‘আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়’
গানের লাইনটি মাথায় ঝিঁঝিঁ পোকা হয়ে ঘুরছে।
জানলার ধারে জমে থাকা কিছু ঘোলাটে হলুদ কুয়াশা
নিজেই নিজের পিঠে হাত বুলাচ্ছে।
সকালের কাঁধে চড়ে দুপুর এলো, আবার
দুপুরের কোলে সন্ধ্যা চোখ বোজে আবেশে।
এমন কত দিন গেছে দরজার চৌকাঠে পা ঝুলিয়ে
চায়ের চামচে গুনে গুনে জীবনকে মেপেছি।
চেনা অচেনা দুঃখগুলোকে মৌচাকের কুঠুরিতে স্তরে স্তরে সাজিয়ে
মধু মাখিয়ে রসালো করেছি, কারো মন ছোঁয়ার আশায়।
বাদামের খোসা জলে ভাসিয়ে তাতে শুয়ে ঘোর আমবস্যায় তারা গুনেছি।
কড়ে আঙুলের ফাঁক গলে চুইয়ে পড়া জোছনার আলোয় স্নাত হয়ে
শুদ্ধতার লেবাসে নিজেকে জড়িয়ে কবিতার খাতায় আঁকিবুঁকি কেটেছি ।
পাতার বাঁশীতে সুর বাজিয়ে সাপের গর্তে ঢুকিয়েছি হাত।
দিগন্ত রেখাকে সাক্ষী রেখে আকাশ ছুঁতে গিয়ে ভেঙ্গে চুড়চুড় হয়েছি ।
আর আজ? আমার শুন্য থালায় জমেছে নানান প্রশ্ন,
মনের সিঁড়ি ঘর থেকে উঁকি দেয় চাপা অভিমান;
খুব পরিচিত সকাল, দুপুর, বিকেল গুলো চরকির মতন বদলায় নিমেষে।
চেনা কণ্ঠরা অচেনা হয় সময়ের চাবুকের প্রবল ঘা এ ।
আজ আমার সন্ধ্যা গুলো ভাগাভাগি হয় শুধুই আকাশের সাথে।