আমার প্রাণের শহরের ছলছল চোখে উছলে ওঠে স্মৃতি
জলছবির আনাচে কানাচে উঁকি দেয় শরতের আগমনী।
কচুরিপানার স্পর্ধা জাগেনা আর, ভেপারের আলোয় ফিকে হয় রাতের সব চিঠি
জোনাকিরাও কান পাতেনা আর, বাঁশের ঝাড়ে আটকা পড়ে বাঁশির প্রতিধ্বনি………  
পুজো এলে পাগল করে, মুছে যাওয়া বকুল আর ছাতিমের পাগলামি
বয়ঃসন্ধির শরীরের গন্ধ, মনে করতে আর পারিনা আমি !!!
আবার কোন এক জন্মান্তরি বসন্ত এলে .............  
রক্ত-পলাশ আনতে যাবো, খোয়াইয়ের মন খুঁড়ে    
আঁধারের ঠোঁটে চুম্বনের দাগ, চলকে উঠে সীমানা ভাসায়  
কাজলা নদীতে আঁজলা ভাসিয়ে, বানভাসি পথ আচমকা হারায় !!
বিপ্লবের রক্ত-পতাকা এখনও উড়তে দেখি বহুতলের বাহুল্য বেয়ে
বিপ্লবীরা এখন স্বপ্ন বেচে, বিশ্বায়নের বর্ণাঢ্য উঠোন ছেয়ে !
অন্তর্বাসের হোরডিঙ থেকে ছিটকে বের হয় আগুন
অন্তঃসলিলার অন্তর জুড়ে শুধু আগুন-রঙা ফাগুন ।  
কলকাতা কি ভুলে গেছে রামধনু আঁকা সূর্যস্নান !!!
আমার নাম ...... তোমার নাম ...... অথবা ভিয়েতনাম !!!!!!!