অভুক্ত অতীতের প্রগাঢ় শিমুল-চোখে
আমি যেন  রক্তবাহী খাদ্য,
আয়ত্ত্বে দিয়ে তার ধূলো কোথা  পালাবার
আমারতো নেই বালি-সাধ্য|
আমায় বন্দী করে দু চোখের কাঁটাতারে
বিভত্‍স হাসে তার দুই ঠোট,
সমুদ্র নীলাঘাতি বুক ভাঙ্গা চিত্‍কার
আকাশকে দিয়ে যায় ভাঙা চোট|
রক্ত ও নোনাজল অঝোর বরষা হয়
আমি হই শূণ্যের সহচর,
ব্যাথানীল এই দেহে ভর করে অসহ্য
ওপারের হাতছানি নীলজ্বর|
দৃষ্টির সবুজেরা ফ্যাকাশে কুয়াশা হয়
অনতিদুরেরা তাই কালো  বেশ,
ভেদ করে সেই রেখা স্বপ্ন যায়না ছোঁয়া
কোথা যেন হয় তারা নিঃশেষ|
যখন রাতের কোলে একাকী প্রহর এসে
বেঁহুশ বুলিয়ে যায় সুখী চুম,
তখন ব্যথার ভারে কাতর আমার চোখ
একা একা রাত জাগে নির্ঘুম|
ক্রমে ক্রমে দেহ ভূমে কঙ্কাল নেচে যায়
পাঁজরের হাড় কাঁটে ঘুন-খোর,
চলত্‍শক্তিহীন আমি হই নিস্তেজ
ঘনীভূত হয়ে আসে শেষ ভোর|
চৈত্র এ কলিজাটা সূর্যের বারোমুখি
আগুনে আগুনে হয় চৌচির,
আমি হই জলহীন দুপুরের মরুভূমি
পিপাসা পায়না দেখা সস্থির|
জোছনার ঝরা জল বড়ই বিষাদময়
একতিল মাধুর্য নেই তাতে,
ও যদি জোছনা নয় প্রবল বৃষ্টি হতো
তবে যে মিটতো তৃষা কলিজাতে|
বরং সে মরিচীকা বরফের মায়া রূপ
তৃষ্ণাকে বেড়ে করে দুইগুন,
আমায় নিয়ে সে ক'রে যেন শুধু উপহাস
বাঁকা হাসি হেসে হেসে হয় খুন|
নিঃশাস বের হয়ে চায়নাতো প্রশ্বাস
ছুঁয়ে যেতে ফের ফিরে এই নাক,
জীবন্মৃত এ আমি সয়ে যাই মৃত্যুকে
কন্ঠ শরীরে মাখে নির্বাক|
এভাবেই একদিন বেদনার বিষনীলে
মহাকাল বুকে হবো তিরোভূত,
জীবনের পরিধিটা গড়াবে অসীম খাদে
আমি হবো বেদনার চোখচ্যুত|
ভাল থেকো হে পৃথিবী তারেই দিওগো ঢেলে
সোনারঙা বাসন্তী সুপ্রহর,
অগোচরে তার সুখে ভরাবো আমার চোখ
শুয়ে শুয়ে অচিনের সে শহর|


১০-০৩-২০১৪