একটি কৃষ্ণচূড়াসহ একটি পলাশ
সেই ছেলেবেলায় পুঁতেছিলাম-
লাল মাটির দেশে
ঘরের কোণায়,
রবির তাপ আর শীতল ছায়ায়
ওরা বাড়ছিল তরতরিয়ে।

বেশ মনে পড়ে-
একবার কৃষ্ণচূড়ার কটি ডাল
বাবা ছেঁটে দিলেন,
আঘাত পেয়েছিলাম মনে মনে।
চোখের জলের মূল্য দেয় না কেউ,
তাই নীরবে তা মুছেও নিয়েছিলাম।
বাবা হয়তো কিছু বুঝে
পলাশকে রেহাই দিয়েছিল।

প্রতিবছরই সাজগোজ করে
ফুল ফুটতো বসন্ত আহবানে,
আসতো বসন্তদূত সুরের ডালি হাতে।
সবাই মিলে আমায় পাগল করে দিত।
এমনি করেই একদিন একটি কৃষ্ণচূড়া
নাগাল পেল একটি কবরীর,
পলাশ মালা উঠলো তার গলায়।

এরপর ওদের সাথে সখ্যতার সময় কই?
ওরা বাড়ছে ওদের মতোই,
আর আমি তখন জীবন নাট্যে নট।
তবুও বসন্ত আসে নিত্য নিয়মিত,
ভরায় আমার সংসার সমুদ্র।
এমনই এক বসন্তে কবরী বন্ধনের থেকে
মুক্ত হলাম আমি।

আজও বৃক্ষ দুটির তলে দেখি
কচিকাঁচাদের ভীড়, নিশ্চিন্ত ভ্রমন।
গুঞ্জরণ!!
এখন আমার অনন্ত সময়,
আজো কোকিলের কুহু
মনে দোলা দেয়,
তবে সবই আমি দূর হতে দেখি,
আজ আমার চলার শক্তি কই?
পাল্লা দিতে পারি না কারও সাথে।

সময় পেলেই ডুবে যাই
রবির সেই আলো আঁধারিতে,
আজ সেই আমার নীরব আশ্রয়,
যা কোনদিনই
বঞ্চনার বেড়াজালে বাঁধেনা কাউকে!