অভাগার পেটে কালো আজদাহা
যখনই জাগে
সিঁদুরের চোখ মেলে,
দাঁত দিয়ে ছোঁয় হিমালয় চাপে
হাড়ের সীমানা
দোযখের বিষ ঢেলে|
মাথার কোটরে পৃথিবীকে করে
ঘূর্ণায়মান
দ্রুত চরকীর চাকা,
সবুজ মুখর যুবা  দেহ তার
মুখ ভরে খায়
ধূসর উপত্যাকা|
পায়ের পরিধি গুটে নেয় পথ
সমুদ্র জ্বালা
এলোমেলো করে ধাপ,
কঙ্কাল দেহে ভর করে যেন
লোহায় জমানো
সাত পৃথিবীর মাপ|
তবুও সে দেহ টেনে নিয়ে যায়
নেভাতে মৃত্যু
টলমল দুটি পায়,
উঁচুদের বোঝা,পথে যেতে যদি
অক্ষমতায়
কখনো তা মাটি খায়|
তবে উঁচুদের গলা থেকে ছোটে
তীক্ষ্ন অযুত
কালো বিষময় মুখ,
পাঁচ আঙ্গুলে গোধুলী কে ধরে
ফুটিয়ে কপোলে
পাও দিয়ে পোঁতে বুক|
অভাগার দাঁত মাটি খুঁড়ে চলে
ব্যথার শাবলে
গলা থেকে ক্ষীণ সুর,
করুণ শব্দে ছুটে চলে আর
মানবতা লাজে
লুকায় অচিনপুর|
শোন উঁচু সবে তোমরা কি কভু
খেয়েছ সে দাঁত
নীল বিষধর থেকে?
তবে কি বুঝবে ঘন রসে তার
কতটা মৃত্যু
চারপাশে বসে জেঁকে?|
তোমরা যেসব উচ্ছিষ্ট কে
ঘৃণায় মুড়িয়ে
ডাস্টবিনে ফেলে দাও,
কখনো কি চেয়ে দেখেছো সেসব
গোগ্রাসে ছোঁয়
কিছু মানুষের গাও?|
তাই বলি শোন যাদের ভিতরে
ভীম আজদাহা
অহরহঃ বাস করে,
কিছু মানবতা তাদের জমীনে
ছড়িয়ে দিয়ো গো
সবুজ ঘাসের তরে|
তবুও ওদের কিছুটা বেদনা
দুরে সরে গিয়ে
বাঁচাবে ধূসর প্রাণ,
চৈত্রের ঠোটে বর্ষার হাসি
অঝোর ধারায়
বয়ে যাবে অফুরাণ|