নোনা জলে কেটে গেল আরেকটি
বিভৎস রাত।
মশারির নিরাপত্তার মাঝেও ছিল
খুদার্থ মশকের অপ্রত্যাশিত উৎপাত।
টিনের চালের উপর গাছের পাতাই
জমে থাকা শিশির ঝরার শব্দ,
আর ডাহুকের হুংকার ছাড়া সবকিছুই
ছিল নিস্তব্ধ।
আমার দুঃখ গুলো চোখে উৎপাদিত তরল
হয়ে ঝরছিল বালিশে,
সে তরলের প্রতিটা ফোটায় ক্ষণ
জনমেন বেদনা-কাব্য আছে মিশে।
চোখের জলের গাড় রং আছে,
বাহির থেকে বোঝা না গেলেও
প্রতিটি অশ্রুসিক্ত অভাগা জানে
কতটা বিবর্ণ,বিভৎস,বিভীষিকাময় হতে
পারে অশ্রকণা।
অশ্রুতে মিশে থাকে আবেগ-অনুভুতি,
থাাকে হাহাকার,আহাজারি, সহানুভূতি
আর অসহ্য যন্ত্রনা।
অকথ্য আবেগ আর বর্ণনাতীত অনুভুতি
গুলো জমানো থাকে নোনা জলে।
নোনা জলের সেই অব্যাক্ত আবেগ আর
অনুভুতি গুলো চাপা পড়ে থাকে মুখ
ভরা হাসির অতলে।
চোয়াল বেয়ে অঝরে ঝরতে থাকে
চোখের পানি,
তাতে কমেনা খুধার্তের আর্তনাদ,
কমেনা পাপিষ্ঠের পাপ,
বাড়তে থাকে সুখ সন্ধানী মানুষের
অসুখের বিলাপ।
যে নিশিতে চোখ জোড়ার বিশ্রাম
নেবার কথা ছিল, সে নিশিতে
দুচোখে বইতে থাকে নোনা বেদনার
ঢেউ
অথচ সে নোনা পানির গুপ্ত গল্প আজও
বুঝলোনা কেউ।
তাই এ গভীর রাতে আমি যে
নিঃসম্বল
বেচে থাকার খোরাক কেবল দুটি চোখ,
আর তার নোনা জল।