আগের কালের গনির দাদাই ছিলেন বড় ধনী,
ট্যাঁক ভরা তার পয়সা ছিলো হীরে মুক্তো মণি।
শ' দেড়শো খান গরুর গাড়ি টানত দাদার ধান,
একটু খুশির খবর এলেই ছুটতো টাকার বান।

দাদার ছিল তিন হাতি ও পঁচিশটি মোট ঘোড়া,
দুইটি ঘোড়ার খুর ক'টি পা'র জহরতেই মোড়া।
গনির দাদায় যান যেথা তার টমটমেতেই চড়ে,
ধন্যি লোকে হত ঘোড়ার সোনার পায়েই পড়ে।

এমনি বেজায় চলছে যখন গনির দাদার ঘড়ি,
ঠিক তখন হায় যমদূতে ধায় তাহার রাস্তা ধরি।
গনির দাদায় ভর দুপুরেই দেখেন কালা কালা,
এবার তবে ঘনিয়ে এলো বিদায় নেবার পালা।

দাদাতো বেশ বিদায় নিলেন অজস্র ধন ফেলে,
গনির বাবাই সব ফুড়োলেন জুয়া খেলে খেলে।
রইলো কেবল ঘর বাড়ি আর দু'চার কানি ভূঁই,
চড়ুই জোড়া ও ঘর বাধে না এমনই ঘরের টুঁই।

এখন গনির বেহাল দশাই দিন এনে দিন খেয়ে,
রাজার নাতির ঘামটি ঝড়ে দু'গাল বেয়ে বেয়ে।
যে কাজে যায় হয়কি নাহয় ফোস্কা পড়ে পিঠে,
জীবন যখন পানসে স্বাদ এর লঙ্কা তখন মিঠে।

দাদা ছিলেন রাজার মতোন নাতিটি তার শেষে,
যখন যা পায় হাত পেতে খায় মাধুকরীর বেশে।
আঁচ করে তাই বলি তাদের নায়ক যারাই ভবে,
আজ তুমি ভাই যা আছো তা কাল অবধি রবে?

------------********-----------
তারিখঃ ২৬/০৭/২০২১ইং
সময়ঃ ১২:০০ঘটিকা/মাওয়া