তোমাদের এ ইট পাথরের শহর থেকে
আমায় মুক্তি দেবে ?
এ শহর ছেড়ে আমি চলে যেতে চাই
সহস্র ক্রোশ দূরের কোন গাঁয়।


যেখানে দখিনা হাওয়ায় ধানের ক্ষেতে
মনোমুগ্ধকর নৃত্য চলে অবিরাম,
ফিঙে আর দোয়েলেরা কাকতাড়ুয়ার উপর  
সে নাচে তাল মেলায় ।
সুপারি পাতার বেড়ার উপর দাড়িয়ে
আর্তনাদ করে দুপুরের তৃষ্ণার্ত কাক।
বুলবুলিরা কেটে দিয়ে যায় মাচার উপর
সদ্য ফুটে থাকা ঝিঙে ফুল।


যেখানে অলস দুপুরে ক্লান্ত কিষাণ  
বটের শীতল ছায়ায় ঝিমোয় ।
তার একটু দূরে ডোবার জলের দিকে
তাক করে বসে থাকে লালঠোটের মাছরাঙা।
নদীর ঘাটে জল আনতে গিয়ে  
জোয়ারের  স্রোতে কলসি হারিয়ে
ডরে ডরে ঘরে ফেরে চঞ্চল কিশোরী।


এখানে কানের পর্দা ফাটানো গাড়ির হর্ণ
অস্থির করে তোলে আমায়
ফুটপাত গুলো দখল হয়ে আছে পৈত্রিক সম্পত্তির মত।
ধুলোবালি আর গাড়ির কাঁলো ধোঁয়ায় পায়েচারী করারও উপায় নেই।  
রাস্তার মোড়ে মোড়ে ময়লা আবর্জনার স্তুবথেকে আসা
বিকট গন্ধে ধম বন্ধ হয়ে আসে।


জীবিকার খোঁজে এসে আটকে গেছি
বাস্তবতার গোলক ধাঁধাঁয়,
বেরোনের পথ খুঁজে পাই না কোথাও।
আমায় মুক্তি দাও এ শহুরে জীবন থেকে
অথবা আমায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা কর
তোমাদের এ যান্ত্রিক শহরে।


বন্দর, চট্টগ্রাম।