তুমি আমার সর্বস্ব নিয়ে যাও।
ছেঁড়া টিশার্ট কিংবা শুকিয়ে যাওয়া অশ্রু।
আমার মনন, আমার স্বপ্ন,
শ্রাবণের অবিরল জলধারা।
দিতে রাজি ফেলে আসা সব ক'টি কালবৈশাখী।
চশমা নেবে?  যৌবনের রঙিন চশমা?
দিয়ে দেবো তাও। দেবো কৃষ্ণচূড়ায় শাখায়
বসন্তের প্রথম ফুলের গাঢ় লালটিও।
হ্যাঁ, আমি সব দিতে রাজি আছি।


শতবর্ষী বৃদ্ধের মতো,
যদি হই কুঁজের ভারে ন্যুজ,
রাজি আছি তাতেও; আমি চাই শুধুই বাঁচতে।
"শত বর্ষ? সহস্র?  "
জানিনা তা। শুধু জানি, মহাকালের
শেষ দিনটির সূর্যাস্ত আমি দেখতে চাই।
সহস্রবর্ষ প্রাচীন সুরার বোতলে ঠোঁট ছুঁইয়ে
পান করবো শেষ বিন্দুটিও।
হ্যাঁ, আমি হতে চাই হিমালয়ের মতোই অমর, অজর।


"কিন্তু সে তো হওয়ার নয় ; হয়নি কখনোই।
ধরায় জন্ম নিয়ে
রয়নি তো কোনো প্রাণ অবিনাশী হয়ে।
অজানার পথ ধরে এসেছিলে,
চলে যাবে অজানায় কোনো এক বিষন্ন সন্ধ্যার আলোয়। "


ধ্বংসেই পূর্ণতা? বিনাশেই সৃষ্টি?
তবে তাই হোক। পথিক আমি,
পথ বেয়ে পৌঁছে যাবো আমার গন্তব্যে।
আমার এ বর্ণময় জীবন তবে কি রয়ে যাবে বৃথাই?
না না ; কখনো নয়।
নশ্বর আমি, অর্ঘ্যদান করে যাবো
আমার মতোই নশ্বর কোন এক সৌন্দর্যে।