কৃষক যখন ফসল ফলায় বীজ, চারা, সার, উপকরন সবটা পেতে,
সারা বাংলার কোন কোন ও দূরের গায়ের চাষির নাভিশ্বাস উঠে,
বাঙ্গালিয়ানা শরীরে গরু ও লাঙল-জোয়াল নিয়ে যায় ফসলের ক্ষেতে,
যদি ও এখন কোথাও কোথাও দেখা যায় কলের লাঙল – পাওয়ার ট্রিলার,
এখন আগের দিনেরমত গোবর সার, হাতের বীজ কমই চলে, ব্যবহৃত হয় উন্নত যত কৌশল,
তারা প্রয়োগ করে কারখানার সার, নার্সারির বীজ ও উপকরন সবিযে অপ্রতুল্য খরচে ও দামী,
সচেতন মানুষজনের হাপিত্যেশ এমন হায় আমরা কি খাচ্ছি রাসায়নিক সারের ও স্প্রেকৃত সবজি, ফলমূল?
অনেক জায়গায় দেখছি জমি বিক্রয় করে মানুষ বিদেশে পাড়ি দেয়, কিংবা ইমারত গড়ে!
তাতে কি বুনিয়াদ কৃষকের স্বপ্ন বুনা থামে? ফসলের মাঠের সাথে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয় নাড়ীর টানে,
সে যাবেই আবাদি জমিতে, ফল- ফসলের মাঠে, গরু- মোষ চড়াবার ভানে,
সে দেখবে জমিটিতে কচি চারাগাছ থেকে বিপ্লবী সোনালি ধান ও সবুজের সমারোহ!
জমিতে দুপুরে বা বিকেলে দখিনা কনকনে শীতল বাতাস, রৌদ্রজ্জল আবহ,
এক এক করে বেড়ে উঠে সরষে, গম, ধানের চারাগাছ স্বপ্ন সাথে লয়ে,
প্রতিদিন দিনে রয়, রাত্রিয়ে রয় সেথায় ঐ শেকড়ের পানে সয়ে,
কৃষক প্রানের মায়ায় কখনোবা জমিতেই প্রাতরাশ, দুপুরের খাবার সেরে নেয়,
টুকরো খন্ড জমিতেই, কোনও দিন ওয়াক্তের নামাজ সারে আইলে গামছা পেতে,
ঝড়- বাদলা, বান- তুফান, খরার দাবদাহ, উপকরনের মূল্য উর্ধ্বগতি,
এত্ত পরিশ্রম ও ফসলের সুশুস্রার পরেও ভাগ্যে হয়তো মিলে না সদগতি,
ন্যায্যমূল্য অভাব, দুর্মূল্যের বাজারে এটিই যে কৃষক সম্প্রদায়ের নিয়তি!
তবে যদি আশামত সোনার টুকরো আবাদি জমিতে বাম্পার ফসল ফলে আনন্দাশ্রু ঝরে,
কৃষক পরিবারের হাসি তাদের ঠোঁটের কোনায় যেন পরশে ঝিলিক দোল খায় বাঁকে,
তাদের সুখী জীবনের জন্যে যেন অন্তত দেশের সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি থাকে।