যে স্মৃতী আমারে কাঁদায়,
তুমুল অনিচ্ছা সত্তেও মন ছুটে যাই সে স্মৃতীর পাতায়।
মনের সাথে যুদ্ধ করি,
পরাজিত হই,
আমি যে মনের ঊর্ধ্বে নই।
তীক্ত মনে স্মৃতীর ডায়েরি খুলে বসে আছি,
তোমার দেয়া চশমাটাও আছে কাছাকাছি।
স্মৃতীর প্রতিটি পাতায় তোমার আমার প্রেমের প্রতিটি চিহ্ন লিপিব্ধ আছে
তুমিময় সে দিন গুলোর চিহ্ন।
যে তুমি কারনে অকারনে  আমার কথা শুনে হাসতে,কাঁদতে,
কখনো বা অভিমানে রাগতে।
আমার আপ্রাণ চেষ্টাই তোমার অভিমান ভাঙার পর লজ্জাই মুখ লুকাতে।
তোমার সে লাজুক মুখ শিশির ভেজা লজ্জাবতী পাতার মত লাগত।
এদিকে আমার বিবাগী মনে এক অদ্ভুত ভালোলাগা আসত।
ভাবতাম আমি পেরেছি,
আমি পেরেছি তোমার অভিমানের দেয়াল ভাঙাতে,
তোমার চন্দ্রমুখ লাজুকতার রঙে রাঙাতে,
পেরেছি আমি তোময় কতটা ভালোবাসি জানাতে।


---আবার ফিরে আসি,
মুখে নিয়ে চিলতে ব্যার্থতার হাসি।
ফিরে আসি সজ্ঞানে,
স্মৃতীতে লেখা সুখ গুলো তরল হয়ে ঝরে পড়ে দুচোখ বেয়ে।
তর্জনী আঙুলে সে তরল মুছে ফেলি।
কঠোর হয়ে নিজেকে বলি,
কেন? কেন কাঁদি আমি?
যে তুমি নেই, সে তোমাকে ভেবে কেন অযথা চোখের জল ঝরায়?
বাস্তবতা ভুলে কেনইবা বিষাক্ত স্মৃতীতে হারায়?
আর কাঁদব না আমি
স্মৃতীর ডায়রি আর খুলব না,
মুছব না আর তর্জনীর আঙুলে চোখের জল
নোনাজল যে বড়ই নিষ্ফল।
তুমিতো আমাই ভুলে ভালোই আছো,
আমিও ভালোথাকতে চাই।
স্মৃতীর পাতায় মরতে চাইনা আমি,
আপন শক্তিতে বাঁচতে চাই।
ভুলতে চাই তোমাই।
জানিনা পারব কিনা।
হয়ত পারবো, কিংবা না।