তরিকুল ইসলাম রিয়াজ


চির সবুজের কলো কাকলির দেশে
বহুদূর গিয়ে ক্লান্ত পথের শেষে,
একটু ছায়ায় এসে থমকে দাঁড়ালাম
সামনে সবুজ গাঁও দেখে মন যে হারালাম ।
উদাস দুপুর বেলায়
কলসি কাকে নুপুর আছে পায়,
কোন রূপসী নদীর ঘাটে জল আনিতে যায় ।
লাল শাড়ীতে ঘোমটা দিয়ে লজ্জাবতী মেয়ে
সবাই তাহার পথ পানে থাকে শুধুই চেয়ে ।
ধমকা বাতাস আচল নিলো
চুল গুলো তার উড়ে ,
চাঁদ মুখেতে হাসি দিলেই
রুপ যে তাহার ঝরে ।
তখন মেঘের ছায়ায়
দুটি পাখি গান গেয়ে যায়
বসে মুক্ত হাওয়ায় ।
ভেজা পায়ে জল উঠালো
সেই রূপসী একা,
কাজল মাখা চোখে তাহার
কত যে স্বপ্ন আঁকা ।
রাতের চাঁদ হার মানে বুঝি
ঐ রূপসীর কাছে,
ঝড়ে যাওয়া ফুল তারও ভালো লাগে
সে যখনই হাসে ।
কখন যে বেলা গড়িয়ে গেল
তাকে নিয়ে ভেবে ভেবে,
আজিকে সন্ধ্যা হল বুঝি
আলো যায় ঐ নিভে ।
ক্লান্ত হয়ে চলেছি আমি
একাকি নীরব পথে,
কিছু নেই তবু সে ছিল শুধু
আমারি ভাবনার সাথে ।
কত মনোরম দৃশ্য দেখিলাম
কিছুই ভাসেনা চোখে,
সবই যেন হায় গিয়েছি ভুলে
মেয়েটি রয়েছে বুকে ।
কত নদী সবুজ বৃক্ষ
কত যে রঙিন ফুল ,
দক্ষিণা হাওয়া লেগেছে গায়ে
উড়েছে তার চুল ।
আজ নিরবে ডাকিব তারে
কোন সুরে গান গেয়ে,
সব কিছু ছেড়ে মন কারিল
রূপসী বাংলার মেয়ে ।