দিগন্তের সবুজ মাঠের পাড়ে
একফালি ম্লান রোদের আলোয়
একদিন তার হাত ধরেছিলাম  
প্রাচীন সেই সম্ভাষণ ‘ভালোবাসি’
আবেগের ঘোরে মুখেও বলেছিলাম।  
পথ চলতে চলতে গোধূলির পর
হাসল চাঁদ ভরাল নীল আকাশ
সুগন্ধি কামিনী,হাসনাহানার সুবাস;  
মনকে করেছিল উতলা,সে—ই কাঁপা
ঠোঁটের উপর পুরুষালী উষ্ণ শ্বাস—
যেন ছিল বহু যুগ ধরে জমা
অযাচিত এক বেদনার দীর্ঘশ্বাস ।
সেই পথ ধরে চলেছি আজও-
রোহিণী রোহিণী তুমি কোথায় ?
তোমার কণ্ঠ ভেসে আসে কানে
“যেতে যেতে পথে পূর্ণিমা রাতে-
চাঁদ উঠেছিল গগনে---“।  
নক্সা পেড়ে শাড়ির আঁচল গায়ে
উড়ে এসে শাসিয়েছিল আমাকে
‘ইমোশনে মাতাল হয়ো’না ক্ষণিকে’।
মনেহয় হাওয়ার মাঝে আজও যেন
গায়ে উড়ে এসে পড়ে কার আঁচল
চাঁদ মেঘেরা কানাকানি করে বলে
আমাকে, “এক পা গ ল----“।