স্বাধীন হয়েছে দেশ,বিদেশীর থেকে,
দেশি চামড়া গায়ে,গিরগিটি গুলো কে?
জনতার স্বাধীনতা,হরণ করে যারা
বিদেশীর মতো আচরণ,ওরা তবে কারা?
দেশ স্বাধীন!জনগণের কথা
দুষ্কৃতকারীরা বলে,"ভালো আছে হেথা"।
জনতা ডুকরে কেঁদে মরে,নেই উপায়
নেতার বাচ্চারা যে ভিতর কাঁপায়।
স্বাধীনতা ! আহ্ শ্রবণে,
মুক্ত আমি বাধা ভ্রমণে,
লুপ্ত দুটি পদ দুটি হাত,
প্রতিবাদ মন্দে সুখ বরবাদ।
পক্ষে বচন,হাসি খুশী,
বিপক্ষে উদরে ঘুষি!
উগরে পড়ে রক্ত লালা,
বলে ব্যাটা বেঈমান শালা।
অপছন্দের ভোটার নজর বন্দী ঘরে,
ভোট কেন্দ্রে তাঁর ভোট,শান্তিতে পড়ে।
ভোটার এক শত,এক শত চার
ভোট পড়ে,স্বাধীনচেতার কি বাহার।
ভোট না দিয়েও আঙ্গুলে কালি,বাড়ি যায়
গণতন্ত্র সঁপে দেয় দুষ্টের পায়।
গদি চাই,যে কোন অজুহাতে,
সুরার বোতল ধরায় বেকারের হাতে।
নেড়ো গুঁজে প্রতিবাদীর মুখে,
নইলে গুলির দানা ঢুকে বাম বুকে।
পেটুয়া থাকে কিছু তায়,
মুড়ি ছোলা কিছু পায়।
নিশাচর সম পিস্তল হাতে ঘুরে দ্বারে,
শাসাইতে আপনজনকে ঠেঙ্গাইবার তরে।
ভারত "মা "মুক্ত হয়েছে আজ
বিদেশীর থেকে;নেড়ী করতে রাজ?
দেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিক;তবে
দুষ্কৃতির পরাধীনতায় জুজু সবে।
যখন যে যেখানে বসে সিংহাসনে,
সেখানে সে রাজা,একনায়কতন্ত্র সেখানে।
বিরোধীদের মারে গলা টিপে,
প্রশাসনকে গাঁথে তাঁর ছিপে।
স্বাধীনতা চাই আর একবার,
স্বার্থন্বেষী,প্রবঞ্চক থাকবেনা আর।
দল,জাতি ভেদাভেদ সব ভুলি,
রাজনীতির উর্দ্ধে যেন চলি।
হিংসা,ঈর্ষা,লোভ,লালসা না থাকবে সেথা,
মিলে মিশে থাকবো প্রেমে গাঁথা।
বিবাদ না লাগাবে কেউ ভাই ভাইয়ে,
আগলে রাখিব মোরা ভারত মায়ে।
                       ---------  রঞ্জন  গিরি।