আজ প্রভাতে রবির কর,
কেমনে পুষলো প্রানের পর।
দিবস রজনী করিয়া পণ,
কেমনে ছাড়িলো আপন ঘর।
কেমনে ভুলিলো তিমির শেষে,
প্রভাত মিষ্টি পাখির গান।
না জানি কেনো এতো দিন পর,
জাগিয়া উঠিলো প্রান।
তবু উথলিয়ে ওঠেছে বুঝি,
আজ আমার মনের বাড়ি,
মনের আবেগ প্রানের বাসনা,
শুন্য কোটায় দিলাম ছাড়ি।
বিস্তৃত হৃৎ কাঁপিছে ভুধরন,
থসে পড়ে শিলা রাশি রাশি।
পুলিয়া পুলিয়া রক্তাক্ত বদন,
গর্জে উঠেছে নিদারুণ রসে।
হেথায় হোথায় উন্মাদনায়,
ঘুরিয়া ঘুরিয়া মাতিয়া বেড়ায়।
দেখিতে না পায়,তবু হৃত্পিণ্ড চায়,
কোন সে কারার ধার?
কেনো বিধাতা পাষান এতো?
চারিদিকে শুধু নৈরাশ্যের ভার।
কি-জানি,কি হলো আমার!
কেঁদে উঠে শুধু মনোপ্রান।
দূর হতে শুনি যেনো বৈরি আতঙ্ক,
আর মহা প্লাবনের কলতান।
চারিদিকে মোর একি কারাগার,
নাও ঘাটে তবু হয়না পারাপার।
কনীনিকা কাঁদে বারেবার,
এ কোন সর্বনাশ হলো আমার।
স্থিরসঙ্কল্প অভীষ্ট শূণ্য বদন,
কলিজা পোড়ে চিতার মতন।
রূদ্ধ পুষ্পরস মম বন্ধন,
অগ্নিশিখায় আজ চিত্তের লুন্ঠন।
আমি আর ধারিনা নিজেকে ছাড়া,
এবার ভাঙ্গিবো পাষান কারা।
আমি প্লাবিয়া বেড়াবো উর্বী সারা,
হয়ে আকুল পাগল পারা।
শিখর হইতে শিখরে ছুটিবো,
ভোদর হইতে ভোদরে লুটিবো।
খলো খল হেঁসে আর্তি টুটাবো,
তালে তালে তালি ফুটাবো।
এতো কথা আছে,এতো গান আছে,
এতো ছন্দ আছে মোর।
এতো সুখ আছে,এতো সাধ আছে,
তবু প্রান হয়ে আছে ভোর।
ভাঙরে হৃদয় আজ ভাঙ্গরে বাধন,
হয়নি যখন প্রানের সাধন।
বলিদানে মোর ঠেকলো জীবন,
কিসে আদর আর কিসে শাসন।
ভাঙিয়া যখন উঠেছে বাসনা,
ক্ষীণ জগত লইয়া কিসের ডর?
লহরির পরে লহর তুলিয়া,
আঘাতের পর উঠিয়া আঘাত কর।