‘ও’ আর ফিরে আসবেনা অভাগার কাছে
চেয়েছিল অনন্ত আনন্দ জীবনের সার্থকতা
ফুলের চতুর্দোলায় শুয়ে হয়েছিল তা পূর্ণ
‘ও’র মুখে ছিলনা সেদিন অতৃপ্তির বিষণ্ণতা।
বলেছিল অভাগাকে“একদিন অনেক বড় হবে
সেদিন থাকবে কি মনে এই মেয়েটির কথা?
কত বন্ধু আসবে উচ্ছল জীবনে,তবুও ওই
বুকে রেখ আমার জন্য একটু আকুলতা ।
প্রেম কোনদিনও মরেনা প্রিয়তম, মানুষ-  
মরে, সেতো স্থূল শরীরে গড়া চির নশ্বর
রয়ে যায় প্রেম প্রেমিকের শুভ কর্মে-গুনে
মৃত প্রেমও হয়ে ওঠে অতি উজ্জ্বল ভাস্বর”।  
এখন আমি মাতাল ভবঘুরে, অনেক কথা
বললে শেষের দিকটা হয়ে যায় এলোমেলো
‘ও’র এডভাইসগুলো একদম মানতে পারিনা
নেশায় পাই তবু একটু এডভেঞ্চারের আলো ।
রকে বসে সময় কাটে শিশু শ্রমিকটা আমাকে
রোজ দ্যাখে বাঁকে করে জল নিয়ে যেতে যেতে
ও ভাবে আমিও ওর মতো ঘর ছাড়া অভাগা
কাজের শেষে ঘুড়ি নিয়ে ডাকে আমাকে মাতাতে।
রবি-কিরণ-গরিমার নীচে উচ্ছৃষ্ট জীবন,শিশু শ্রমিক
যাবেনা কোনদিন মায়ের কোলে,অভাগাও সংসারে  
সোচ্চার হয়ে ওঠে প্রাণ ওর দুরন্ত ছুট ডাকে    
বাঁশি বেজে চলে যেন  ব্যথাতুর ক্ষত অন্তরে।
আমি ভুলে থাকতে চাই ‘ও’কে সোনালি স্বপ্ন
আর নয়,সাড়া জাগায় শিশুর চেতনার ডাকাডাকি
ঐযে, সাথীকে হারিয়েও ডেকে চলেছে বেসুরে
ভাঙা মেঘের নীচে সবুজ ডালের নীল্ রৌদ্রপাখি!  
ক্ষত মন অক্ষত হয় ওদের এতো দুঃখের মাঝে
এমন জীবন উচ্ছলতা দেখে, আমি পারিনা কেন?
‘ও’র সাথে ওরাও যেন সুর মিলিয়ে বলে যায়-  
আনন্দ ফিরে পেতে নিজের ভেতরে চেতনা আনো।