আমার চোখ ভারী; ভারী জলে,
তাতে কি তোমার কিছু আসে যায়?
কতো শউকতে সানে তুমি বাংলার রানী।
আমার চোখের অন্তর পাথর হয়ে গেছে-
গেছে আমার মনের দুঃখ চলে-
তুমি নাম ধরে ডেকেছ বলে।
আমি হয়তো বাঁচবো ক্ষণিক-
তোমাকে দিয়ে দেবো আমার বাকি উচ্ছ্বাস।
যখন তুমি কাঁদো,
আমিও কাঁদি মনের গহিন অতলে থেকে থেকে।
খুব ছোট থেকে যে আমি অত্যাচারিত।
তুমি কি তা জানো?
অমানবিক আইনের বাইরে থেকে যে কাজ করা যায়-
সেই জালে আমাকে আবদ্ধ করেও শেষ করতে পারেনি ওরা।
সেদিন দেখেছি স্বপ্নে ভোর রাতে-
আয়ুষ্কাল আছে আমার মাত্র বছর দশেক।
শত কিছুর পরেও হয়তো আল্লাহ্‌ আমাকে দেবেন জান্নাত-
আমি যে কোনদিন কারো ক্ষতি করিনি।
আমি জানি, তুমি আমার জন্য লুকিয়ে দোয়া কর,
আমি বৃষ্টির জলে ভিজে এক কাপড়ে কাঁপতে কাঁপতে-
যদি দু’রাকাত নামাজ শুধু তোমার জন্য পরতে পারতাম-
আমার জীবন মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে যেতো তাঁর কৃপায়।
খুব আপন মনে করেই কাব্যের সুরে যে তুমি বলেছি।
আমার নিঃস্ব এ মনের মুখে তোমরা তাকিওনা।
আমি যে পুড়ে গেছি একটি মিথ্যে ভালোবাসায়।
নিজের দেশে নিজেকে উজার করে বিলিয়ে দিতে চাই।
সে সুযোগটুকু দিও-
হাওরে দিও ঢেলে তোমার ইচ্ছের মতো করে।
আর কিছুই চাইনা।
জীবনটাই উৎসর্গ তোমাদের দু’জনের জন্য।    


(উৎসর্গ- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মহোদয়াকে)