একাকি জাগিয়া রাতের আঁধারে
খুজেছি কত যে আশা
দেখেছি সেখানে নিভৃতে কাঁদে
মানুষের ভালোবাসা।
শুনেছি অদুরে কান পাতিয়া
দুস্তর আঁধার ভেদি
দুর্গম গিরি চরণে দলিয়া
গাহে গান দোহে প্রীতির।
দেখি স্বপ্নেরা রাতের আকাশে
দুর্বার পাখা মেলে
মন চায়, তবু দুহাতে ধরেনা
অসম্মানের ভয় পেয়ে।
শুনেছি আঁধারে বিষাদের বাশি
কত প্রানের হা হা কার
অন্ন ক্ষুধার যাতনা সেথায়
হানা দেয় বার বার।
চুপি চুপি কেহ বলিতেছে শুনি
প্রনয়ের অভিসারে।
শুভালিংগনের বাঁধন সেখানে
বিস্তর অধিকারে।
কাহারো চোখে ঘুম নাই রাতে
দরিদ্রের কশা ঘাতে
চোরে চুরি করে, জানে কি মানুষ
জীবনের প্রয়োজনে?
বাতাসে বাজে কি, শুনে চমকাই
কর্কট চিৎকার
মানুষ হইয়া মারে যে মানুষ
হীন তারে ধিক্কার।
শৃগাল শকুনি জাগ্রত বুঝি
রক্তের ঘ্রান পেয়ে
জাগিলে ধরনী ঘুমাবে ওরা
হারামের খাবি খেয়ে।
ঐ শুনি কোথা ডাহুক কুহুক
ডেকে উঠে ক্ষনে ক্ষনে
পতঙ্গ সব জেগে কেন তারা
কিসের অন্বেষণে?
সুন্দর সুখে প্রকৃতির বুকে
মানুষের মায়া লাগি
ঘুম ভাঙ্গা সুরে গান গায় শুনি
শান্তির সুখ পাখি।
রূপসী রাতের রূপময় ছবি
একে যায় কত কবি
অলক্ষে পলকে সব রূপ তার
ছড়ায় যে নিরবধি।