বাহার দেখে।
বাঁদর আজ সকাল হতে
সঙ্গী সাথী নিয়ে,
আসরখানা জমিয়ে তোলে
ভাঙরা নাচন দিয়ে।
লাল ফিতে মাথায় বেঁধে
ভালুক ভায়া আসে,
জ্বরকে আজ দিল ছুটি
খুশির তালে ভাসে।
ময়ুর আজ ঘঙুরগুলো
বাঁধে পায়ের পরে,
ঝনকঝনক নাচের তালে
আসরকে আজ ভরে।
নেলপলিস আর লিপস্টিকে
শিম্পাঞ্জিটা সেজে,
আয়না দিয়ে আপন রূপ
দেখে কেবল নিজে।
শেয়াল বেটার বড়ই লোভ
দিচ্ছে উঁকি ঝুঁকি,
কতো রকম মাছের পদ
গুনছে গন্ধ শুঁকি।
খাবে কে কে নিরামিষ
কে খাবে আমিষ,
এই নিয়ে কনের মামার
চিন্তা অহর্নিশ।
নিমন্ত্রিত বনের সবাই
বিয়ের আসরে এসে,
খুশি আর আহ্লাদেতে
যায়যে সবাই ভেসে।