মুক্তির স্বাদ
----
কাব্যভূষণ রমেন মজুমদার,
পিএএসপি-০১১
তারিখ-২০/০৪/২৪
-----
দুই চক্ষু দ্বারা দেখি বিশ্বে কত রূপ!
দুই কর্ণে শুনি তার জয়-ক্ষয় গান;
বিচিত্র জগতে রয় বিশ্বের স্বরূপ...
বিধাতা করিছে তার কত শত দান।।


একান্তে বসিয়া ভাবি,রুদ্ধ করি দ্বার;
অদৃশ্য আত্মার রূপ; দেখিতে না পাই,
চারিপাশ জলাধার পাবো কী উদ্ধার!
আত্ম মুক্তি কালে আমি কাহারে শুধাই।।


দুই চক্ষু স্তব্ধ যবে, দেখিবে না ধরা ...
বিশ্বমহাতরী ঘাটে ভিড়িবে যখন ...
আমার অস্তিত্ব আমি বুঝিব না মরা!
চারিপাশে ঢেউ তুলে উঠিবে ক্রন্দন।।


স্বজন ঘিরিয়া যবে,হুতাশ করিবে ...
অম্বর আকুল করে বিচার শালায়,
জয় ধ্বনি বলে সবে অশ্রু ফেলিবে
মোহমুক্তি সন্তরিব; ঈশ্বর দয়ায়।।


বিচিত্র সৌন্দর্য ভরা ব্যাপিয়া পৃথিবী,
চতুর্দিকে শোভা কত! কিরণের ছটা;
ধীর প্রাণ ছুটে যাবে, রবে মুদি আঁখি!
চন্দন ফুলের তোড়া জোগারের ঘটা।।


সকরুণ শূন্যপথ!--অনন্ত জগৎ!
অশ্রু ফেলে বিশ্বমাতা লইবে শ্মশানে!
বিচারের কাঠগড়া; দুরূহ শপথ!
ছুটে যাব অনন্তর পথ তারি দানে।।


কোথাসুখ,কোথাকান্না?- নীরব নিথরে,
মহাপ্রস্থান ঘটিবে!-- যাব ধীরে ধীরে!
দুঃখশোক! জরাজীর্ণ; পাপ হবে ক্ষয়!
আমার অস্তিত্ব ছাই!-অনিলের জয়।।


দেখিবে সকলে চেয়ে,কাঁদে বিশ্ব প্রাণ!
সমাধি মুক্তির পথে রেখে যাব দান;--
যেমনি ছিল অম্বর,তেমনি রহিবে --
সেইআঁখি কর্ণদ্বয়-- আর কি কহিবে?


নিখিল ক্রন্দন-হাসি; হাহাকার রব!
ব্যথিত মুক্তির স্বাদ,--রহিবে নীরব।।
পলে পলে দশদিক অসংখ্য পরানে
মুক্তির শিয়রে সবে উৎসর্গ দানে ।


কোথা মোর প্রিয়বন্ধু,কোথা মোর প্রিয়া ?
দু'দিন খেলেছি খেলা আপন ভাবিয়া...
একদিন খেলাঘর কালের গহ্বরে !
যাইবে ভাসিয়া শেষে অসীমের ঘরে।।
----সমাপ্ত।।