অনেকটা গভীর ঘুমেই ছিলাম।একটা কড়া ঘ্রাণ এসে লাগলো নাকে। হকচকিয়ে চোখটা খুললাম ; ঘ্রাণটা বেশ পরিচিত লাগছিলো।
বা পাশের সীটে একজন নারী বসেছেন। নারী বললাম এ কারনে তার কালো বোরখা,আর পাঁচ স্তর বিশিষ্ট হিযাবের কারনে বোঝার উপায় নেই তিনি কিশোরী, নাকি যুবতি,নাকি রমণী, নাকি কোন বৃদ্ধা। যাই হোক আমি জানালা দিয়ে বাহিরে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ভাবতে থাকলাম,তাকে কি আমি চিনি?সে কি আমার পরিচিতা?নাহ!!!  আমার মেমরি তে এমন কেও নেই।
তবে তার শরিরের ঘ্রাণটা আমার পরিচিত।আমি এই মিষ্টি ঘামের ঘ্রাণ শুধু আলিশার শরিরেই পেয়েছি আমি।
কিন্তু আলিশা আর এই নারীর মাঝে রাত-দিন তফাৎ । কে হতে পারে ইনি?
ধুর!!!! যেই হোক। তাতে আমার কি?
তবে আলিশার কথা মনে পড়লো ; হঠাত করে। কে জানে কেমন আছে ও? কোথায় আছে? কি করে?
ওর সাথে কাটানো সময়গুলো মনে হতে লাগলো। ভার্সিটির প্রথম দিন,আমাদের বন্ধুত্ব্ব হওয়ার স্মৃতি,তারপর ধীরে ধীরে প্রেমে বাধা পড়া। কফি বানানো নিয়ে ঝগড়া, একটু প্রাইভেসির জন্যে ফ্লপ মুভির শো দেখা। রাত জেগে তারা দেখা,বালিশ নিয়ে মারামারি..... আরও কত কি?  
আমার ক্যারিয়ারের টানাপোড়ন ; ওর বিয়ের জন্যে চাপ, মনোমালিন্য, বিবাদ তারপর আর কি বিরহ....
বিরহের সাত বছর পর আজ ওকে আবার মনে পড়লো।
হঠাত খেয়াল করলাম ঘ্রাণটা আর নেই!!!পাশে তাকিয়ে দেখলাম সেই নারীটি আর নেই।
তার সীটে একটা নীল চিরকুট পড়ে আছে। চিরকুটটা খুললাম,খুলেই থ বনে গেলাম!!! সাত বছর পরেও আমার চিনতে ভুল হলো না ; হাতের লেখাটা আলিশার। খুব সুন্দর করে লিখা তাতে, "ক্লীন সেভে তোমাকে এখনো বাচ্চাই লাগে। "