¤¤¤¤¤¤গ্রীষ্ম¤¤¤¤¤¤
গ্রীষ্মের গগনেতে আগ্-
প্রভাকর,
কাঠ ফাটা রোদে চিড় ধরে
মাটি পর|
ঘাম ঝরে দরদর শুধু
অবিরাম,
লাগেনাযে ভাল তাই কৃষকের
কাম|
চাতক কাঁদিয়া মরে বৃষ্টির
তরে,
রৌদ্র-অনলে ধরা ছটফট
করে|
মুমূর্ষ হয়ে উঠে সকলের
প্রাণ,
গাঁ-মানুষ গেয়ে উঠে মাগনের
গান|
মেঘ দেরে পানি দেরে ওহে
দয়াময়!
ঘুচাতে ধরার খরা আজি এ
সময়|
সহসা আকাশ ভরে উঠে কালো
মেঘে,
কাল বৈশাখী ঝড় যে প্রবল
বেগে|
শুরু হয়,মড়মড় ভাঙ্গে শাখী
ডাল,
ডোবে বহু নৌযান উড়ে গেহ
চাল|
গ্রীষ্ম ফলের ঋতু বিভিদ
প্রকার,
ফলে ফল আম জাম কাঠাল
অপার|
ফুলবনে ফোটে শত বেলী জবা
ফুল,
সাথে ফের প্রস্ফুটিত হয় যে
বকুল|
কুড়িয়ে সে ফুল বধু গাথি
ফুলমালা,
সাজায় প্রিয়ের তরে বরণের
ডালা|
¤¤¤¤¤বর্ষা¤¤¤¤¤
গ্রীষ্মের খরতাপে যবে এ
ভূবন,
জ্বলে হয় অঙ্গার ঠিক সেই
ক্ষণ্|
বর্ষা নতুন রূপে আসে গেয়ে
গান,
পায়ে তুলি বৃষ্টির নুপুরের
তান|
সে আসে মেঘের পিঠে করি
আরোহন,
বিজলী-নিশান করি দু হাতে
ধারণ|
আকাশটা থাকে তার মেঘে মেঘে
ভরা,
দিবা নিশী একটানা ঝরে
নীরধারা|
নদী নালা খাল বিল ঋতু
বরষায়,
ভরে উঠে জল-ধারে কানায়
কানায়|
হেলেঞ্চা কলমিলতা বায়ে দোল
খায়,
কদম আর কেয়া ফুল সুবাস
ছড়ায়|
ধান ও পাটের চারা উঠে বড়
হয়ে,
মনসুখে গান করে ব্যাঙ নব
তোয়ে|
বর্ষায় নেচে উঠে কৃষকের
প্রাণ,
ঘরে তোলে ভারা ভারা আউসের
ধান|
রুগ্ন ধরনী-তনু পরশে যে
তার,
জাগে নিয়ে দেহে নব রূপের
বাহার|
সুজলা-সুফলা হয় বাংলার
ভূমি,
ধূসর সবুজ হয় তার পদ
চুমি|
বরষার বৃষ্টি যে এদেশের
পর,
রিমঝিম সুর তালে ঝরে
ঝরঝর|
_____________________চলবে--