একাল সেকাল
রণজিৎ মাইতি


বর্তমান তোমায় গভীর থেকে দেখি,  
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে, পুঙ্খানুপুঙ্খ।
তোমার রক্ত মাস হাড়
বা তারও গভীরে গিয়ে টেনে আনি
তোমার কলিজা।
জন্মেছি যে কালে যে দেশে
শুনি,সে পুণ্যভুমি।


অতীতেও দেখি--
অতীতের পাতা থেকে।
জং ধরা বিবর্ণ, ঝুরো ঝুরো,
যা খসে পড়ছে
তোমার সারা গায়ে।
দুর ছাই,ঐ ছাই কি আমি মাখবো !


মহাভারতে দেখি,-
সাম্রাজ্যের লোভে কপটতা।
কৌরব শকুনি মাখামাখি,
শকুনি মাতুল তুমি , সুহৃদ।
তবে কেন কপট অক্ষখেলা, বাজি।
কুল কামিনীরে তুমি নামালে কোথায় !
হে আচার্য,ভেবে দেখ
একি তব সম জৈষ্ঠে শোভা পায়?
তুমি ও হে জাহ্নবী নন্দন, কুল শ্রেষ্ঠ
সহিলে কেমনে পাঞ্চালীর হেন অপমান!
না কি এ পুরুষের দোষ ?কহ পুরুষ বচনে।


রামায়ণ, হে রচক
আদিকবি রত্নাকর বাল্মীকি,
জানকীরে তুমি পাঠালে কোথায়।
শ্বাপদ শঙ্কুল পথ,বড়ই অগম
নাম পঞ্চবটী।
সারা পৃথিবী জানে,
স্ত্রৈণ সে যে রাজা দশরথ।
কিন্তু হায় রাম! দাশরথি,
রঘুকুলতিলক, বীরচূড়ামণি
নিজ ভার্যা আসন্ন প্রসবা জেনেও
কোন পতি পারে দিতে দূর দেশে তারে?
হে পুরুষশ্রেষ্ঠ, তুমিও জাননা,
কতটা প্রয়োজন কাছে থাকা,এ সময়।
তবু পাঠাইলে, দিতে হলো তারে
স্বহা পতি বৈশ্বানরে ক্ষুধার ইন্ধন।
আর যত দাশরথি নির্বাক নিছক।
নেই কোন প্রতিবাদ, বাদ- অনুবাদ।


যেমন একালে এদেশে
নারী অপমান শুনি খবরে প্রতিদিন।
যেন কোন দায় নেই শাসকের,
ব্যধিমন্দির এ শরীর, রোগ তো হবেই
সমাজ শরীরে তাই বলাৎকার,
নয় কোন আশ্চর্য ঘটনা।


হায়! রাম রাম,
কোন দিন এর
হবে না কি শেষ???