পুলক আরাফাত-এর কবিতাwww.bangla-kobita.com ওয়েবসাইটে পুলক আরাফাত-এর প্রকাশিত কবিতাসমূহ।uuid:2782cc4c-711d-4403-b8f7-50c47540831c;id=10712024-03-28T21:14:53Zhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/gunjon/গুঞ্জন2021-12-28T08:22:01-05:002023-06-25T21:48:01-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>চলার পথে ভীষণ একলা দুপুরের ঋণ শুনিয়ে বিকেল মুচকি হাসে,<br />জীবনের পাতায় এতো গুনে রাখা মুহূর্তের তীব্র অভিমান তাও ডাকে কাছে।<br />জমাট অযুত ভালোলাগা তন্দ্রামগ্ন গোধূলিতে-<br />হঠাৎ থামানো কুয়াশা কাঁপনে বৃষ্টি নাচে।<br />সারা পৃথিবীকে দু’টি হাত বাড়িয়ে ডেকে বলে-<br />ওই তো সেই তোমার হাসি একাকার,<br />হিসেব নেই কেন যে এতো আকর্ষণ এতো মিশে থাকা-<br />আনন্দের রৌদ্রনীল বেদনায়। <br />দুখেরও আছে সুখ,<br />অনেক পাওয়া এতোটুকু জীবনের গল্পে ছেদ হয়তো কোনদিন-<br />কোথাও যেয়ে ফিরে আসাতে কারণে যত মানা-<br />আধো আলোতে চেয়ে খুব চেনা মুখেতে,<br />ভালোবাসা বুনে রাখা ততো সহজ নয় যতোটা প্রেমের রূপসে বেহালে ছড়ে-<br />বিমাত্রার ঘৃণা।<br />মধুর সে সন্ধ্যা খুঁজে নেয়া ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাসে-<br />ঝরঝরে ধুয়াসায় মাতে টিপটিপ,<br />গুঞ্জনের কপোলে রাত নিভুনিভু স্বপ্নের স্বরে,<br />দু’টি বাহু ফুলের গন্ধ ভরা লগ্ন সরিয়ে আর কতো রাখবে?<br />কিছু সময় মিশে যায় উর্বশী এলোচুলের রাজ্যে,<br />বিমুগ্ধ সোহাগের বিচরণে আঁচল ঢাকা মুখটি ধরে,<br />চোখ মেলে দীর্ঘ ছন্দে সেতারের বুকে মালা গাঁথা-<br />লজ্জালাল প্রদীপ আঁধার খুঁজে লীন।<br />ভোরের ঠোঁটে একফালি মুখবোজা বাতাস-<br />চেয়ে দেখে পাশে নেই রাতের ঝড়ের সহচর।<br />ভালোবাসায় কাতরতা থাকে,<br />প্রেমে ভালোবাসা উড়ে ছন্দে বর্ণে বরণে আলোতে-<br />উদাসী প্রীত অক্ষরে দিনবিদিন।<br />আকাশের বাঁকে এতো যে মেঘ শরতে-<br />কাঁপে ঘুরে দূরে সরে সুখের হাসিমুখে।<br />রজনীগন্ধায় মুগ্ধ চোখ হলুদ লাল গোলাপের প্রিয়ে অর্পণ-<br />শিয়রে ছিন্ন বীণা নতুন তারে।<br />যতোই বড় হোক রাত্রি কালো,<br />বেঁধে রাখা উচ্চারণে আগামী দিনের আলো দু’চোখের ভারে।<br />চোখে চোখ কখনো মিলেনি আবডালে মুখশ্রী,<br />শুনে যাওয়া দূর নয় মনের ঠিকানা ওধারে।<br />তুমি বলবে আমি শুনবো তন্ময়ে ছলছল দৃষ্টিজোড়ায় হাসি আসে না।<br />প্রতিশ্রুতি বাঁধনে মরণে আক্ষেপে নীল যে সীমানার রং,<br />দাঁড়িয়ে যেদিন বলবে জীবন,<br />চেনা যে মনের বাহার মহাকাব্যেও কিছু বলে কিছু বলা যে হলো না,<br />এমনি সে অনুভূতি প্রাণের ধরণ।<br />উপহার ছড়ানো গানে গানে সবুজ শাখায় ভেজা পাপড়ি,<br />স্বপ্নভরা দুরন্ত দিন হয় না ম্লান।<br />দূরে ওই অনেক দূরেও অজানা নয় ভ্রমরের গুঞ্জন,<br />না বুঝুক যারা চেনে না।<br />বন্ধ মনের অন্ধদ্বারে উঠে ঝড় প্রকাশে অবশেষে,<br />চন্দ্রিমার আলোয় রূপালি রাত স্নানে সহনে ভেসে...</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/ovvudoy/অভ্যুদয়2021-12-15T14:39:23-05:002023-06-25T21:48:43-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>পেছনে ফিরে তাকালে কতশত মূর্ত আতংকিত মুহূর্ত যে দরজায়-<br />করা নেড়ে গেছে তার কোন ঠিক নেই।<br />ঘুমন্ত সদ্যপ্রসূত শিশুকে না জাগিয়ে উড়িয়ে ফেলে দেয়া মস্তিষ্ক-<br />মায়ের আঁচলে প্রাণপণে অবারিত শান্তি খুঁজতে গিয়ে দেখে-<br />মাতৃজঠর দিকভ্রান্ত নির্যাতিত ওদের চৌকাঠে-<br />বিবর্ণ ক্লান্ত হয়েছে অজস্র এমন কত যে অনাচার আর গ্লানি।<br />কুরে খাচ্ছে আজো যেন সেই তীব্র আর্তনাদ-<br />স্বাধীনতার পঞ্চাশ ছুঁয়ে কথা বলে দিকবিদিক এক করে-<br />অবিচল গুনে শকুনের চঞ্চু মর্মন্তুদ সেই বিষাক্ত রাত্রিদের-<br />এফোঁড়ওফোঁড় গন্ধে ভরা সারা দেহ প্রতিজ্ঞা এমন-<br />যেন আবার যদি আসতো ফিরে একাত্তর,<br />তবে ওদের বুনো উল্লাস টুকরো টুকরো করে-<br />রক্তের আঁখরে ভাসিয়ে ভাষার বুকে লাথি মেরে পিপাসা মেটানো-<br />নরঘাতকদের উর্দি ছিঁড়ে কুটিকুটি করে-<br />পদ্মার বুকে ছড়িয়ে দিতো নয় মাসের জিঘাংসায় খণ্ডিত-<br />ছিন্নভিন্ন ক্ষুণ্ণ বিনাশ হওয়া নারীত্বের পূর্ণগ্রহণ।<br />যে জোর ঝড়ো বাতাসে এলোপাথাড়ি গণব্রজ ঝংকারে-<br />লেলিয়ে দেয়া বজ্রাহতে মূক হয়ে পুরুষের সর্বনাশ চোখের সামনে,<br />দিব্যি কাপড় খুলে দেখা-<br />কে মুসলিম আর কেইবা হিন্দু হলে ধরে নিয়ে আগুনশিখায় দাহ! <br />বিনাপরাধে মারাত্মক যে অনাচার অপাচার পাপাচার,<br />কলঙ্ক ছড়ানো ধর্মের গ্রহে দুর্গন্ধে ঠাঁসা তেঁতো ওদের মুখের বচন,<br />ভয়ঙ্কর দম্ভে পোড়া মুখের দেহে ঠাটানো চোখের প্রতি ইশারায়-<br />ঘৃণ্য বর্বরতা যখন ইচ্ছে যেভাবে হোক ভোগের কলসে জল খুঁজেছে।<br />ন্যাক্কারে জ্বলে আজো কত ঘরের কত প্রদীপ।<br />ভয়াবহ ওদের জাতিসত্তা এখনো মুখ লুকায়,<br />মনের গহীনে দগ্ধ ওরা সে ঢের উপাত্তে।<br />জাগ্রত চোখেদের ভিড়ে এখনো চায়নি ক্ষমা।<br />প্রতিউত্তরে আমাদের অহংকার চোখ বুজে দেখে-<br />হতাশ যেন বিবর্তনে একচ্ছত্র জোড়া পার্শ্বপ্রতিমে বন্ধুত্বের উজালায়।<br />এখনো বাতাসে শুকায়নি নাগরিক দহন।<br />নরকের কীটের মতো এদেশের মাটির বুনটে জেগে উঠা-<br />ত্রাসের দিগম্বরদের বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতার সুবাসিত ঘ্রাণ-<br />কেন যেন ভালো লাগে না কোন সুখের পদব্রজে!<br />এদেশের মাটি চেয়েছিল ওরা; মানুষ নয়।<br />স্পষ্ট করে বলে দিলে ভালো হতো মরুভূমির বালুকাও-<br />চিকমিকে ছিকে হঠাৎ সিক্ত মেঘেদের তালে শুষে নেয়-<br />পা দেয়া মানুষের দেহও দূরে যেন জলের বহরে-<br />পুড়তে থাকা তেষ্টার চোটে মরীচিকা ডাকে-<br />দৃষ্টির সুরে বোনা জীবনের লয়।<br />অনেক পোড়া জলজ্যান্ত স্বাধীনতার পথ সুবর্ণে স্বরূপ খুঁজে-<br />মানুষের প্রহর তরঙ্গে তোরণে হাসে ইতিহাসের সাক্ষী-<br />চিরযৌবনের বলয়।<br />ত্রাসের পর ত্রাস এসেছে নোঙ্গর ঠিকি ফেলেছে উদ্ভাসিত সেই আহ্বান।<br />তারপরও চোখ মুছেছে জাতির বিবেক-<br />অবিন্যস্ত অপদার্থ ঘাতকের আঘাতে আবার যেন ভূলুণ্ঠিত-<br />স্বাধীনতার সুস্বাদের পাতে ছাই ছড়ানো প্রাণের স্তুতির পাড়ে কবর-<br />আজন্ম পরব্রতের।<br />এক জীবনের পরের জীবন অসম্ভবে বুনেছে আশার প্রতিচ্ছায়া,<br />প্রতিটি ঘাসের বুকে জমা প্রতিবিন্দু শিশিরে পা ভিজিয়ে-<br />স্বদেশের পথের হৃদিকে প্রান্তরে মানুষের আলিঙ্গনে-<br />আজ মুখরিত সৃষ্টির কাব্যে উঠে জেগে ভোরের শিশু-<br />খুঁজে অনুভূতির উষ্ণ অনুরাগ।<br />ধর্ম যদি হয় ভিন্নতা তবে সংস্কৃতি রীতি একের অপরের-<br />কেন ভালো লাগে?<br />কেন ভালো লাগে চেয়ে দেখতে পাশের গ্রহকে?<br />অপরুপ যে দেশ আমাদের প্রতি অভ্যুদয়ে সূর্যসমান হেসে-<br />জানিয়ে ফিরে বারবার অত্যাশ্চর্যে গভীর কোলাহলে মেশে,<br />দীপ্তিময় ভালোবেসে যে চোখের ইশারায় ছুঁতে আসে-<br />শীতের হিমেল বর্ণে গন্ধে মিশে যাওয়া-<br />বন্ধুত্বের প্রোতপূর্ত হৃদয়ঘন অভিলাষে।<br />প্রতি বুকে যারা আত্মত্যাগ গুনেছে,<br />জেগে উঠে রক্তলালের শপথ দৃপ্তে হর্ষে বিষাদে বিলুপ্ত কখনো নয়। <br />সঠিক ইতিবৃত্তে মেপে কথা চলুক উদ্ভ্রান্তের মতো নয়।<br />বিভ্রান্তির চোরাছক আর কতো?<br />উজানে আজান-পূজা-প্রার্থনার অবিলম্বে কোটি চোখ,<br />হাতে রেখে হাত সমুখে রক্ততরঙ্গের সতেজ দৃষ্টি-<br />বিভিন্ন অবলোকনে অভিন্ন সে আলোর সুবর্ণস্রোত।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/obosrite-kara-nore/অবস্মৃতে কারা নড়ে2021-12-14T05:47:15-05:002023-06-25T21:48:32-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>(শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অমর আত্মত্যাগ স্মরণে)</p>
<br /><p>দুখেরও জ্বালায় পুড়ে মনেরও মন্দির স্মৃতিরও কাতরে অনল পুষে।<br />বুকেরও স্পন্দন থেমে যায় অজস্র আবেগে কাঁপনে,<br />নিস্তব্ধ তাঁদের রক্তস্রোত বিষাদের শেষে।<br />দুহাত যে বাঁধা চোখের সীমানায় কালো সে কাপড় আঁধারে মেশে।<br />ধমনী কাঁপে বিস্বাদে বিরাগে অনুস্বারে-<br />নিথর দেহের ফাঁকে ফাঁকে রোপিত বুলেট পিষে।<br />সুনসান যাপিত দিনের অবশেষে একেক করে ধরে আনা-<br />জাতিরও মূলধারা,<br />আক্রোশে নড়ে বিষে।<br />লুণ্ঠিত সে গৌরব আজ্ঞেয় আজানের ধ্বনি শুনেছে কি শুনেনি-<br />তার ঠিক নেই।<br />ওদের মুখ পোড়া একচ্ছত্র ধর্ম কি তাই বলে বিনাশে বিস্ফোরণ জ্ঞাতে?<br />সর্বঘাতে স্ত্রী সন্তানের মুখচ্ছবি হারিয়ে যাওয়া,<br />বাবা-মা’র নামটি করে মনে প্রাণপাখিরও সে নির্জলা আক্ষেপে।<br />যতো রক্তস্রোত আমাদের জাতিত্ব সয়ে যাক না কেন,<br />তোমাদের বিষণ্ণ জাগ্রত দেহাবশেষ মনে করিয়ে দেয়-<br />হায়েনারা ছিল কাপুরুষ ওদের বিবাগী আক্ষেপ বালুচরে।<br />আমাদের সাহসিনী বিধবার বাবাহারা সন্তানের অতুল গৌরব-<br />ম্রিয়মাণ কখনো যে নয় অবস্মৃতে কারা নড়ে?<br />হৃদয়ের যে রাণী প্রাণের যে রাজকুমারী এখনো বলে ফিরে-<br />বাবা আজ ছুটির দিন তোমাকে মনে পড়ে।<br />অরাজক যতোই হোক না আজের এই দিনমালা,<br />বহুকাংখিত হিসেবি সব আত্মাহুতি হৃদয়ের অঞ্জলি চন্দনো সুবাসে ভরে।<br />মনে পড়ে ওদেরও যাপনে তোমাদের স্মৃতি স্মরে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/meghe-agun-rode-jol/মেঘে আগুন রোদে জল2021-11-24T07:26:37-05:002023-06-25T21:48:18-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>বিশ্বাসের প্রতি সুরে গেঁথে আছে সমর্পণ,<br />কথা ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের স্পন্দন জ্বলন্ত জল।<br />তাকাতেই হয় নীড় ভুলে কিছুটা হলেও দূরে,<br />আকাশ চেয়ে দেখে সীমানায় মেঘ ভেসে রয়।<br />বুকের দ্বারে আঘাত আসবে জানি,<br />দ্বিরুক্তি কেটে কেটে চলা অবশেষেও।<br />চোখে মুখে ভাসবে আগুনের হল্কা মেপে মানি-<br />তবুও যে ঋণের আবহে দিনমান প্রতিক্ষণ সমুজ্জ্বল-<br />বারবার ফিরে তাকাতে হয় স্মৃতির রোদে জলের কেকায়,<br />মেঘের ফাল্গুনে আগুন ঢালে প্রতিবার-<br />রক্তের ধারা তৃতীয় নয়নে নড়ে।<br />স্তরে স্তরে সাজানো মৃত্যুর জালে দহিত করতে-<br />ঝোপ খুঁজে ব্যতিব্যস্ত কালের মরীচিকা।<br />রোদের সোনালি হ্রদে পুড়ে উড়ে যায় ঘন খয়েরি রক্তের তেজ,<br />মেঘ শুষে নেয় আঘাতের আগুন ত্বরণে ঢেউ তুলে বাতাস।<br />মনের তরঙ্গে তর্জনী ভুলে না বৃত্তের বসতে-<br />কোথায় রিক্ত শূন্য হয়েছে কোন মুখেরা কোন সে আঙিনায়।<br />চিরদিন বুকে ধরে রাখা হারানোর মর্মন্তুদ তিক্ততায়-<br />সিক্ত চোখের প্রাণ ঘেঁষে জল গড়িয়ে পড়ার আগেই-<br />দু’হাতে চুরি করে মিশে যায় দৃষ্টির প্রক্ষেপে শিহরিত হৃদিতা।<br />চোখ মুছতে গিয়ে দেখে প্রচ্ছন্ন সে দায়িত্ববোধ।<br />বুকে বুকে কতো প্রচ্ছায়ায়-<br />কতো কষ্ট কতো যে আবেগে শেষমেশ বিশাখায় জর্জরিত-<br />ভালোবাসাও জানে না মোহনার প্রান্ত কোথায় ঠিক সর্বশেষ!<br />ধানসিঁড়ির শীষ অপেক্ষায় বিভোর পরাকাশে হবে নির্মূল দুর্গ্রহ,<br />যাপিত ছাপের কর্ষণে পুরনো দাহ্যতা বারবার উঁকি দিয়ে বিবর্ণ করে।<br />কেন যে অনাগ্রহ অবাক করা সম্মিলিত প্রচেষ্টায়!<br />দিবস খুঁজে রজনী ক্লান্ত নিরাবরণে আঁধারে মানে নিশ্চুপ ঘুমের তেষ্টা।<br />সহজাত আত্মজ বাঁকা অভিলাষে মুহূর্তের নাজুক কণ্ঠরা!<br />মহাবিশ্ব অসীম ভালোবাসায় পৃথিবীর;<br />প্রেমের গর্ভে নামতার প্রাণ কতো তাও গুনে নাও অকাল প্রয়াণ।<br />ম্লানে অপূরণে জীবনের স্রোত;<br />মানবীর মন ঊষার মতন কাটে কুয়াশার রতন-<br />আঁধারের আধার চিরে ভাসায় আলোয় দিন,<br />সুরজের প্রাণেই চাঁদের সমস্ত ঋণ বিলীন।<br />চলতে চলতে ক্লান্তির ঢেউ মর্ম জুড়ে,<br />মনের দুপুর সাঁতার কাটে হৃদয় পুড়ে,<br />শক্ত হাতে হাল গুঁজে দিতে প্রস্তুত শিরোমণি;<br />জীবনের কঠোর যুদ্ধে অবসন্ন হলেও বারবার জেগে উঠা-<br />প্রাণশক্তি ঠিকি বুঝে খুঁজে মানসী।<br />দর্প নেই মানসের থাকবে চিরকাল ভালোবাসায় লক্ষ বুকে,<br />ঠাই করে যতনে রেখে দৃঢ় সে ধমনী।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/poramatir-kabbo/পোড়ামাটির কাব্য2021-11-21T08:01:40-05:002023-06-25T21:48:45-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>নামের বিচারে অলংকৃত যদি জীবন হতো যদি সত্যি হতো-<br />কিছুটাও হোক না লোনাজল যুদ্ধের স্রোতে-<br />গা ভাসানো ঘর্মাক্ত দেহের বিরল ক্লান্তি চোখেমুখে রেখেও বলতাম-<br />আমি তো মানুষ, প্রতি পদে কতো যন্ত্রণা কতো বিলাপ-<br />কতো যে আহাজারি তীব্র আক্রোশে মর্মাহত বন্ধুর পথও।<br />যদি বলতে কোন শব্দ অভিধানে থাকা আসলেই কি উচিৎ?<br />পুরোটাই যে নিখাদ সত্যির উপরে সত্যি।<br />কতো আপন আশ্রয়েও বিষাক্ত হয়েছে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস-<br />ভারি অবনীল মনের বাতায়ন ঘিরে থাকা মেঘাচ্ছন্ন ঝাপসা-<br />নিগুঢ় নির্জলা জীবনের আকাশটা।<br />পৃথিবীর যাপিত প্রথম বেলার সেই নিরালার স্মৃতি ভুলা যায় না।<br />প্রাণের পরতে রঙিন ঘুড়ি ছিল নাটাই হাতে।<br />একদিন সুতো ছিঁড়ে কোথায় যে উড়ে গেলো-<br />নিজ হাতে বানানো বাতাসের দোলাচল!<br />সেই থেকে শুরু দু’টি বছরও পাড়ি যায়নি,<br />তমস্রার অঙ্কুর ঘিরে ধরেছিল দু’চোখের প্রান্তর।<br />ঘোলাটে গভীর হয়ে বিদীর্ণ তন্দ্রাময় করেছে-<br />জীবনের চাকার লোকিত বলয় জুড়ে অহর্নিশ খেলা করেছে-<br />বিষবাষ্প; প্রোথিত হয়েছে ধীরে ধীরে-<br />টুকরো টুকরো সাদা পাতার উপর লেখা লাল কালির ধূপছায়া।<br />ঘূর্ণি খেলেছে অবিশ্রান্ত; এখনো যে তাই চলছে।<br />হিসেবের বাহিরে জীবনযুদ্ধের প্রতি মাতম-<br />নন্দিত থেকে নিন্দিতের পরাশ্রয়ে পুড়ে হয়েছে ছাই হৃদয়ের স্বপ্নিল প্রতিচ্ছবি।<br />অব্যক্ত সে অনুভব ঠিক তখন থেকে।<br />মুখের ভাষায় যায় না যে বলা ছবি এঁকে বলতে হয়।<br />নিষ্পাপ সময়ের প্রতি খেয়ালে বুনো জিঘাংসার রক্তাক্ত তরবারি-<br />চোখের সামনে তুলে ধরা হয়েছে-<br />জেগে থাকা কিংবা ঘুমন্ত নির্জীব নিষ্প্রভ দৃষ্টির নিঃসরণে!<br />বুকের পাটাতন থেকে সাহসের বাতিঘর গুঁড়িয়ে-<br />দিকবিদিক বেমালুম বিশূন্য করে আহাজারির দুকূলে ভাসিয়ে-<br />নির্মমভাবে রক্তবিন্দুগুলোকে নিষ্পেষিত করে-<br />পর্যটকের বেশে এসে হত্যাযজ্ঞের নীলমুখ-<br />দুষ্প্রাপ্য প্রবেশিত উত্যক্তের বিরূপ আয়নায়-<br />দেখানো হয়েছে পরোক্ষে প্রত্যক্ষে।<br />অবশেষেরও শেষ যেন নেই লঙ্কাকাণ্ডের ত্রিয়শ্রীতে পর্যুদস্ত-<br />এখনো অবাকে চেতনেও; তবুও মন স্বরূপে ঘোষণা করে-<br />আমরণ চাতকের চাহনির মতো অসম্ভব অপেক্ষা-<br />সুনয়নিত জীবনের আস্বাদের প্রজ্ঞাময় বিচরণ-<br />দূরে বহুদূরে তার ঠিকানা বিস্ময়েও-<br />আজ এক্ষণের স্মৃতিময় দর্শিত অনুভবে মুহূর্তের অগ্নিজ্বলা অবলোকন।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/durdhorsho/দুর্ধর্ষ 2021-10-18T02:01:50-04:002023-06-25T21:47:56-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>সময়ের স্ফুরণে মুহুর্মুহু অভিলাষের খাতা থেকে-<br />বিচ্ছিন্ন অস্তুতি নিরানন্দের ঘোরে নিবদ্ধ।<br />মগ্ন ডুবন্ত মনের পাতায় খেলা করে যায় অবান্তর পর্বের নিরস্র প্রান্তিক প্রশ্নোত্তর।<br />কালের ক্ষেপণে ফিরিস্তি কিছু নাঙ্গা মুখাবয়বে রকমফের প্রবান্তরে দিক খুঁজে ত্রস্ত।<br />নিস্তরঙ্গ খেয়ালের ওপাড়ে বসত করে মানব্য ত্রিপিয়াসী ভ্রূক্ষেপ-<br />যার চোখেমুখে বিদ্বেষ।<br />মুগ্ধতার বদলে ক্লেশ, অমায়িকতার অন্যাবসানে ধ্রুপদী সময়ের আখ্যানে-<br />গর্হিত অন্যাচরণ।<br />স্তব্ধ হয়ে যেতে চায় আকাশ বাতাস ভূপৃষ্ঠ শুষে নিতে পারে জলনল।<br />চোখে মুখে বিষের বাষ্প; কথা বলে দ্রাক্ষায় নির্নিমেষে অবাঞ্চিত অবলয়ে অপলক্ষ্যে।<br />অগ্রাহ্যে বিমূর্ত অসহিষ্ণু প্রলাপ স্বকীয়তাকে করে ফেলে কিংকর্তব্যবিমুঢ়।<br />মনোরাজ্যে বসত করে পরগ্রাহি অপালাপ-<br />নিমগ্ন অনাহুত অস্পৃশ্য অনুভূতির অন্যলোক।<br />বীভৎস বিস্তৃত অত্যুক্তি নরঘাতকের মতো শাব্দিক দর্পণে-<br />একাগ্রেই নিভৃত প্রশ্ন খুঁজে বেহুঁশ।<br />প্রশ্ন অনেক কিন্তু উত্তর একটিই।<br />দুর্বল আবেশে ঠাঁসা সবচেয়ে সস্তা আগ্রহের বিন্দুগুলো পুনর্জন্ম নেয়-<br />তেঁতো বুনো জনউল্লাসের বিগ্রহে বোনা অমানুষিক মন্তব্যের জোরালো পতন।<br />সতেজ আবাহনে খুঁজে মগ্ন উম্মাদনা বিকর্ষণ অতিরিক্ত অন্যায্যে।<br />দুই যুগের গোপনে চালিত নিকৃষ্ট অত্যাচার কতটুকু মর্মান্তিক ছবি আঁকবে-<br />তার হিসেব কে কষবে?<br />কাউকে ভালো না লাগলে জিহ্বা নড়ে উত্যক্তে।<br />ভালো লাগলে বাতাসই সাক্ষী হয়ে হাসে গোপনে গহীনে।<br />সময়ের পাটাতনে অনেক হিসেব কষা বাকি,<br />অনেক ভূতুড়ে উল্লাসের বিপরীতে হতভম্ব হয়ে যাবার মতো-<br />দিকবিদিকশূন্য মৌনতা খুঁজে নশ্বর ময়ূরাক্ষী।<br />কপালে ভাঁজ উঠবে; মনের এতোদিনের ঘর্মাক্ত সবুজ পাতাটা-<br />শুঁকিয়ে খয়েরী রং দেখাবে।<br />যার প্রতি যে কোন দোষ করেনি সেই বিনাকারণের তীব্র জিঘাংসার প্রতিফল-<br />জানে সুমানুষ।<br />স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা কাঁপে; <br />মৃত্যুর প্রহর অবিচল সমুখে পুঁতে রাখে।<br />যা যারা জানে না তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে ঘুরিয়ে বিন্যস্ত করে-<br />যাপিত কষ্টের তীব্রতা বুঝানোর কোন মানে নেই।<br />দৃষ্টিতে পড়ে শকুন লাশ খাচ্ছে কিন্তু কে হতে পারে সে কি মানুষ নাকি পশু? <br />আয়নায় চোখ পেতে সহাস্যে আপ্লুত স্বরে-<br />নিজেকে প্রশ্ন করে দেখোতো তুমি কি রঙের।<br />দুর্ধর্ষের চোখে থাকে হল্কা, বিনাশে প্রমত্ত নাঙ্গা উত্তাল তার রক্তের প্রবাহ।<br />কিন্তু সুবর্ণ সরোজের চোখে সে চোখ পাততে পারে না।<br />এক মুহূর্তে তেজের বারুদে মেঘের নিনাদ তাকে উড়িয়ে হারিয়ে-<br />নিয়ে গেঁথে রাখে জানা ত্রিদিবে।<br />চোখে চোখ রেখে কথা বলতে কে পারে অবনত নয় কে-<br />যার দর্পিত চাহনিতে আছে সৎসাহস।<br />পেছনে কি ঘটে গেছে তার বিন্দুমাত্র মনে রাখে না সুপুরুষের ঝঞ্ঝা।<br />তোমাকে সামনে রেখে কিংবা তোমার আড়ালে আমি তোমার বিরোধে-<br />অপ্রতুল কটূক্তি করবো তাহলে তো সে আমি আমি নই। <br />আমার আমির আড়ালে তবে তো সে ভিন গ্রহের ভয়ংকর।<br />প্রলয়ঙ্করী দুর্ভেদ্য অনম্র দূরপাল্লার দুর্দমনীয় দুশক্রান্তের-<br />তীব্র বেহুলের বিষেও যে কাতর নয়;<br />সহস্র আঘাতের রক্তাক্ত দেহ নিয়েও যে বলতে পারে-<br />যুদ্ধ এখনো বাকি; সেই কি সুপুরুষ?</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/jagoron/জাগরণ2021-10-12T03:06:21-04:002023-06-26T10:25:58-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>ভালোবেসে দীপ জেলে যাই-<br />মনের প্রণিধানে রয়েছো নির্জনেও-<br />তুমি কখনো নিশ্চুপ।<br />মনের অলিগলিতে আমি তোমার সাঁজে।<br />বাজে শ্যামের বাঁশি,<br />ভালোবাসা কাকে বলে বল?</p>
<br /><p>এই পৃথিবীর চোখেমুখে তুমি এঁকে ফেলেছো আমার নাম-<br />চাঁদের কলঙ্কে ধাবিত মনের চাহনি-<br />পুড়ে ছারখার মানবিকের অমানবিক তিরিক্ষি।<br />বিপরীতে আমি ডাকি তোমায় কতো আপন করে,<br />তুমিও ডাকো আমায় জাগরণের মূলে।</p>
<br /><p>আমি হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে তোমাকে দেখেই-<br />ভালোবেসে বলে উঠি এই ভেবে-<br />কেন কোন মায়ায় কোন বাঁধনের ডোরায় আমায় বেঁধে নিলে-<br />অপার সুরক্ষিতার মতো আঁচলে আমি পিছু ধাই অনুরণনে।<br />মনের স্নিগ্ধতা কোথায় বল না দেখেই ভালোবাসা।<br />বাস্তবের চাহনি না জানি কতো উৎসে ভরা আশ্চর্যের যতনে গড়া।<br />এই মনের গহীনের শত ভালোবাসা তোমার জন্য।</p>
<br /><p>রাতের নিরালায় তারার পাশে চাঁদ-<br />তাও তাকিয়ে ভাবি আমি কি তাই-<br />যদিও কিছু ভুল হয়ে যায়,<br />সেই চোখে তাকালে আমার অশ্রু ঝরে পড়ে টপটপ করে।<br />দগ্ধ যে হৃদয় কেন যে বুঝনা।<br />মনের মাস্তুলে শাপলা জলে ভাসি ওপাড়ে তুমি-<br />বল পাল তুলে ছাড়ো নীলিমের গান-<br />কাছে আসো মায়ের যতনে যেভাবে যত্নে বলি সদাই।</p>
<br /><p>তুমিও উড়ন্ত মেঘের মতো মনের তীরে ছুঁলে-<br />হাতে তুলোর মতো মিলিয়ে যাও কান্নার জলের ধারায়-<br />যেভাবে স্রোত গান গায়।<br />ঢেউয়ের বালিকা জলে আমার পা ভিজেনি এখনো।<br />তুমি তো ডেকে বল একবার ভালোবাসো উজার করে-<br />আনন্দে মাতো কণ্ঠে গেঁথে আমার নাম ও প্রিয়।<br />আমি বলি আমিও যেতে চাই সেই সুখপানে বেহুঁশ বাতাসে।<br />এখনি নাই যাই; যাবো কি রঙিন প্রয়াণে?</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/ashirbad/আশীর্বাদ2021-09-02T11:54:24-04:002023-06-25T21:47:46-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>কারকিয় আদৃত জীবনের কিছু ভুল- একদিন যদি হয়ে যায় ফুল,<br />যত্রতত্রের গ্লানি, হোঁচট, অপখরা, পর্যুদস্তের নামতা, কষ্টের দাহ,<br />দুঃখ, ব্যাধি, জরা, ক্লান্তির বিষণ্ণ ক্ষয়, ভেতরে বিষাক্তের নাড়া, কলঙ্ক-<br />যদি হয় শোভনীয় দীর্ঘ অশ্রুতেও ঋণ;<br />না দেখায় বিনিময় পত্রের বিচরণ দ্বিমাত্রায়। <br />আশীর্বাদ বুজে রয়; মৃত্যুর দুয়ার চারপাশে-<br />দখিনা বাতাস কেন জোরে বয়?<br />আমার হিয়ার মাঝে নতুন বসত সত্যির রূপে চুপচাপ ভালোবাসা,<br />দেয়ালবন্দী যাপিত সময়।<br />মায়ের কান্নার এক ফোঁটা অশ্রুতে যদি সৃষ্টির প্রাচীর কাঁপে,<br />তাঁরও ব্যথা জাগে নতুন সে মৃণ্ময়।<br />সমাধির পর সমাধি আছে; লোকে বলে এতো ভালোবাসা ভালো নয়!<br />বুকের রক্তে তাজা সে আজন্ম স্মৃতি শেষ মুহূর্তও অবনত কম্পিত দ্রোহে-<br />সবদিকে তো ধ্বনিত ভালোবাসাই পড়ে রয়।<br />আমি যত দুঃখই পাই দূর দূর করে তাড়িয়ে দেবার পর-<br />মাথা নত করে ফিরে আসি যতবারি সবটুকুই আশীর্বাদ।<br />সে যে মাতৃহৃদয়; আকুলে বুঝায় চারপাশ ঘিরে কেউ বলে বিবর্ণ ছিন্ন-<br />কখনো আমার বা তোমার দোষ নয়।<br />অদেখা আকাশের মেঘের মতো চোখের দিকে তাকিয়ে-<br />সব ভুলে যাই কেঁদে ফেলি হঠাৎ ভীষণ কষ্টে-<br />আমি তো তোমাদেরি, আমার অশ্রু মুছতে তোমরা দেরি কর না,<br />তখন কেমন আবেগ জোড়া বাহু ছোঁয়?<br />তোমরা জানো; জেনে গেছো জন্মজন্মান্তরের বাঁধন-<br />যায় না যাবে না কখনো ছুটে-<br />হবে বিনি সূতার মালার বদল,<br />আপনেরও আপন একাধারে অবিচ্ছিন্ন চিরন্তন চিরন্ময়।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/nondini/নন্দিনী2021-08-22T11:07:12-04:002023-06-25T21:48:27-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>ভালোবাসা নিজের মনের মতো করে গড়ে তোলা পৃথিবীর নাম,<br />পেছনে ফেলে আসা দু'খের প্রহরের গোপন খাতায় নতুন করে-<br />পৃথিবীর আঁখরে ভেসে যাবার নাম ভালোবাসার ত্রিনয়।<br />দু’খের পীড়নে কাঁদলে দু’টি চোখ মুছে দেবার নাম যে ভালোবাসা।<br />ভালোবাসা আর প্রেম এক নয় কখনো।<br />কীভাবে কেমন পঙক্তির হয়-<br />যুগলের চোখের বিনিময়?<br />মনের মাধুরি- তার নাম কি সত্যিই ভালোবাসা?<br />জীবনের সব সুখেরো তো যন্ত্রণা আছে,<br />আছে প্রতিমার প্রেমে ত্রস্ত মগ্নতা,<br />জীবনের যত প্রতিচ্ছায়া আছে তার মাঝে-<br />একটি ছায়াকে খুঁজে নিতে পারাকেই বলে ভালোবাসা।<br />ভালোবাসার থাকে দু’টি প্রহর।<br />একটি আবেগ আরেকটি সোহাগ।<br />আমি যদি বলি তুমি আমার।<br />তুমি কি তা মেনে নেবে?<br />জানি একটু ভাববে-<br />তারপর পৃথিবীর সবচেয়ে অনিন্দ্য সুন্দর উচ্চারণের-<br />প্রানাবেগের জানা ছলনায় একটু বেঁকে বলবে-<br />আমার জন্য তুমি সত্যিই যদি হও-<br />তবে কোন ভুল করলে তোমার কান মলে দিয়ে বলবো ফিসফিস করে-<br />আমি তোমার নন্দিনী।<br />আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকো সেই প্রহরে-<br />যখন তোমাকে নিয়ে চিন্তা করতে করতে জলের প্রবাহে-<br />ভেসে যাবে দু’টি চোখ তোমার বলা কথায়,<br />আমার অমায়িক হরিণ চোখ শ্রান্তির ভালোবাসা-<br />যে আমিই তোমার।<br />আর তুমি আমার বুকের অসামান্য প্রেমজোড়া,<br />কথনে লোচনে একাকার-<br />একবার আবার বলনা ভালোবাসি নন্দিনী তোমার চারধার।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/bini-sutar-badhon/বিনি সূতার বাঁধন2021-08-15T05:11:51-04:002023-06-25T21:47:48-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>কখনো বুঝতে চাইনি কীভাবে আঁকা আকাশের দূর নীলিমায়-<br />পাহাড়ে পাহাড়ে সবুজে ভেসে থাকা ঠাণ্ডা তুলোর মতো মেঘের উড়াউড়ি।<br />আকাশে তাকালে মনের ভেতরটা বিবেকসুদ্ধ কেন যেন বিশাল হয়ে যায়।<br />মেঘের শুভ্রতায় ছায়া হয়ে থাকা পৃথিবীর লালিত্যে নাচে<br />বাতাসের অবগাহন প্রতি দেহে নির্লিপ্তে।<br />আমি দুখের কথা বলতে আসিনি। <br />যদি বলি তবে স্পৃহা হারাবে কিছু দগ্ধ প্রাণের মমতা।<br />আমি সুখের কথাও বলতে চাইনি।<br />মুহূর্ত বলে দেবে কিসের অপেক্ষায় মিছে অখ্যাত নম্রতা।<br />জীবন্ত সবুজে ভরা প্রকৃতির মাঝে ডুবে গেলে যদি<br />ভালোবাসাই ভর করে মনে-<br />তবে যেখানে সবুজ নেই-ধুধু বালুচর-<br />সেখানে কীভাবে তৃষ্ণার জলের মতো-<br />ভালোবাসা নিংড়ে নিতে চায়<br />অবুঝ দুটি মন? <br />মনের মিলে থাকে বিনি সূতার বাঁধন।<br />ছিন্ন করতে গেলে কাঁদে আবেগের জল ভরা নয়ন।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/tomake-ora-barbar-mere-felte-ceyechilo/তোমাকে ওরা বারবার মেরে ফেলতে চেয়েছিল2021-06-06T04:58:11-04:002023-06-27T14:14:51-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>উদ্বেগের ছাউনিতে সেদিনের বাতাস দমবন্ধ করা দগ্ধতায় জ্বলছিল।<br />যা ছিল স্থির কিছু মননের আভাসে ঠাসা<br />চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের লক্ষ্যে প্রস্তুত ভয়ার্ত মারাত্মক<br />চূড়ান্ত মূলস্থে চারদিক সরব করা জিঘাংসার প্রলেপে আঁকা<br />এক বেহিসেবি অমানবিক আঘাত।<br />সেদিন বাতাস ভারি ছিল অকাতরে বিলাপে মুখর<br />আর্তচিৎকারে বেহুঁশ কারও কারও জীবন-প্রদীপ শেষ।<br />সেদিন ভয়ার্ত আগস্ট একুশে বিলীন হয়ে যেতে পারতো<br />আরও কতো নিমগ্ন প্রাণের সবুজ নিঃশ্বাস।<br />আগ্রাসী দিকবিদিকে ছোড়া গ্রেনেডের বিষাক্ত স্প্লিনটারে<br />কাবুকরা বিপরীতের বেধড়ক তামাশায় রচিত<br />তিতিক্ষার লালসায় গর্হিত সর্বনাশা অবিচারে<br />প্রেক্ষাগৃহে চলা চিত্রজালে ধারিত ধাবমান যুদ্ধক্ষেত্রের মতো<br />একেক করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে<br />সময়ের প্রায় সব সরব মুখেরা।<br />শেষ নিঃশ্বাসের টানে আবদ্ধ প্রশ্বাসে ছিল<br />কাতর করা জীবনের প্রচণ্ড গভীর উন্ময়ি আক্ষেপ।<br />আগস্ট একুশে; এ যেন ছিল বিকট শব্দে গ্রেনেডের আওয়াজে<br />কর্ণমূর্ছাগত লালাভ নিশানে জনতরঙ্গে রচিত নির্ণীত এক মৃত্যুছক।<br />এরও আগে পরে আরও কতো কলুষিত তির্যক বিভীষিকাময়<br />অপগ্নিহল্কা অমসৃণ পথে নিশানা খুঁজেছে<br />পৃথিবীর বাতাস ভুলিয়ে পরপার চিনিয়ে দিতে।<br />দুর্গন্ধে ঠাসা এমন অপযজ্ঞের মাত্রাহীন অপযোগে<br />বিভ্রান্ত উন্মাদ ওরা উন্মত্ত ওদের নীতির রোষানল।<br />বেওয়ারিশ গলিত লাশের মতো করে দিতে<br />উদ্যত ওদের কলহে শীর্ণে জীর্ণে উদ্বাস্তু বাকি সব,<br />আর ওরা যেন তামাম রাজ্যের অধিপতি-<br />আগে পরে সর্বশেষেও থেকে যাবে নিশ্চিত যেন-<br />গণতন্ত্রের ঠোঁটে জড় ওদের ভোঁতা কসরত।<br />ওরা গিলে খেতে চায় দিনান্তে ক্ষুধার্ত শিশুর মুখে তোলা-<br />আবদারের জড়সড় গ্রাসে জড়ানো অন্নের থালা।<br />জাতীয়তার নামে চালিত করে ওরা স্টিমরোলার,<br />হরণে অগ্রজে মরণের তীব্র নোনা ঘূর্ণনে-<br />পিষ্ট করে ওরা যা আছে জাগ্রত-<br />সব ইতিহাসের পাতায় ছবিতে-অক্ষরে বোনা।<br />পরাজয়ের ভিটেবসতবাড়িতে এঁকে নতমুখ-<br />পেছনে হটে প্রশ্নের স্লোগান তুলে,<br />বলে ধরণেই সব ভুল ওদের তবে কীভাবে শেখানো যায়-<br />সময়ের পাঁচফোড়নে নির্নিমেষে চোখে সর্ষে ফুল,<br />স্ফুলিঙ্গে জড়ায় উত্তেজে ওদের মনের মগজ স্থূল।<br />বিনাদোষে আর আঘাত করতে এসো না; করো না কোনদিন।<br />অনিশ্চিত গন্তব্যে ঘোলাটে আজ তোমাদের আকাশ-<br />তোমরা হিসেবের গড়মিলে ম্লান মলিন।<br />তোমরা সৃষ্টির ললাটে কালো দাগ দিতে আজ অপরিপক্ক,<br />কার্যত অসহায়; দুঃসময়ে রোপণ করেছো আরও যতোসব ব্যর্থতা।<br />কেন অধিষ্ঠিত নও জননয়নে বুঝে নাও-<br />দৃশ্যত পরাজিত সংকীর্ণ বিভক্ত অর্থহীন।<br />বাংলার রাণী, তোমাকে ওরা বারবার মেরে ফেলতে চেয়েছিল! <br />আজ সবাই চেয়ে দেখে ওরাই ওদেরকে মারে,<br />অনাচারী নৃত্যে করে ভুল বলে উঠোনটাই দায়ী!<br />তোমাকে মেরে ফেলতে চেয়েও না পেরে ওরা শঙ্কিত ভীষণ।<br />কাঁপানো শীতে ওরা ঘামে কেন এটাই প্রশ্ন এখন।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/ovisar/অভিসার2021-05-06T18:13:10-04:002023-06-27T12:43:13-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>বাইরে তেমন কেউই নেই আজ-<br />এমন ঘন কালো অবসন্ন ষোড়শী মেঘলা দিনে।<br />কপোত পেঁচিয়ে নেই কপোতীর কোমর রিকশার ছাউনি তুলে আর-<br />পলিথিন জড়িয়ে কিছুটা ভিজে গিয়ে উড়ন্ত আস্ফালনে।<br />আনন্দবিহার নেই উদ্ভাস নেই কিছুটা আঁধারঘেরা অবসাদে-<br />নিথর পৃথিবী স্থবির সবখানে।<br />মলিন ঘরকুনো স্নাত বিকেল চোখ বুজা শিহরণে এপাশ-ওপাশ ক্ষরণে রণনে।<br />চুপিচুপি কানে বৃষ্টি পড়ার শব্দ যেন বলে যায় কিছু অপ্রকাশ্যে,<br />অধীর বাসনায় গোপনে আড়ালে রেখে সিক্ত তৃণজা অনুভবে মিশে। <br />মাটির সোঁদা গন্ধে ব্যাকুল ললনা তার অধীর দু’টি চোখ খোলা আকাশে পাতে।<br />বাতাসের প্রিয়তায় জোড়া আলিঙ্গন-<br />মাড়িয়ে যেতে চায় অভিপ্রেত একাগ্র অভিসার প্রতিক্ষণে।<br />বৃষ্টির কাতর প্রবাহ মেঘের গর্জন যেন থামতে চায় না,<br />বিদ্যুৎ চমকে চোখ রগড়ে উঠে তাকালে।<br />জানালা খুলে গালে রেখে হাত-<br />তনুশ্রী তার প্রিয়র অপেক্ষায় বিষাদে মুখ বুজে আছে পড়ে।<br />বৃষ্টির অবারিত ধারা ধোঁয়াটে গভীর হয়ে হিমেল বাতাস খুঁজে-<br />প্রাণপণে ঝরছে মালতীর বীণায় মুগ্ধ সবুজ স্বরে।<br />এমন দিনে প্রিয়ার কাজলকালো দু’চোখের নীড়ে-<br />অপলক তাকিয়ে থেকে যেন স্বর্গ দেখা যায়।<br />প্রেমের আঁখরে চোখ টিপে যেন তাকে কিছু বলা-<br />হঠাৎ ঝলমলে চুলগুলো এলোমেলো করে দেয়া।<br />বৃষ্টিদিনে হৃদয়ের তাপ বহুদূরে সরে যায়।<br />বৃষ্টি কিছুটা থেমে গিয়ে আচমকা যখন রোদে মিশে হেসে আলো জ্বালে-<br />সমস্ত আকাশটা তখন তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখতে ইচ্ছে করে-<br />কখন না কোন কোণে সাতরং জেগে উঠে আলোজলে।<br />একটু পরই মিলিয়ে যাওয়া এমনই আবেগি তালে দুলে উঠে মলয়া বাদলদিনে-<br />শোভিত বৈশাখ রিক্ততা ভুলে প্রণয়ের অধরে ভিজে সংগোপনে।</p>
<br /><p>(বৈশাখের বৃষ্টিস্নাত করোনা-প্রভাবিত এক দিনে লেখা)</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/hotobak-kichu-manush/হতবাক কিছু মানুষ2021-05-04T10:10:20-04:002023-06-25T21:48:03-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>আমাদের সবার কতো ধরণের কতো আবেগেই না আমরা ভেসে যাই,<br />কতটুকু বিসর্জনে আর কতটুকু গ্রহনে।<br />মাঝখানের কতো গল্পই না আমরা ভুলে থাকার চেষ্টা করি। <br />ভুলে যাওয়া খুব কঠিন, <br />অথচ ভুলে থাকা হয়তোবা হতে পারে কিছুটা সহজ।<br />মানুষ যখন একা থেকে নিজেকে সময় দেয়-<br />ঠিক তখন তার মনের ভেতর সবচেয়ে তীব্র কষ্টকর স্মৃতিগুলো নাড়া দেয়।<br />আর কেমন করে যেন বরফ গলার মত চোখের কোণটাকে ভিজিয়ে দেয়। <br />পৃথিবীতে কোন মানুষই কষ্ট ছাড়া নেই।<br />সৃষ্টিকর্তা সব সৃষ্টিকেই কোন না কোন খুঁত দিয়ে গড়েছেন।<br />এটা তাঁরই খেলা।<br />আর আমরাই তো এটাতে অসহায়।<br />মানুষ যদি নিখুঁত হতো তবে সে অহংকারে-<br />কিংবা অতি আত্মতুষ্টিতে ভুগে হয়তো মারাই যেতো ক্ষণিকে।<br />আমাদের বেঁচে থাকার ইচ্ছে এত প্রবল যে-<br />আমরা মৃত্যু নিয়ে খুব বেশি মাত্রায় চিন্তা করলে খুব বিমর্ষই হয়ে যাবো।<br />যারা যাদেরকে বুঝেনা তাদের চোখগুলো চেনা থাকলেও<br />তাদেরকে শুধু শুধু সময় নষ্ট করে বুঝাতে যাবার কোন মানে নেই।<br />এটা হতে পারে কোন জটিল বিষয় বা খুব সহজ কোন কিছু-<br />যেটাকে এক শ্রেণীর কাকতালীয়ভাবেই হতবাক কিছু মানুষ<br />যাদেরকে কখনো বুঝানো যায়না।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/thot/ঠোঁট2021-04-27T12:03:16-04:002023-06-27T19:19:20-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>মনে বেজেছে চোখে পড়েছে আচমকা প্রায়ই অমানবিক ঘূর্ণিপাকে তুমি। <br />সত্যির প্রচলে স্থির সৎসাহস যা কিনা তোমার প্রশ্বাসে বিন্দুমাত্র নেই।<br />এই যে এইমাত্র কিছু একটা নিয়ে তুমি কি যেন বলে ফেললে!<br />কখনো ভেবে দেখেছো কি বলেছ অপয়া অসহযোগে? </p>
<br /><p>মুখ ভরে যা বলেছ তা আর কখনো ফিরিয়ে আনতে পারবে না মনন।<br />তোমার বিম্বিত বলা স্বরবর্ণ আর ব্যঞ্জনবর্ণগুলো যৌগিক স্বরে-<br />বাতাসে ভর করে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে কানে কানে প্রতিধ্বনিত হয়।<br />কারও লক্ষ্যে কিছু যখন আসে মনে তখন কেন যেন-<br />তোমার রাগত তেঁতো উত্তপ্ত মস্তিষ্কটা দিক ভুল করে বসে। </p>
<br /><p>মুখ ভরে বিষিয়ে বিঁধিয়ে এভাবেই কি বলতে হয়?<br />শত্রুঘ্ন বিষ ছড়িয়ে শেষে নিজেকে আর রক্ষা করতে পারেনি।<br />মন মিশিয়ে যত্নে কারুকার্যে চলা কি তা কি তুমি বোঝ?<br />নাকি বুঝেও ছুঁড়ে মারো ক্ষণিক দুর্বিষহ দুই ঠোঁটের তির্যক শাব্দিক কম্পন।</p>
<br /><p>তুমি কি জ্বলে দগ্ধ হয়ে যাও ভীষণ ক্লেশে?<br />বিন্যস্ত হতে তুমি কেন পারো না? <br />উড়ন্ত শঙ্খচিলের ডানা না চেনে ভাবো-<br />সুতীক্ষ্ণ চোখের পলক স্থির রেখে শিকারের অপেক্ষায়-<br />দূর আকাশে কদাচিৎ ঈগল উড়ে।</p>
<br /><p>তুমি ঝিনুকের বুক থেকে মুক্তো সরাতে চাও-<br />কেন বল দিয়ে তাকে ভীষণ কষ্ট?<br />জানোতো তারও আছে শব্দহীন আর্তনাদ।<br />তুমি কেন বুঝতে চাওনা সৃষ্টির আবেগ স্বয়ং ঈশ্বর প্রদত্ত?</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/ar-ekti-birodhi-uccharonou-noy/আর একটি বিরোধী উচ্চারণও নয়2021-04-23T10:12:07-04:002023-06-26T14:52:23-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>স্বপ্নসমান গভীর আবেগের স্থানে আঘাত করো না আর একটিবারও।<br />পৃথিবীর মানচিত্রে আঁকা কতো দেশের কতো মহীয়ানের দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য।<br />সেদিকে তাকাও দু’চোখ মেলে প্রাণের সংকীর্ণতা মুছে ফেলো-<br />তোমরা মুখে আঙ্গুল চেপে।<br />যে দেশ আমরা পেয়েছি যার ঔদার্যে বুকভরা ভালোবাসার নিমিত্তে-<br />তাঁর প্রতি এতো জিঘাংসা কোত্থেকে এলো হঠাৎ,<br />আলোতে অন্ধকার ছুঁড়ো না।<br />স্পর্ধার তিরে বারবার তোমরা কাকে বিদ্ধ করতে চাও?<br />জাতির জন্মদাতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চাওয়ার মতো এতো বড় দুঃসাহস-<br />কীভাবে হলো! <br />সংস্কৃতির কাণ্ডে কাণ্ডে কুপিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করতে চাও-<br />মানুষের তৈরি উজাড় করা ক্ষুধার্ত ভালোবাসা?<br />ভিন্ন ভিন্ন অপব্যাখ্যায় বিরচিত করে অপসংস্কারের কলুষিত পথ-<br />বেছে নিয়েছ গোবেচারা কণ্ঠস্বরে!<br />বাংলার মানচিত্র থেকে বাংলার মাটি থেকে কখনো মুছে ফেলতে পারবে না তোমরা <br />শিল্পের ফোঁটা, বিপথগামী গর্হিত তোমাদের ক্ষণিকের তেজ।<br />যে শব্দগুলো উচ্চারণ করেছো উদ্ভ্রান্তের মতো সেগুলো ফিরিয়ে নাও।<br />তোমরা বুঝোনা শিল্পের তরবারি কতো ধারালো কতো তেজস্বী।<br />দুই ধারাকে তোমরা এক করে ফেল অথচ দু’টি সমর্পণ দুই ক্ষেত্রে ভিন্ন অবিরুপে।<br />সময়ের চোখে তোমরা কালো কাপড় বেঁধে দিয়েছ।<br />অলংকৃত প্রতিবিম্বকে টুকরো টুকরো করে গুঁড়িয়ে দিতে চাও!<br />এতো মারাত্মক স্পর্ধা কীভাবে ধারণ কর?<br />পিশাচের মতো অত্যুজ্জ্বল আবক্ষকে সরিয়ে ফেলতে চাও,<br />ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চাও প্রাণপুরুষের নির্মল অস্তিত্ব।<br />আর একটি অপযজ্ঞীয় বিরোধী উচ্চারণও নয়।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/ammrittu/আমৃত্যু2021-03-17T10:37:25-04:002023-06-25T21:47:45-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>খুব গভীর আঁধার থেকে ধীরে ধীরে আলোর সঞ্চারণে চারদিক নিবিষ্টে ফুটে উঠে।<br />মনের সংযোগে একাধারের আরাধনায় দিব্যি পথ খুঁজে নেয় কর্তব্যের পরিধি।<br />অসাড় দেহও স্থিত ধর্তব্যে দ্রোহের আকুলে চোখ মেলে তাকিয়ে মন পেতে নেয়।<br />প্রস্তুত খেয়াল দূরের লক্ষ্যে অভিযাত্রা ঢেউ কেটে এগোয় তীর ছুঁতে যাওয়া অনিমেষে।<br />সেদিনের ধ্রুপদী সময় আলোকরাঙা অহর্নিশে মুচকি হেসে দেখেছিলো আগমনের কান্না।<br />মুহূর্তরা ডানা ঝাপটানো আবেগে রাঙিয়ে উজ্জ্বলতার আঁখরে ভাসিয়েছিলো মাতৃঅধর।<br />পরিণত সময়ের পরখে হৃদয়ের কোণে লাস্যময়ী হয়ে প্রহর গুনছিল দেশের পরাধীনতা।<br />ধীরে অধিকারের আঁখরে বুনট গড়ে মানুষের জন্য গৃহরাজের পরিচক্রিকায় রূপভ্রমণ।<br />কেড়ে নিতে চাওয়া মাতৃভাষার সম্মানে দাগ কাটা প্রাণের অগ্রজে সাকারে সাহস ছুটে।<br />সবটুকু আবেগের ঘনঘটায় অভিন্ন মতাদর্শের বুননে মাতৃভূমি চোখ পেতে তাঁর দিকে।<br />কোটি কণ্ঠের আরজ অগ্রদূত সবাক মহিমায় চারদিকে জয়গান শুনিয়ে এগিয়ে যায়।<br />দেশমৃত্তিকার সোঁদা গন্ধের আকুলে প্রাণের স্পন্দনে চোখজুড়ানো সবুজের রূপসী বাংলা।<br />সত্যিকারের বন্ধু হতে সময় লাগেনি একটুও অবিচ্ছিন্ন আত্মজে কর্ষিত ঝাঁপ বঙ্গবন্ধুর।<br />মানুষের মনের অভিলাষে ডুকরে উঠা কোন না পাওয়ার ভাষা ছিলো তাঁর আত্মগত।<br />শোষণের বিপরীতে কীভাবে তেজস্বী দ্রাক্ষায় বারুদ জ্বালাতে হয় তা অজরের অভিগত।<br />মানুষের বুকে দাগ কেটে যাওয়া অত্যুজ্জ্বল আহ্বানে দেশের বাতাসে হাসে প্রিয় পতাকা।<br />প্রহৃত হায়েনাদের আঘাতে জর্জরিত ভাঙ্গাচোরা মাতৃভূমির বুক থেকে-<br />দাগ সরানোর কর্মযজ্ঞে যখন ব্যতিব্যস্ত অগ্নিতর্জনী,<br />ঠিক তখনি পরিবারসমেত রক্তে স্নাত তাঁরই অংকিত বাংলাদেশের আকুতিভরা মাটি।<br />বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙ্গালি শোষিতই থেকে যেতো প্রত্যাহত থাকতো তাদের স্বপ্ন।<br />প্রাণ দিতে হল গর্হিত অমানুষদের হাতে মেনে নেয়াটা খুব কঠিন বিবেচ্য অবয়বে।<br />একদিন তাঁর দেখা না পেলে কোটি মানুষের হৃদয়ে লালিত স্বাধীনতা আসতো না।<br />আমৃত্যু নিজের জীবনের চেয়ে নিজ দেশকে ভালোবেসে চিরঅক্ষয় চিরসবুজ চিরজাগ্রত।<br />দুখী মানুষের স্বপ্নদ্রষ্টার শতবর্ষের জন্মতিথিতে সহস্র ঋণে নির্নিমেষে কাঁদে স্বভূম।<br />তাঁরই বিরচিত পথের পরিক্রমায় চলেছে ছুটে তাঁরই রক্ত শেষপর্যন্ত দিনরাত নির্ঘুম।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/obinashi/অবিনাশী2021-03-07T07:26:16-05:002023-06-27T08:59:25-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>হঠকারিতার বিপরীতে প্রবল মানব জোয়ারে সময়ের অবিনাশী ধুমকেতু-<br />সমুখে দাঁড়িয়ে কোটি হৃদয়ের সরব আকাঙ্ক্ষায়-<br />সেদিনের গর্জিত আহ্বানে ভূখণ্ড কাঁপিয়েছিল।<br />দিশারী মনের খাতায় মুহূর্তরা এঁকেছিল এক বিদীর্ণ উজ্জ্বল স্বপ্নের সুচারুপাত।<br />সেদিনের সেই কণ্ঠে আবেগ ছিল আকাশ সমান শুধুমাত্র মানুষের জন্য।<br />মনের প্রবাহে থাকা অদম্য বাসনায় ঠাঁসা-<br />উপচানো তেজের প্রণিধানে যোগ পেতেছিল হুংকার-<br />পৃথিবীর সীমানায় নতুন করে এক মানচিত্র আঁকার।<br />অনুভবের আকর্ষণে তীব্র সাড়া; মানুষ মাতে স্বাধীনতার গন্ধে পূর্ণ দীপ্য উচ্চারণে।<br />প্রতি বর্ষের সাতই মার্চের উদাত্ত সেই মনোজ্ঞ কণ্ঠের উদ্দীপ্ত কারুকাজ-<br />বাঙ্গালি ভুলতে পারে না কখনো পারবেও না।<br />স্বাধীনতাকামী মানুষকে এক সুতোয় বেঁধে যুদ্ধের ডামাডোলে নিয়ে যাওয়া-<br />কখনো নয় কোন সহজ কিছু; দুর্জয় তাঁর প্রতি পাতার প্রতি কথা। <br />মানুষের বুকে স্বদেশ পাবার লুকোনো মহড়ার প্রতি পর্বে পর্বে-<br />বঙ্গবন্ধুর জ্বালাময়ী সে ভাষণ সুতীব্রে এখনো নাড়া দেয় নতুন করে কিছু করবার।<br />সে ভাষণ ছিল রক্তচোষাদের বিরুদ্ধে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ।<br />যে ভাষণে উঠে এসেছে অধিকারের জয়গান।<br />সাতই মার্চের দুর্দমনীয় ব্যগ্র ভাষণ ছিল প্রতি মানুষের জন্য-<br />বঙ্গবন্ধু গর্জনে সৃজনে যেন ঈশ্বর প্রেরিত সত্যিকারের বিভূষিত এক ত্রাতা। <br />মানুষ ভালোবাসতো তাঁর বীরদর্পে বোনা সবার প্রাণজে-<br />সময়ে সময়ে রোপিত অকাট্য ন্যায্য প্রতিযোগকে।<br />মানুষ বেসে যাবেই ভালো তাঁকে সর্বশেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পৃথিবীর,<br />এমনি এক বিশালতার কল্লোলে ধ্বনিত বঙ্গবন্ধু-<br />এমনি এক উচ্চতার আকর্ষণে গর্বিত বাঙ্গালি জাতি তাঁকে পেয়ে-<br />স্বভূমে কতো কথায় তাঁর তরে রচিত হৃদয়ের আকুতি পাতা।<br />তাঁর ধারালো যূথীময় প্রজ্ঞার প্রতিটি মানবিক মানসে আঁকা-<br />বাঙ্গালির মুক্তির জয়গান সাথে দেশকে ভালোবাসার মন্ত্রে পুঞ্জিত আহ্বান।<br />বঙ্গবন্ধুর প্রাণের আস্বাদ আমাদের এ দেশ-<br />জীবনের বিনিময়ে ছেঁড়া বাতাসে অক্ষয় চিরঞ্জীব অম্লান।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/obosheshe/অবশেষে2021-02-25T04:45:44-05:002023-06-25T21:48:32-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>বুকের সমস্ত আঙ্গিনা জুড়ে কোন সে ছায়া?<br />প্রদীপ জ্বলে মিটিমিটি নীরবে সবটুকু ক্ষত।<br />এখনো জীবন ফুরোয়নি।<br />ভালোবাসা নির্বাচিত কোন এক আখ্যান।<br />কিন্তু এ ভালোবাসা লোকজ নয়।<br />ধীরে ধীরে ডুবে যাওয়া-<br />মনের অগোচরে বয়।<br />হৃদয় নিংড়ে ভালোবাসতে গেলে অমায়িক হতে হয়-<br />হতে হয় কিছুটা বোকার মতন।<br />চোখ বেয়ে যখন অশ্রু নামে তখন বাঁ পাশটা মুচড়ে উঠে।<br />গভীর অবর্ণনীয় মায়ায় যতনে বাঁধা তোমার আমার নাম।<br />সুখের সংজ্ঞা দুঃখ জানে।<br />দু’খের ডাহুক মনের গোপন ভাঙে।<br />তোমার স্বজন; সযতন পরশে অন্তরের আকাশে কথা বলে।<br />এতো গভীর যে ভালোবাসা তাতে যেন না লাগে-<br />আর কোন পোড়ানল কখনো অবলীলায় কোন অবশেষে।<br />জানি তুমি সবসময় পাশে এখনো তখনো তুমি বুকের নোঙ্গরে ঘেঁষে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/konthossor/কণ্ঠস্বর2021-02-12T08:14:24-05:002023-06-25T21:48:13-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>নিবদ্ধ চোখ অমানিশার মতো আক্রোশ; বুকের সাহসে থাকা মায়ের ভাষা।<br />প্রচ্ছন্ন কোন এক উত্তরে উড়ন্ত শকুনের মতো লাশ খুঁজে ফিরে সমস্ত দমে সহসা।<br />আকাশে বাতাসে স্লোগান মায়ের জঠরের স্বাপ্নিকেরা ভাষা ছিনিয়ে আনবেই এমন প্রত্যাশা।<br />আকাশের বুকে ছিলো ঘুরেফিরে কালো মেঘের ছায়া; উল্কা,<br />দরমজা লাঠিপেটা; গুলির নিশানা; এক এক করে ফেলে দেয়া উদ্যমী কণ্ঠস্বর।<br />যেন হারহাড্ডি সমেত কঙ্কাল চিবিয়ে খাবে রক্ত করবে পান!<br />জোরালো সেই উদাত্ত কালজয়ী বিভীষিকার প্রতিদানে অমর অক্ষয় সালাম;বরকত-<br />রফিক; জব্বারেরা।<br />প্রান্তিকের প্রতিচ্ছায়ায় বাজে ডঙ্কা উদ্বেলিত অসংকোচের বিভেদ ভুলে<br />বৃষ্টি নামিয়ে কাঁপন ধরায় সহিংস সহস্রদের।<br />দামাল উড়ন্ত গর্জনে ধোপে টেকেনি বারংবারের প্রতিহতের।<br />বুকের তাজা খুনের অবিনাশী মূল্যে পাওয়া মাতৃ উচ্চারণ।<br />অম্লান তিরোধানে রচিত এক মহাকাব্য আজ বিশ্বস্বীকৃত এক মানবীর উৎকর্ষে।<br />সময় চলে যায়; যাচ্ছে; যাবেও,<br />কিন্তু অহিংস রোদের আলোতে মিশে গেছে স্মৃতির কাতরতা।<br />যে স্মৃতি মুছে যাবার নয়। <br />মৃত্যুঞ্জয়ী সময়ের সাক্ষী হয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে কণ্ঠে গেঁথে রয়।<br />অস্ফুট আহ্লাদে শিশু হাসে বলে বাংলায় শ্বাসে-প্রশ্বাসে নম্রচিত্তে কথা হয়।<br />একুশে ফেব্রুয়ারি মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার গভীর আকাঙ্ক্ষিত প্রত্যয়।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/mohiosi/মহীয়সী 2021-01-24T10:41:06-05:002023-06-26T11:27:25-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>মারাত্মক জিঘাংসায় মনে জন্ম নেয়া পাপের ফসল খুন রক্তারক্তি জখম।<br />অনলের তাপ শোষণ করে আর্দ্র দেহ-<br />আর ফুঁ দিলে লেলিহান শিখায় জ্বলে তার প্রাণের পরত।<br />দিনে দুপুরে তাজা খুনের রক্ত নিয়ে হোলি খেলে একই বসতের আজন্ম পাপীরা।<br />পানের বরজের কেন এতো যত্ন এতো আত্তি?<br />একটু হেরফেরে পুরোটা শেষ হয়ে যায় পচে।<br />যৌগিক সমীকরণের হিসেবে একটু ভুলের খেসারত দিতে হয়-<br />অভাবনীয়ভাবে মারাত্মক।<br />ভুল করা যাবে না; অন্তরে দ্বন্দ্ব রাখা যাবে না-<br />কখনো যদি জয়ী হতে চাও তুমি নিজে-<br />তবে দ্বন্দ্ব থেকে সাবধান।<br />তোমার শত্রু হতে পারে তোমার এক পাতে খাওয়া নিজের মানুষ।<br />কখনো ভুলে যেওনা আসলে তুমি একা এসেছ এই পৃথিবীতে,<br />যেতেও হবে একা পরপারে।<br />জিঘাংসা খুবই মারাত্মক নীল আভার আগুনের চেয়েও ভয়ংকর।<br />জিঘাংসার অনলে কখনো নিজেকে- পুড়িও না মানুষকে পৃথিবীর,<br />তা সে কেউ হোক আর তুমি মনে রেখে চলো তোমার একদিন মৃত্যু হবে-<br />তা সে যেকোনো সময়।<br />মনের মাঝে কুটিলতা রেখে কেউ কখনো জেতেনি।<br />পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা মানুষের মাঝে তুমিও একজন অতি বিশাল হতে পারো।<br />যদি তোমার মনের মাঝে সাহস থাকে আর থাকে সততা।<br />নিরীক্ষায় তুমি উত্তীর্ণ হয়ে যেতে পারবে এক নিমেষেই যদি অন্তর-আত্মা এক থাকে।<br />মানুষটার লাশের সাদা কাফনে রক্তের দাগের নাম কি ছিল তবে জিঘাংসা?<br />সরল পথে তুমি, আসলে তুমি একা কখনোই নও।<br />তোমার চারপাশে বন্ধুর অভাব হবে না কখনো-<br />যদি তুমি মনেপ্রাণে তাঁদের ভালোবাসো।<br />কিন্তু অতিরিক্ত আবেগের প্রশ্রয়ে কখনো পড়িও না।<br />এমনও হতে পারে তোমার সাথে যে চলে সব সময়,<br />সে তোমার ঘাতক হয়ে গেছে নীরবে।<br />নীরব ঘাতক খুবই মারাত্মক।<br />বুদ্ধিমান শত্রু তাও ভালো মূর্খের চেয়ে।<br />যে শত্রু তোমাকে চমকে দিয়ে দেখিয়ে দেবে-<br />সোজা পথের ডানে বামে কি রোপিত আছে।<br />মাটির একটু গভীরে থাকে মাইন পোঁতা।<br />কিন্তু তোমাকে চলতে হবে খুবই সতর্কভাবে।<br />তোমার উদ্দেশে বলা কিছু কথা তোমার ভালর জন্যই বলা-<br />কিন্তু যদি একটু ভুল করে বস তাহলে আর যে রক্ষে নেই।<br />তোমার বলা প্রতিটি কথা সুদূর পাহাড়ে কেন প্রতিরূপে ফিরে আসে তোমার কাছে?<br />তুমি যাই কর না কেন তা যদি সত্যিকারের মানবিক হয় তাহলেই তুমি অমর-<br />অসাধারণ, অমায়িক আর পৃথিবীর এক নজরকাড়া সজীব দুর্লভ পাতা।<br />নৌকার পেছনের বৈঠা যদি ঠিক না থাকে তাহলে নৌকার অবস্থা কি হবে তা যে-<br />সময় বলে দেয়।<br />এখন আমরা সঠিক পথে আছি- নৌকার পেছনের বৈঠাও একেবারে সতর্ক-সজাগ ঘোর অন্ধকারেও।<br />এটা কি করে সম্ভব হতে পারে তা যে মহীয়সী নিজে জানে।<br />জানে আর সবাই যারা অন্তরের সহযোগী।<br />উথাল পাথাল সমুদ্রের ঢেউ উপেক্ষা করে এগিয়ে চলার নাম সাহস সঞ্চয়ীনি।<br />বুকের সমস্ত দম নিয়ে চলার নাম সাহস।<br />কেউ পিছিয়ে থাকে না যদি হৃদয়ের ছেদেও থাকে গভীর শক্তিশালী বাতাস।<br />মায়ের নাম জপে নদীর বক্ষে সাতারের তুফান তুলেছিল বিদ্যাসাগর-<br />মায়ের মুখ একটু দেখার জন্য।<br />মহীয়সীর কোন ভয় নেই তাঁর সামনে পেছনে আছে বর্ম ঢাল।<br />হোক না বেহুঁশের মতো প্রলয়ঙ্করী ভয়ানক-<br />মুখের যতো পারা বলে দেয়া সময় করোনা বেতাল।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/adhar-hote-alo/আঁধার হতে আলো2021-01-09T13:33:17-05:002023-06-25T21:47:43-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>স্বাধীনতার গর্বিত স্পর্শ অনুভব করতে পেরেছিলো যে মনঃপ্রাণ,<br />নিজের জীবনের যৌবন উৎকণ্ঠা উদ্বেগের ঘনঘটায় অন্তরিন ছিলো যার,<br />তাঁর চোখেই তো স্বপ্ন হাসবে বাজবে বাঙ্গালিয়ানার আনন্দের জয়গান।<br />বঙ্গবন্ধুর জীবনের আস্বাদে ছিলো দেশের মাটির সোঁদা গন্ধে ভরা অমিয় আখ্যান।<br />তাঁকে ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয়েছিলো-<br />তিনি বলেছিলেন আমার দেশের মানুষের রক্তের ঋণ শোধ হয়নি-<br />আমি প্রস্তুত; আমি নিজের জীবন দিতে পিছপা নই।<br />আমার সোনার বাংলার জমিনে আমি মরে গেলেও দেখবে চেয়ে আমারি ফেরারি প্রাণ।<br />দশই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন তাঁর আপন ভূমিতে কেঁদেকেটে অম্লান।<br />হৃদয়ের মনের অন্তরের গভীরের সবটুকু ভালোবাসা মিশিয়ে বাঙ্গালি ছিন্ন দেশে-<br />তাঁকে আপন করে নিতে ভুলেনি কভুও জড়িয়ে ধরে কান্নায় মুগ্ধ দেশের জনতান।<br />বাঙ্গালির মনে প্রাণে প্রোথিত হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান-<br />সূর্যস্নাত অমিত লক্ষ-কোটির আত্মজ ভূষিত বীরন্ময় সম্মান।<br />আজও এ দেশে বর্বরদের কালো ছায়া হাঁটে, আজও সেই বুটের শব্দ শোনা যায়।<br />উদ্ভ্রান্তের মতো গলা ছেড়ে সৃষ্টি করে বিরোধ।<br />নাঙ্গা দাহ করে গর্ভবতীর স্বপ্ন পুড়িয়ে করে ছারখার।<br />বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার উন্নত অবস্থান।<br />মাল্যভূষিত বঙ্গবন্ধু এদিন কেঁদেছিলেন অন্তরের গভীর অতল থেকে।<br />স্বপ্নের সোনার বাংলা কিছুদিন আগে স্বাধীন হয়েছে,<br />বঙ্গবন্ধু, কান্না জড়ানো উদ্ভাসিত উল্লাসে ফেটে পড়া মুক্তির শিরোস্রান।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/tader-shesh-proshshas/তাঁদের শেষ প্রশ্বাস2020-12-14T07:15:12-05:002023-06-25T21:49:10-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>পৃথিবীর বুকে নতুন মানচিত্র হবার দু’দিন আগে তাঁরা নেই।<br />বর্বরতার সীমাহীন আঘাতে আঘাতে নয়টি মাসের অকল্পনীয় বিলাপ।<br />সত্যিই তো এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত-<br />প্রাণের চেয়ে প্রিয় স্বাধীনতা।<br />বাংলাদেশের উর্বর মস্তিষ্ক নীলমণি বেছে বেছে ধরে নিয়ে-<br />পেছনে দু’হাত চোখ বেঁধে এক এক করে ঝাঁজরা করা বুলেটের বিষাক্ত যন্ত্রণায়-<br />তাঁদের শেষ প্রশ্বাসেও ছিল বাংলাদেশের নাম।<br />স্বাধীনতার উল্লাসে আকাশ-বাতাস এক করে বিজয়ধ্বনি শুনবার-<br />বারবার সুবর্ণ মুহূর্তটুকু দু’চোখে দেখার আর সুযোগ হলো না।<br />তাঁদের কোন দোষ ছিলো না।<br />বর্বরদের লক্ষ্য ছিলো একটিই-<br />নব্য জাতিকে মেধাশূন্য করে কিছুটা হলেও পঙ্গু করা।<br />অত্যাচারের তাজা বেমালুম রক্তের ঘ্রাণে-<br />সৃষ্টিকর্তাও নাখোশ হয়ে বেঁকে বসেছিলেন।<br />ক্ষণিকেই স্বাধীনতা ঠিক এরপরই।<br />চোদ্দই ডিসেম্বরকে উপলব্ধি করে আমাদেরকে শিখতে হবে।<br />ঘাতকদের চোখ কি এখনো এতো সময় পরও আমাদের দিকেই?<br />প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক।<br />বাংলাদেশের প্রান্তরের পর প্রান্তরের গভীরে রক্তের মাটিচাপা।<br />বাংলাদেশের মানচিত্রে তাঁরা হয়তো আঁকতে পারতেন-<br />নতুন সব অপার সম্ভাবনা।<br />কিন্তু সময়ের কালবৈশাখীতে তা আর হলো না।<br />এ পৃথ্বীতে অনেক যুদ্ধ হয়েছে-<br />কিন্তু এমন রক্তাক্ত ঢেউয়ের বহর কেউ দেখেছে কি?<br />বিধ্বস্ত হয়ে যায় মনের পাথার।<br />আমরা যদি তাঁদের না হারাতাম কিছুটা ধীরে হলেও-<br />উঁচু আকাশ দেখতে পারতাম আমরা সময়ের যোজনে।<br />চোখ বন্ধ করলে নতুন প্রজন্ম এখনো-<br />তাঁদের মৃত্যুর দৃশ্য দেখে আরও দেখে সবাই।<br />গভীর ঘুমেও এখনো আঁতকে উঠে তাঁদের পরম্পরা।<br />বাঙ্গালিরা তাঁদের কখনো ভুলবে না,<br />ভুলবে না সময়ের দমেরা।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/ekdin-somudro-kadbe/একদিন সমুদ্র কাঁদবে2020-12-12T08:51:09-05:002023-06-25T21:47:58-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>অফুরন্ত সব কষ্টের মাঝে বেঁচে থেকে-<br />মনের জানা আনন্দের মাঝেও কান্না আসে।<br />এ পৃথিবীতে কে আছে সম্পূর্ণ সুখী?<br />সমুদ্রের ঢেউও হাসে বাতাসের কম্পে,<br />কিন্তু কেন সে নোনাজলের আধার?<br />আমার এ দু’টি চোখ সমুদ্র দেখেনি-<br />কোনোদিন দূর থেকে দেখার ইচ্ছেও নেই।<br />কেন নেই তা যে আমার অজানা সংকেত।<br />বারবার সমুদ্র আমাকে ছুঁতে চায়।<br />আমি মনের বারান্দায় চুপ করে বসে থাকি-<br />চোখে ভাসে তারই প্রতিচ্ছবি।<br />সেই এমন রাত যে রাতে চুরি করে সমুদ্র টেনে নেবে আমাকে-<br />তার বুকের গভীরে।<br />কেউ জানবে না কীভাবে কখন কোন সে অব্যয়ে-<br />নিঃশ্বাসটুকু হার মানবে তার কাছে।<br />পৃথিবীতে কিছু ব্যাপার আছে যা অলৌকিক।<br />মানুষ ভাবে সম্ভবকেও অসম্ভব!<br />একদিন হঠাৎ থামবে জীবন রথ।<br />স্তব্ধ হয়ে যাবে অধিকাংশ মন নিথর স্থম্ভিত হবে অনুসারী।<br />একদিন আমাকে বুকে জড়িয়ে নিতে গিয়ে সমুদ্রও কাঁদবে।<br />এ কান্না ভালোবাসার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ছাড়া হয়তো কিছুই নয়।<br />আমি ভালোবেসেছি সমুদ্রকে; সৈকতকে।<br />যুগল এ ভালোবাসা কি করে মিথ্যে হয়?</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/attoshomman/আত্মসম্মান2020-08-28T10:41:54-04:002023-06-25T21:47:46-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>তরঙ্গিত মন চুপসে থাকে না; থাকে না রোদেলা দুপুর-<br />স্তব্ধ নিমেষে বিকেলে বা সন্ধ্যেতে হারানোর আগেও-<br />মনের বিহারে রাগ লিখে ভুলে।<br />কর্তব্যের জালে যদি মনন থাকে সঠিক-<br />তবে বেহুঁশও অবচেতনে থাকে সজাগ স্পষ্ট,<br />যেন তাকিয়ে থাকে চোখ খুলে।<br />দীর্ঘ রণনে পারতে আপোষ করে না বীরের লক্ষ্য,<br />হারতে চায়নি চায়নাও রথের চাকায় চলে যুদ্ধে টিকে থাকার প্রয়াসে-<br />আকাশও পাশে হাতে রাখে হাত ওই দেখ জোড়াবাহু তুলে।<br />শত আঘাতের পরও যদি মেনে নেয়া সহজ ঠেকে-<br />সমার্থক তবে কোন প্রাসঙ্গিক ভুলের অর্থ?<br />উজানেও বারবার নিশানে নতুন তোড়ে ভেসে গিয়েও-<br />কীভাবে একই পথ খুঁজে চলে?<br />জীবনের মানে অনেক বহু অনেকের কাছে ভিন্ন ভিন্ন রূপে কাঁদে হাসে।<br />তবে স্বপ্ন-সংকুলে বিবৃত বিব্রত আঘাতে-<br />উড়ন্ত ছোট্ট বালক ঘুড়িটার সুতো কেটে দিয়ে-<br />যে ঘাতকের দল আনন্দে ভাসে-<br />রক্তের বাঁধনের সততে স্রোতে কে নেই আর কে না আছে?<br />তার মাপে কখনো কোন সে সময়ে-<br />মৃত লাশ করে তবে কেন ওরা না ডাকে কাছে?<br />সহসাও আর কোনোদিন হতবাকেও মুছে যাওয়াই-<br />কেন নয় বাস্তবের ঠিকানায় সঠিক বিচার?<br />না হোক রচিত আর কোন পাতা লক্ষ্যচ্যুত করা অন্যায় সর্বনাশে।<br />এমন কিছু তীব্র মর্মদাহ্য কথা আছে-<br />শুনে যার পরিমাপে মনে হয় মৃত্যুও ঢের ভালো-<br />অন্ধকার অচিনে একা নিরালায় গর্হিত কথা কাটবে না কেউ-<br />নেই পাশে সে যেই হোক অস্ফুট নীরব সহস্র বিরক্তি কাঁপানো-<br />জোরালো বিষাক্ত প্রশ্বাসে।<br />কিছু অমানুষিক শব্দের ভিড়ে তাও-<br />বোধ হয় নিজেকে ঠেসে রেখে চলা ভালো,<br />যে বর্ণে মন হয় আরও অবিচল থাকা সহজ হয়ে পড়ে,<br />স্থিতি মেলে ধরা যায় আক্ষরিকে বিশালে বিশাখায়।<br />কোটি চোখে কোটি ভাষা।<br />তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের বিপ্রতীপ স্বরেও সম্ভুক ভুলে না-<br />চোখে রেখে চলা স্থির লক্ষ্যের অনমনীয় সরল গতি-<br />খুব কঠিন কোন মোচড়ে তা কখন কি বুঝায়!<br />কাটা ঘায়ে যদি নোনা জল ছুঁড়ে মারে লৌকিক অসম্ভব-<br />অপঘাতে কোন ভীষণ চুপ চারিত চরণ-<br />তার চোখে চোখ রেখে যদি কপালে ভাঁজ তুলে বেরসিকের মতো-<br />খানিক ভুলের মাত্রা চোখে পড়ে তটে,<br />তখন যে মনেরা প্রশ্ন খুঁজে সে নীড়ে-<br />এক শব্দের এক উচ্চারণ শোনায় আত্মসম্মানও,<br />হঠাৎ নড়ে ভীষণ চটে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/oboyob/অবয়ব2020-07-24T04:22:48-04:002023-06-25T21:48:32-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>দূর কোন এক নিকেতন থেকে অজানা লাজুক একটি ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ আসছে।<br />প্রাণ তন্ময় হয়ে আছে, হয়ে আছে অধীর।<br />নাসিকার রন্ধ্রে রন্ধ্রে লেপটে আছে ঘ্রাণটুকু।<br />কখনো না দেখা কোন কিছুর প্রতি থাকে প্রবল আকর্ষণ।<br />বিবেকেরও একটা গভীর অতল মন আছে।<br />সে মনে আছড়ে পড়ে অনেক প্রশ্নের তির।<br />কখনো প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় আবার কখনো বিবেক থাকে নিভৃত নীরব।<br />সময়ের উপাখ্যানে কতোকিছু ঘটে যায়।<br />সময় এক অদ্ভুত তরঙ্গ।<br />ভুল করেও কাউকে ভালো লেগে গেলে অন্তর কথা বলে-<br />মনে হয় কতো আপন কতো বিনিদ্র স্বপ্নলোক।<br />তাকে পাওয়ার জন্য প্রাণ হয়ে যায় ব্যাকুল।<br />হৃদয় থেকে কাউকে ভালোবাসলে তার প্রতিদান স্বয়ং ঈশ্বর দেন।<br />ঈশ্বর নড়ে বসেন।<br />ভালোবাসা প্রাণের বাঁধন কিংবা তার চেয়েও অনেক গহীন কিছু।<br />ভালোবাসা রিক্ত শুন্য মনকে যখন ভরিয়ে দেয় আনন্দের আস্থায়-<br />তখন দু’টি প্রাণ হাসতে শেখে, খুঁজে নেয় অন্তরের কথা বলার অবয়ব।<br />মন হাসে, হৃদয় হাসে, হাসে চারপাশের সব।<br />চুপিচুপি কথা বলে দু’টি সিক্ত পরাভব।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/lojjavora-satpak/লজ্জাভরা সাতপাক2020-04-20T11:50:46-04:002023-06-25T21:48:16-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>দু’টি চোখ ভরে স্বপ্ন দেখতে কে কাকে মানা করেছে।<br />তোমার বুক জুড়ানো নিবিড় নিভৃত ভালোবাসা মানে-<br />মনের গাংচিলে ভর করে উড়ে যাওয়া অভিলাষী সৌন্দর্য। <br />রোদের চিলিকে একপশলা বৃষ্টির স্পর্শে রংধনুর হাসি,<br />বহুদূর থেকে তা ছুঁতে চাওয়া হৃদয়ের রাতে তরঙ্গে আমি পূর্ণিমায় ভাসি।<br />দুপুরের নীরবতায় শাল-পিয়ালের ডাক-<br />বিকেলের আবছা আলোয় হেঁটে হেঁটে কাছে কোথাও গোধূলি দেখার বাঁক।<br />প্রেমের বাঁধনে চন্দনাগুনে পূর্ণ তোমার লজ্জাভরা সাতপাক।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/ipsito-nishana/ঈপ্সিত নিশানা2020-04-14T13:35:55-04:002023-06-25T21:48:03-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>সন্ধ্যেতারারা জেগে উঠেছে চাঁদের রুপশ্রীতে সস্মিত লহরীর ঢেউ ভেঙ্গে তিমিরে সাজে।<br />বাতাসের আবেগ বড়ই অদ্ভুত কেউ চিরতরে সংজ্ঞাহীন বীণা আর বাজে না যে।<br />দুপুরের সূর্যটা বেরসিকের মতো শ্বাস ফেলছিল ঘুমকাতুরে করেছিল কিছুটা বিকেল।<br />কেউ যেন চোখে কোন স্বপ্ন আঁকতে পারছে না সব বুঝেও বিরক্ত মেনে নেয়ার প্রতি।<br />আর কেউবা স্বপ্ন দেখছে যার মাঝে ডুব দিয়ে পরাজয় কি তা যেন ভুলে যায়।<br />রঙিন ঘুড়িটা উড়তে উড়তে নভোনীলে হারিয়ে যেতে চায় তাও সুতো টেনে ধরা।<br />কেন যেন কেউ উড়ন্ত মেঘস্পর্শী ঘুড়িটার সুতো কেটে দিতে গিয়েও পারে না!<br />মনের বিবেকে সত্য-সুন্দরের বসবাস সেখানে আলো জ্বলে গভীর গোপনে।<br />গহীন কৃষ্ণপক্ষের রাতেও সঠিক পথিক দৃঢ়তায় ভুলে না দূরত্বের ঈপ্সিত নিশানা।<br />চোখে সরষে ফুল দেখে বিপন্ন ধরাশায়ী কাতর স্বর আসলে তাও জিঘাংসায়-<br />মুখে দর্প তুলে খুঁজে নামহীন বিনিদ্র পথের রেখা তা সে ধোপে টেকে না যে। <br />খুনের তাজা রক্ত মেখে জীবনের সুতো কত দীর্ঘ সময় আঁকে তা একগাল হেসে।<br />কলঙ্ক রোপিত তাও চাঁদের সর্বনাশেও কতো গভীরে প্রকাশে দিবাকর মুহূর্তে ভুলে-<br />বল তবে মানুষ তাকে কেন চোখ ভরে দেখে আনন্দে উজালা হয়ে এতো ভালোবাসে?</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/mayabi-sur/মায়াবী সুর2020-04-13T16:22:23-04:002023-06-25T21:48:16-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>ফেলে আসা স্মৃতির টানে কখনো কারো কারো মন চায়-<br />জীবনের শেষ সময়গুলো জুড়ে থাক মিলে যাক-<br />গাঁয়ের সোঁদা কাঁচা পথের স্নানে সবুজ শ্যামলের স্বরে।<br />সমুদ্রে প্রাতে ঝাউবন সাথে উজালা উন্ময়ি বাঁধন ছিঁড়ে সহসা-<br />ঢেউয়ের সাহসে আনন্দ ঝরে বুকে উচ্ছ্বাস দীপ্তি উপচিয়ে পড়ে।<br />চলতে চলতে বয়সের ভারে ন্যুজ প্রশ্বাসও-<br />নিঃশ্বাস খুঁজে পেতে চায় জীবন নতুন বাতাসে বুজে।<br />মনের মসজিদে পবিত্র দেহ সাক্ষী সৃষ্টিকর্তা খুঁজে।<br />পুজোয় যাবার আগে প্রিয় কিছু ফুল অপার আগ্রহে-<br />দু’হাত ভরে মান্যতায় জুরে পুজে।<br />পৃথিবীর তটে নির্বাক পথের শেষ নেই-<br />এক পা এক পা করেই হাসে নতুন ভুবন।<br />জানতে অশেষ জলভরা চোখও হাসে-<br />বুঝে গিয়ে মায়াবী মাধুর্যে সুরে সুরে বোনা যা কিছু গোপন।<br />জীবনের সাধ শতভাগ হয় পূরণ যখন প্রাণ মেশে চারপাশে-<br />মেলে কাজল কালো দু’নয়ন।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/dur-nokkhotrou-kade/দূর নক্ষত্রও কাঁদে2020-04-04T07:00:17-04:002023-06-25T21:47:56-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>বাতাসের নীড়ে ভেজা আবেগ,<br />নেই রোদনীল দোলাচলে সহজাত সমাকর্ষণে-<br />মন মাতানো অবাক হয়ে শোনা নুড়িজলের শব্দে শব্দে লুকোনো-<br />মৌন ভালোবাসার নিলাদ্রি দিকবাক।<br />হতবাক নীলাভ আকাশটা চুপসে করুণ দৃষ্টিতে অপলকে চেয়ে আছে-<br />শুভ্র মেঘের ডানাকে বিস্তীর্ণ আনাগোনায় সহচর করে।<br />হৃদয়ের বাহুডোরে শুধুই শূন্যতা পুড়ে-<br />কোন এক জানা চোখে রেখে চোখ।<br />সময়ের পাতায় পাতায় সুতো বুনে ক্লান্ত হঠাৎ লাজুক বৃষ্টি-<br />লাস্যময়ী হয়ে ঝরে পড়ে পড়ন্ত সন্ধ্যের পিয়াসে রাতের তারা নাড়িয়ে।<br />স্মৃতির পূর্ণতায় ভরা মুহূর্তের সমস্ত স্বরে-<br />লুকিয়ে যেন নিভে যেতে থাকা নিস্প্রভ সুর।<br />মৌনতা কি তবে মাঝে মাঝে সত্যি ভালোবাসা?<br />অপেক্ষার প্রহর কাটতে চায়না এ যে অনেক বড়। <br />সাজানো পানসী ভিড়বে সে আর কতদূর?<br />মৃত্যুর মিছিল অঙ্গন জুরে কাঁপায় নিঃশ্বাস,<br />সাহসের বাঁধের ভিত সরে যেতে চায় যেন।<br />দূর নক্ষত্রও কাঁদে প্রিয়মুখের প্রস্থান অজানায়,<br />বিহ্বল চোখের পাতা বুজতে চায় অপার কেঁদে তবে কেন?<br />সপাটের পোড়ে দুঃসময়ে যখন পৃথিবীর যাপন,<br />নিঃসৃত দৃপ্তে সর্বে সামর্থ্যে ব্যাপৃত হোক দিব্যে রাতদিন প্রতি মোড়।<br />রোদে-জলে ভিজে কর্মযজ্ঞের আন্দোলনে উড়ছে শৃঙ্খলা,<br />অবধারিত দূরে বা কাছে দৃষ্টি পেতে মনোবীণা বাজে চেনাতে দিনের দুপুর।<br />নিরুপমার অধরে ফুটে নিঃসৃতে চেতনা ক্ষণে ক্ষণে,<br />ললাটে খানিক ভাঁজ চিন্তার রেখা শান্তাশ্রয় খুঁজে।<br />পোতাশ্রয়ে ভিড়েছে সবকিছু প্রয়োজন সতর্কে নিভৃতে মাথাগোঁজার।<br />দুঃসময়ে বুঝতে হয় প্রকটতার ঘণ্টা যা বাজে সময়ে অসময়ে।<br />এমন হয়ে থাকা নয় যা কিনা চুপসে-<br />বরং ধারণ করা রয়েসয়ে যেন যতোটুকুই সম্ভব মূর্ত মূর্তি করে-<br />বিনাশের বধ যেন না আনে অশ্রুজল বয়ে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/somorpon/সমর্পণ2020-03-21T08:14:31-04:002023-06-25T21:49:07-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>অনেক ঝড় হয়তো বয়ে গেছে জীবন প্রদীপের আলোকে ঘিরে।<br />অনেক আশার পাতে হয়তো লাঞ্ছনার প্রত্যাঘাতে-<br />দুমরে মুচরে হৃদয় ভেঙেছে নয়ন চিঁরে।<br />প্রাণের পরতে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসার নীড়ে হয়তো আছড়ে পড়েছে-<br />অপ্রাপ্তি প্রহরে প্রহরে।<br />রোদ ঝিলমিল তাপসে ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত অবসন্ন দেহের ডানা-<br />বিশ্রাম চেয়েছে হয়তো সায়াহ্নে।<br />হয়তো পারেনি; মনের তপস্যা মিনতি করেছে,<br />সময় ভুলেনি; পাপড়ি মেলে চেয়েও হয়তো খুঁজে ফেরেনি অয়নে।<br />বিহঙ্গের উড়ে চলার প্রান্তে প্রান্তে মুক্ত বাতাসের খেলায়-<br />দমবন্ধের মতো প্রায়াধেক জীবন কেটে গেছে হয়তো নিছক অবগ্রহনে।<br />বারবার খুঁড়েছে সমাধি পারেনি কিছু তবুও করতে-<br />কেন হৃদয় জেনেছে চেয়ে দেখেছে দু’টি চোখ?<br />নির্বাক নিথর দেহ হয় তা যে মরণে।<br />দীর্ঘ চারিত জমাট লোনা কষ্ট কোষে কোষে প্রোথিত। <br />তাড়িত করে চৈত্রের দগ্ধ দুপুর,<br />ঢেউয়ে ধেয়ে আসা জলও আছড়ে পড়ে পাড় মেনে নেয় ভাঙ্গনেও-<br />এ যে সুখের মতো ব্যাথায় ক্ষয়ে যায় বহুদূর।<br />প্রকৃতি মেনে নিতে পারে যদি বর্ণে বর্ণে-<br />কে কোন সে তবে তারই বাহিরে?<br />প্রলয় বয়ে যায় দোর্দণ্ডে শেষে ধ্বংসের তীরে দুকূল ছাপিয়ে-<br />শীতল নব বাতাসের মণিতে আবারো শ্রমে উদ্যমে গড়ে উঠে-<br />আশ্রয়ে রাঙা আগামীর শুক্লা।<br />ধ্বংসযজ্ঞ; তোমার বিনাশী চোখে এতো প্রহসন!<br />এতো অমানবিকতা; এতো কালক্ষেপণ; ভয়ার্ত গ্রাসে রচা এমনই বিচরণ!<br />মন ভেঙ্গে যাওয়া; দু’চোখের মাঝে জেগে উঠা-<br />হেতুক স্বপ্ন ভঙ্গের না ছুঁতে পারা কল্পনা।<br />হারতে হারতে শেষ দেয়ালে ঠেকে যাওয়া-<br />দু’খের প্রদীপটাও নিভে যাওয়া।<br />সময়ের পিঠে চড়ে যেন বসে দেখে ফেলা ঘূর্ণিপাকে থাকা পৃথিবীটাকে।<br />তারপর............... <br />শেষ থেকে শুরু-<br />নতুন অত্যুজ্জ্বল অতুলনীয় অভিপ্রায়ে তরঙ্গ ভেজা দু’টি পায়ে-<br />কে যেন মলয়ে জলের নূপুর জড়িয়ে দেয়।<br />কাঁদতে কাঁদতে অধীর চোখের কোণ বেয়ে আর জল পড়ে না।<br />সেখানে সচেতনে পথ চলে নির্লজ্জ অসময়কে হারিয়ে-<br />সুমনার ভিড়ে নিজেকে সমর্পণ করা।<br />দীর্ঘ মৃতপ্রায় মুহূর্তগুলোকে জোড়া লাগিয়ে সে সময়টুকুকে-<br />হাসির আবিরে রাঙিয়ে দেয়া।<br />অমানুষেরও মানুষ হতে চাওয়া। <br />গল্পের শেষ আছে; পঙক্তির শেষ নেই যতোদিন নিঃশ্বাসে মানস ভাসে।<br />স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়া সবার যেমন ইচ্ছে বেঁচে থাকা প্রশ্বাসে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/osru-mane-chokhe/অশ্রু মানে চোখে2020-03-16T13:42:33-04:002023-06-25T21:48:40-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>দূর বহুদূর পথের ঠিকানায় জোড়া বাঁধনে-<br />অস্তমিত দিনের ইশারায় রাত আসে।<br />সূর্যডোবা ধূসর আঁধারে ঘেরা সন্ধ্যের দেহে ভর করে আলোর প্রতীক্ষা।<br />চাঁদ ভাসে; কখনো ভাসে না-<br />অমাবস্যার তোপে পথচলা তাও কেন থেমে নেই?<br />আঁধারের গল্পে আলো জ্বেলে তাও মানুষ হাসে; কাঁদে-<br />কখনো বা বিলাপে না হয় থাকে অস্ফুট।<br />আনন্দের মোচড়ে উদ্ভূত হাসি-<br />প্রাণে আশা জাগিয়ে রাখে নতুন তোড়।<br />তারপর আসে উজালা আলোতে তপস্যার ভোর।<br />প্রতিটি নতুন সূর্যকে দেখে মানুষ আঁধার ভুলে চলে কর্মযজ্ঞে।<br />মানুষের মনে কতো দুঃখ থাকে; থাকে নিরাশার পাহাড়-<br />হতাশার পর্বততুল্য অপ্রতুলতা।<br />তাও সময়ের পাড়ে ভীরে সহস্রের ভিড়ে মিশে-<br />মানুষ ভুলে ব্যাথার নিমিশা।<br />দুঃখ; ব্যাথা; যন্ত্রণা; কষ্ট; হতাশা আর বেদনা-<br />প্রতিটি যে আলাদা আঁখরে ধরণে মাত্রায় ভিন্ন।<br />সময়ের বুকে কোন মায়া নেই; সময় কাউকে দেখে না-<br />করে মুহূর্তের জট ছিন্ন। <br />সময় শুষে নেয় সবকিছু-<br />যেভাবে সমুদ্রের ঢেউ শুষে নেয় এপারের সৈকত-<br />যেভাবে বাতাস থেকে ধীরে উপহারে-<br />কুয়াশা টেনে নেয় আকাঙ্ক্ষিত তৃষিত ক্ষণিকের জীবন।<br />মুখের কথায় আঘাত মনের নীড় ঠুকে-<br />ত্রস্ত করে মুখশ্রী কখনো মিথ্যের উজাড়ে ঠাঁসা কাল্পনিক বুনন।<br />এমন কিছু ভাবতে নেই অবান্তর অপভারে-<br />যার বর্ণে শুধু তুমিই একা।<br />রংধনুর রং আকাশে দেখে সবার চোখ কতো সুখে হাসে,<br />যখন মিলিয়ে যায় তখন খুঁজে পেতে চায় আবার সে মন-<br />আহা যদি সে আবার আসে।<br />স্বপ্নের সাথে দুঃস্বপ্ন যদি একি হ্রদে মিশে অশ্রু মানে চোখে। <br />কি আর থাকে করার মন মেনে নেয় তাও। <br />দিশারী প্রহরের সাথে উন্মুখে আশ্বস্ত নবীন রক্ত পাশে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/onjoli/অঞ্জলি2020-03-13T08:42:25-04:002023-06-25T21:48:37-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>শূন্য রংবিহীন অভাবনীয় রিক্ত একা বিস্তীর্ণ আকাশও মেঘ বিনা। <br />বাতাস ছাড়া যেভাবে মেঘের হৃদয়ে নেই ডানা ঝাঁপটা ছোটাছুটি।<br />পাহাড়ও স্পর্শীয়া হতে চায় মেঘের মুকুরে আঁচরে ভিজতে চায় শীতল অবগাহনে।<br />সমুদ্রের নূপুর ঢেউ; নৃত্য যেন সৈকত জুরে থাকা বালুকায়।<br />সহিষ্ণু শাঁ শাঁ শব্দের বাতাসে সন্ধ্যেভরা সমুদ্র পাড়ে-<br />একা বসে প্রকৃতি-কুসুমের বিদায় দেখতে কারও ভালো লাগে না।<br />ভালো লাগবে কি চুপচাপ নিথর চোখে নিস্তব্ধ রাতের আকাশে গুটিসুটি তারা গুনতে?<br />গভীর তন্দ্রাচ্ছন্ন রাতের মধ্য-মোহনায় কেউ যদি সে থাকে পাশে,<br />বারান্দায় বসে এক চাদরে হাতে হাল্কা মেজাজের দু’কাপ চা হিমহিম বাতাসে-<br />উড়ন্ত জোনাকির টিমটিম আলো যেন মনের গালিচায় ভালোবাসা বিঁধিয়ে ছাড়ে।<br />রাতের নীরবে তোমাকে ভাবতে ভাবতে হঠাৎ চোখের পাপড়ি ঘুম ছোঁয়।<br />হাসতে থাকা সকালের প্রসন্নে যদি তোমার লাস্যময় চোখের টানে-<br />আমার কপোলে ভাঁজ পড়তো।<br />একদিন কোন এক উপত্যকা নীড়ে পাশে বয়ে যাওয়া জলের প্রবাহ ঘিরে-<br />আমাকে তোমাকে অরণ্য যদি আপন করে নিতো।<br />কতো স্বপ্ন নিবিড় করে আপন সুরে তোমার জন্য গোছানো।<br />জানি সে প্রাণের প্রণয় হৃদয়ের অঞ্জলি একদিন সত্যি হবেই- <br />নিদারুণ সৌন্দর্যভারে ভাবনার নিলয়ে।<br />তুমি আমি একদিন পাশাপাশি বৃষ্টিভেজা ত্রিনয়ে-<br />হাতে হাত রেখে হাঁটতে হাঁটতে বহুদূরের সে কোন এক পথে-<br />ধীরে অবসন্নে হঠাৎ মিলিয়ে যাবো।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/omlan-tejodripto/অম্লান তেজোদৃপ্ত2020-03-07T16:59:32-05:002023-06-25T21:48:35-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>আমরণ প্রীত এক স্বপ্ন মনের মণিকোঠায় ধারণের বিপরীতে-<br />হয়েছে মৃত্যুও উপেক্ষিত।<br />জীবনের যৌবন ভারী করেছে বন্দিত্ব,<br />তাও বুকের প্রতি নিঃশ্বাস ছিল ভরা সাহসে সঞ্চিত।<br />মৃত্যুর দুয়ারে গিয়েও যে প্রাণ নয়নে রাখে মাতৃকার মানচিত্র-<br />সে সবুজে সজীব স্বাধীনতা হয়েছিলো আমাদের-<br />বীরদর্পের জয়গানে অর্জিত।<br />অতিমানবীয় রাজসিক উদ্ভাসিত উড়ন্ত অরুনাব্রতের মহীয়ান সান্নিধ্যে-<br />সময়ের চাকায় তেজোদৃপ্ত কণ্ঠে গাঁথা অনমনীয় লক্ষ্যে বোনা-<br />স্ফুলিঙ্গ কণিকায় অবিচার জনবর্জিত।<br />বাংলার মানুষের বুকে বিঁধিয়ে দেয়া-<br />সহসার ক্ষেপণে অবারিত অনবরত সাহস-<br />শেষ পর্যন্ত লক্ষ প্রাণের অকাতর বিয়োগ সম্ভ্রমের বিনিময়ে,<br />নতুন পতাকায় হেসেছিল স্বদেশ বাতাস।<br />বঙ্গবন্ধুর যদি জন্ম না হতো তবে বাঙ্গালি কি পেতো আপন ভূমি?<br />পেতো কি মুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাস ভরা বুক উঁচিয়ে চলার স্ফুট বিশ্বাস?<br />মার্চ মাসের সাত বাঙ্গালির অনবরত কাঁদতে থাকা গুমরে থাকা মন-<br />খুঁজে পায় নতুন ধারাপাত।<br />নম্র কণ্ঠে ব্যাগ্র বাসনায় সঠিক দর্শনে যৌক্তিক অব্যর্থ লোকজ যোগে-<br />পরাধীনতার নামতায় নব বৈশ্বিক ঠিকানার দ্বারে করাঘাত করে-<br />বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের চৌচির মনে বিস্তীর্ণ ঢেউ তুলে-<br />আপন আবাসের প্রত্যক্ষ বীজ বুনে সাত কোটি বাঙ্গালির মানসে-<br />অবিরাম অনন্ত স্বাধীনতার স্বপ্ন গুছিয়ে-<br />দুর্গম করেছিলেন হানাদারদের চোখের নিশানা।<br />বাঙ্গালি সেই অমর ন্যায্য অম্লান দীপ্ত কণ্ঠের নির্দেশ-<br />নির্নিমেষে লালন করে রক্তে-<br />অবশেষে পেলো লাল-সবুজের উন্মুখিত ঠিকানা।<br />বঙ্গবন্ধু কোটি বাঙ্গালির প্রাণে এক অমর কাব্যগাঁথা।<br />তাঁকে নিয়ে লেখা মানে যেন আমাদের মনের পাতা সাদা-<br />যার অবদান কল্পনা আর বাস্তবে দু’ভুবনেই অভাবনীয়,<br />আবেগের কষ্টের রক্তলাল তিরোধানে তাঁরই রচিত স্বদেশ আমাদের-<br />আমরা উড়ি রঙিন ঘুড়ি হয়ে অথবা ডানা ঝাঁপটাই হর্ষে নীল আকাশে,<br />শুরু আর শেষে সেই বঙ্গবন্ধুই যিনি বাঙ্গালির ত্রাতা; আঁচলে আঁচলে পাতা।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/astha/আস্থা2020-02-27T12:40:12-05:002023-06-25T21:47:46-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>ফাগুনের মন্ত্রে কখনো বনজ বাহারে ধীরে অবগুণ্ঠন খুলে-<br />বাতাস উড়ে খোলা বাহুতরঙ্গে।<br />নিচু স্বরে দৃশ্যমান লালজ্জ বৃক্ষকলি স্মরে গতরাতের ঝরে যাওয়া-<br />পাপড়িদলের সর্বশেষ কলতান।<br />মরুর বুকও শুষে নেয় হিমাদ্রির বাকি অবয়ব-<br />পল্লবে সবুজ ষোড়শ যেন উড়ন্ত বালিকনা।<br />আকাশের বুকে তারা কীভাবে ভেসে উঠে,<br />বল কীভাবে মেঘের বিদিকে বাতাস সহচরী?<br />সহিষ্ণু বাতাসের গালিচায় পাতাঝরা অরণ্যের বুকে দম বাঁধে নতুন কুঁড়ি।<br />উপত্যকার বুক চিঁরে কেন বয়ে যায় জলের প্রবাহ-<br />প্রকৃতির জোড়া হর্ষে নির্বাক বরণে?<br />বারবার টেনে নেয়া নিঃশ্বাসের অবগাহনে কোন এক মাটির টানে-<br />মুখ ঢেকে আছে এক পরিণীতা রক্তিম ওড়নায়।<br />পরিণতর বুকে স্বপ্নের জাল লাজ ভুলে কখন-<br />ছুটে আসবে সময়ের আবেগঘন মুহূর্তটুকু।<br />জড়িয়ে নিতে শত দুখের পর বাকি জীবনের সারথিকে একটুকু হেসে।<br />বুকের জমিনে কোন খাদ নেই যে; অপার সে বিশ্বাস।<br />নিঃশ্বাস খুঁজে নিতে হয় বিশ্বাসে,<br />যেভাবে দিন শেষ হয় আঁধারে আবার আঁধার টেনে নেয় আলো অবধারে।<br />এক আলোকিত তোমার আকাশে উড়ে বুঝে নিয়েছি-<br />কোথায় আমার নীড় অবসন্ন দেহে যেখানে নিতে পারি একটুকু বিশ্রাম,<br />ঘুরেফিরে ক্লান্ত তাও যেন নয় চলার শেষ।<br />যুদ্ধ করে করে নীলাভ সর্বস্বান্ত দিশারী মনের ঠিকানায়-<br />তুমি যে গভীর আস্থা রেখেছ তার মাঝে খুঁজে পাই-<br />অনাগত চেতনার নিবিড় অবলোকন।<br />সময় বলে দেবে কোথায় শক্ত ভিত চেয়ে আছে-<br />অনায়াসে গড়ে দিতে ন্যায্য ভবিষ্যৎ। <br />অবিচল শ্রান্ত চোখও চায় না যেন বুজতে-<br />দেখে নিতে রাতের শেষের শুকতারার মিলিয়ে যাবার পথ।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/pherari-phalguner-krishnochura/ফেরারি ফাল্গুনের কৃষ্ণচূড়া2020-02-13T09:05:07-05:002023-06-25T21:48:45-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>কোন এক অজানা দিনে গানের ডানায় ভর করে-<br />দূর আকাশের মেঘের রাজ্যে হারাতে মন টানে।<br />ফেরারি ফাল্গুনের কৃষ্ণচূড়ায়-<br />কোন এক অজানা দিনে।<br />অথবা মেঘদূতকে হারিয়ে বাতাস হয়ে<br />তীব্র আবেগে পর্বত সমারোহে-<br />কোন এক অজানা দিনে।<br />সাথে সবুজ লাজের আবেগে।<br />সমুদ্রজল মুখে মেখে-<br />সূর্যডোবা গোধূলির কান্না চোখভরে দেখে দেখে।<br />কোন এক অজানা দিনে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/noro-kingba-nari/নর কিংবা নারী2020-02-06T07:42:44-05:002023-06-25T21:48:27-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>কেন এতো আবেগে ভরা চোখে-<br />সুনিপুণ আকর্ষণে আকাশ খুঁজে অস্থির তুমি?<br />জানি, আকাশের সাদা-কালো কিংবা নীল মেঘের মনে মিশে থাকতে চাও,<br />তুমি যে কাগজের রংমাখা তুলি।<br />রংধনুর সাত রং মিশে যেতে চায় তোমার রচিত অক্ষরে বোনা-<br />পথের বাঁকে বাঁকে জুরে থেকে চেয়ে অবাক চিকচিকে এলোমেলো ধূলি।<br />ঘন কালো সেদিনের সেই বেণী করা লম্বা চুল-<br />মুখের অমলিন হাসির কাব্য ঝড়ো মাতাল বাতাসে-<br />পাড় খুঁজে খুঁজে কাকে যেন ছুঁয়েছিল।<br />দিয়েছিলো বুকে বাতাস উল্লাসে নবশিশুর-<br />মায়ের মুখে শুনে শুনে বলা প্রথম শব্দ-কলি।<br />আজকের এই আকাশ সুফলা ব্যাপ্তি শেষে-<br />গহীন সুজলা অরণ্যে ঢেকে থাকা সবুজের মিলনে-<br />আরাধ্য স্পর্শে রাত্রিপারের উজালা সূর্য প্রাণে গেঁথেছে।<br />সময়ে বুকের নিখাদ ভালোবাসা নিংড়ে দিয়ে উদার স্তম্ভ-<br />আর অসময়ে পথ না হারানো অভিযাত্রী বেশে-<br />নেত্রে বলীয়ান অবিনাশী রণনে মাতৃকার উঠোনে নিজেকে সঁপেছে।<br />বাস্তব সত্যি নোনাতেও বাস্তব,<br />কেউ মিথ্যেকে উড়ায় সত্যি রুপে।<br />আর সত্যিতে মিথ্যে কে মেখেছে চাঁদের সাদাতে কালচে কলঙ্ক-<br />নির্ভারে এঁকে গোপন লেপেছে?<br />নমনীয় চোখের মণিতে কিছু অশ্রুজল ভীরে ঝরে পড়ে-<br />যখন কেউ করুণ অভিনয়ে মত্ত মুখোশধারী।<br />আর কিছু অশ্রুফোঁটা এতোই ভারী; গভীর ক্ষত বুকে পুষেও-<br />নিরাকার সময় কিছু মানুষ কীভাবে দেয় পাড়ি?<br />হতে পারে সে নর কিংবা নারী।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/malaun/মালাউন2020-01-30T09:26:26-05:002023-06-25T21:48:16-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>একই নিঃশ্বাসে বেঁচে থেকে কপালের সিঁদুর সন্ধিমূলে লালিত যে ভূষণ-<br />চোখের আলিঙ্গনে রঙ্গিন টিপের আলোতে পরিধি মাপে যে বয়ন-<br />রক্তের রং যেখানে একই-<br />সেখানে কখনোই আঁচড় যেন না কাটে কোনদিন-<br />ভ্রুকুটেও শাণিত নয়ন।<br />ধর্মের গীত সাম্যতায়; মূল্যবোধের নিরানে নির্বাণে পাশাপাশি সমতায়।<br />যে দু’টি চোখ কাঁদতে পারে-সেও তো মানুষ।<br />যে দু’টি চোখের কোণে হাসির জোয়ারে ভাজ পড়ে-<br />তার চোখ তো ভিন্ন নয়।<br />‘মালাউন’ বলে ছুঁড়ে দেয়া একটি শব্দ হতে পারে তীব্র অমানবিক।<br />ধর্ম যতো মানুষ ততো;<br />এমন মায়াভারে সবাই উড়ায় মনের রঙ্গিন ঘুড়ি।<br />হাসতে পারে সর্ব-মানুষ-<br />মানুষ আমরা একই নাটাইয়ে একই বিশ্বাসে উড়ি।<br />কোন এক অন্ধত্বের জরায় কারো ভুলে যদি কোনদিন হয়ে থাকে কিছু-<br />সে ভুলের মাশুলে জাতি-ধর্ম সাথে মানুষ কীভাবে বিবর্ণ হতে পারে?<br />হয়ে যাবে অচ্ছুত হৃদয় বিবর্ণ হতেই পারে শ্রুত-<br />কিছু অমানবিক শ্লেষ্মা মস্তিষ্ক ঢাকে।<br />কেউ চাটুকার নয়; অথবা নয় কোন জাতি-ধর্মের প্রবারক অজান্তেও।<br />হৃদয়ের গলিতে যদি থাকে মনের বিবেক-<br />ঠিক সেখানেই জেনে রাখো চুপসে বসে থাকে-<br />অন্তরিন আলিঙ্গন; সহাস্যতা।<br />বেঈমানি করে যেতে পারে সর্বধর্ম জাতও।<br />তবে কেন অকাট্য নির্নিমেষে সুপ্রাচীন ধর্ম হিন্দুত্বে-<br />একটি শব্দের আঘাতে কালো ছোট করা হবে-<br />বিবেকেরও অবনয়ে; তমস্রার প্রপাতে।<br />সম্প্রীতি একই বন্ধনে।<br />ভুলেই যাই আমরা যখন কণ্ঠে জড়াই গালাজ-<br />তারপরও তো খুঁজে বেড়াই সমাধিকার।<br />জানি না; বুঝি না; কিংবা মানতে পারি না-<br />এমন কেন তবে হবে মানবিক-বিচার!</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/charukotha/চারু-কথা2020-01-28T05:21:24-05:002023-06-25T21:47:51-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>স্বপ্ন যদি হয় মনের নকশীকাঁথা-<br />আমি স্পর্শের আকুলে চোখের জলে বুনেছি সে চারু-কথা।<br />হৃদয়ের লুকোনো শত ব্যাথা দিয়েছি লেপে-<br />ডুকরে কেঁদে কখনো কখনো এঁকেছি অন্তরে বিছানো কারু-পাতা।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/moner-palki/মনের পালকী2020-01-09T15:41:52-05:002023-06-26T22:25:17-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>এইযে ভোরের রাস্তাটা একেবারেই কেমন উদাস ফাঁকা।<br />আলসে জাগা কুসুমের ঠোঁট থেকে উজ্জ্বল আলোর চিরকুট চুরি করে নগরমানব।<br />সন্তর্পণে হালকা কুয়াশা কেটে কেটে চলে রাশভারী রোদের চিমটি কাটা মিষ্টি লাজুক হিমেল বাতাস।<br />রিকশা করে বাড়ি ফেরা গতকাল মাঝরাতের দুরন্ত দুই তরুণের আলাপনে-<br />গাঢ় শীত সুযোগই পায়নি কোন ফাঁকে শরীরে জেঁকে বসে দৃশ্য পালটাবে।<br />কিশোর রিকশাওয়ালাটা বেশ আমুদে জোরসে জম্পেশ হিন্দি আইটেম গান ছেড়ে-<br />দিব্যি হাত গজিয়ে নিচ্ছে।<br />দুপুরের মায়ায় সংজ্ঞাহীন যেন সদা জাগ্রত সরষে ক্ষেতগুলির আজগুবি সব কাকতাড়ুয়ারা।<br />আড়মোড়া ভেঙ্গে শিশুদের দল উঠে মাঠ পেরিয়ে দ্রুত দৌড়ে ছুটে চলে স্কুলের গন্তব্যে।<br />শহুরে আমেজে কেন যেন সিক্ত শীত কিছুটা বার্ধক্যের ভারে অবনত।<br />হাতমুখ থালাবাটি ধুয়ে কাপড় কেচে গ্রাম্য যুবতীরা শরীর ভেজায়-<br />বহমান নদীর তীর ঘেঁষে নেমে বুক-সমান জলের গভীরে তখন যে মধ্য-প্রহর।<br />সদ্য বিবাহিতা পাশের গাঁয়ের পরিচিতা সংসারের মানুষটির হাত ধরে-<br />ঘোমটা মাথায় ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দের গরুর গাড়িতে করে বাড়ি যাচ্ছে।<br />এ গাঁয়ের সখিরা কাঁখে কলসি নিয়ে মৃদু লাজভরা নয়ন বাঁকিয়ে-<br />মিহি সুরে অভ্যর্থনা দিয়ে দিলো।<br />শহরে বুঁদ নাগরিক জীবনে আহা এমন কি দেখা যায়?<br />গ্রাম যেন মনের পান-সুপারি; খেজুর গাছের কাঁচা মিষ্টি রস,<br />ধোঁয়া উঠা দাদি-নানির হাতের ভাপা-পুলি পিঠা।<br />পুকুরের জলে উদ্দাম কিশোর দলের ধুপধাপ ঝাঁপ,<br />নদীর মাঝির পাখির মতো কণ্ঠে গানের কলিতে সুর।<br />মাঘের নিরাবরণে বিকেলের কোলে মায়ের চাঁদ-মুখ কন্যার বিদায় বেলায়-<br />চোখ বেয়ে নামা অশ্রুর ভারে মনের পালকীতে রাত নামে যেন-<br />বিগত কাটানো দিনের আলোগুলোতে।<br />কয়েক যুগের বেড়ে উঠা শহরের জালে এমন প্রাণকাড়া লাস্যময়ী রুপ কেন খুঁজে পাই না?<br />পারি না কেন উদাস হতে; হতে মুগ্ধ শ্রোতা রাখালের খেয়ালি বাঁশির সুরে?<br />আবদ্ধ যাপিত নাগরিক জীবন থেকে কান পাতলে তাই কি বুঝা যায়-<br />আমার তোমার মাটির মূল অন্য কোন গ্রহে দূরে বহুদূরে?</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/govir-joler-duburi/গভীর জলের ডুবুরী2019-12-31T07:35:37-05:002023-06-25T21:48:01-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>চূর্ণবিচূর্ণ মনে খ্যাপাটে আক্ষ্যেপের তীব্রতা অনেক।<br />আর কীভাবে ভালো লাগে কারও কখনো ছুঁড়ে দেয়া কষ্টের আঘাত?<br />পৃথিবীর যাপিত জীবনে সবাই তো জানাকথা সৃষ্টিগত নজরবন্দী।<br />হৃদপিণ্ডের অধরে ফিরে আসা প্রতিটি রক্তকণার চাপে-<br />কলকল করে রক্তজ জল স্ফুরে উঠে দর্পে গরজে জীবনের শক্তি নাড়ে। <br />মৃত্যুর অমোঘ বিস্বাদ কতো নিষ্ঠুর ওজনে মাপা। <br />জলাভাবে শুকিয়ে যাওয়া জ্যৈষ্ঠের খরতাপে পোড়া কাষ্ঠের মতন।<br />বেঁচে থাকার পরতে পার্বতে ঢের লুকিয়ে থাকে-<br />থোকায় থোকায় অনেক অধ্যায় অসমাপ্ত। <br />অজানা অসংখ্য জীবনের নানান কান্না-হাসি জানা হয়না,<br />মনের মোচরে ফেরারি তাও তো কতো যে অতীত।<br />নোঙ্গরে নোঙ্গরে জলের অতলে কেটে স্রোতে হারায় থকথকে স্বাদু মাটি। <br />অভিজ্ঞ কুঁচকে যাওয়া সাহসী পাঁজরও বয়সের ভারে নুয়ে পরার আগে-<br />হাঁটে হাতে ধরে লাঠি, ভাবে পৃথিবীর পরেও তো আছে অনন্ত উপাক্ষ্যা। <br />অপেক্ষার মৌনতায় তাই যেন লৌকিক চাহনিগুলো-<br />গভীর জলে ডুবুরীর মতো মনে পুষে রাখা ভয়ের জালে- <br />আঁতকে উঠে হঠাৎ। <br />আবার টেনে নিয়ে সজীব নিঃশ্বাস প্রকৃতির কোলেই বাঁচবে বলে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/joora-suto/জোড়া সুতো2019-12-06T14:05:51-05:002023-06-27T05:33:42-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>দূর দিগন্তে পড়ে থাকে মন প্রহরের পর প্রহরের অপেক্ষায়-<br />কোন এক জানালা ধরে থাকা আবেগের ছোটাছুটিতে<br />যদি আসে মিষ্টি সুবাতাস-<br />মন মাতোয়ারা হৃদয়ের অঞ্জলি ঘেরা- <br />সৃষ্টির সাক্ষীস্বরূপ অজান্তের যোগ-বিয়োগ।<br />একদিন সময় হাসবে সময়ের মতো করে,<br />যেভাবে রোদ ঝলমলে দিনে মানুষ পথ রচে।<br />অপেক্ষার প্রহর সত্যিই কাটতে চায়না,<br />মানে মনে হয় আরও কতো যে হিসেবি সব মুহূর্তের জোড়া সুতো।<br />নয়নের জল টপটপ করে পড়ে-<br />তাই কান্নাও বুঝি একি সারিতে হাসিতেও ঝরে পড়ে।<br />পৃথিবীর নিয়ম নিয়তির ঘেরে আঁকা-<br />সাথে ভাগ্য জুড়ে বসে নড়ায় ইতিহাসের পাতা।<br />আজ মনে হয় অম্ল-মধুর এ জীবন-<br />কেন যেন বিশাল হয়ে গেছে।<br />দু’টি চোখে পাপড়িরা সব নতুন আলো খুঁজে নিয়েছে।<br />আঁধারে পথ চলতে চলতে-<br />হঠাৎ যেমন তারাদের দল মায়া বাড়িয়ে দেয়-<br />অন্তত চেয়ে থেকে ভোরের আলো মেপে নিতে-<br />তেমনি- এ জীবন আলোর অপেক্ষায় চাঁদের দু’খে রাত্রি বুঝেছে-<br />নিয়ম মেনেছে নিয়ে যাপিত দিনের আলোর ভারে।<br />সত্য যদি সত্যি হয়, স্বপ্ন তবে ভুল নয় আর-<br />এক নতুন পৃথিবী আসবে জীবনে সব স্বপ্নিল করে দিতে-<br />একরাশ বৃষ্টির ঝড়ো ঝাপটা হয়ে-<br />তোমাকে কাছে পেতে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/pritthijoyita/পৃথ্বীজয়ীতা2019-11-29T08:40:47-05:002023-06-25T21:49:00-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>লোভের নামতায় ঝাঁজরা টিকলি পাড়ের চুল রক্তের বিলাপে উড়ে মধ্যকক্ষ ছুঁয়েছিল।<br />টুকরো কাঁচের বিছানো জানালায় এখনো দেখে সবাই। <br />বুকে শুষে নেয় মানুষ বাতাসের কান ঘেঁষে চিৎকারের চোটের বিভাজে থাকা-<br />টকটকে লালের দর্শিত অনুভূতি।<br />জঠরের জন্মে পরবাসী প্রিয়তি মনের মানসে রেখেছিলো পুঁতে আজন্ম মানবীয় প্রতিশোধ।<br />সীমাহীন কিছু কষ্টের শেষ পরিণতি পৃথিবীতে জেগে রয় হুইসেল দেয়া রাতের প্রহরীর কর্তব্যের মতো।<br />অথবা গানের সুরে লুকিয়ে থাকা রহস্যজনক উচাটনে-<br />যজ্ঞ মানুষের মনেও ভালোবাসার নৃত্য যখন আনন্দ লিখে ঠিক তার স্রোতে ব্রত।<br />সেদিন সব শেষ হয়ে যায়নি, হতে পারেনি, পারতো।<br />পরের গল্পে রূপকার কোন রচয়িতা?<br />ধ্বংসের লীলা ভুলে, উজানে নাউ ছুটিয়ে-কঠিন তেজের জোয়ারে সাহসে<br />তুমি বেঁচে থেকেই পৃথ্বীজয়ীতা।<br />ভেজা চোখে নয়, কঠিন বঙ্গ-বাঁধনে হাসিমুখে রচিত হবে জীবনের শেষ ক’টি পাতা।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/rono-hungkar/রণ হুংকার2019-11-26T14:57:47-05:002023-06-25T21:49:04-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>যেভাবে পথ চলে অভ্যস্ত ছিলো সেভাবে পথ চলতে পারেনি দেখে-<br />মনের ভেতর এখন ভীষণ জ্বালা-যন্ত্রণা-কষ্টময় স্মৃতিদাহ পোড়ানল।<br />চোখের মাঝে স্বপ্ন বুনতে ভালবাসার মতো মানুষকে ভালবাসতে হয়।<br />মিথ্যে হয়ে যায় সময়ের ত্রুটি বলা কিছু হীন বিষের দাবদাহে সে তো কে যেন অচল।<br />রণ হুংকারে কেউ কিছু বলে নিজেই এখন ভীমরি খাওয়া অর্ধেক মানসিক সচল।<br />যুদ্ধের খোলা ময়দানে মানুষ মরে, মরেছিলও কঠিন বিবাহ্যিকে সবসময়।<br />অবধারিত পরাজয় এমনি আসেনা-আসেনি কখনো,<br />হুংকারের তেজে যেন নিজেই অজ্ঞানের মতো-<br />না পারে চিনতে দেশের মাটি করে দেবে নাকি উধাও মানচিত্রের পাতা শত।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/ojhor-obosore/অঝোর অবসরে2019-11-25T08:34:03-05:002023-06-25T21:48:35-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>যখন ঘুম ভেঙ্গে উঠে দু’চোখ মেলে দেখি বারান্দার খোলা আকাশে<br />শীতের বাতাসের হাত মুড়ে আকাশ ছুঁতে চাওয়া,<br />তখন; ঠিক তখন মন খুঁজে নীড় মেঘের দলের ভিড়<br />কোন দৃষ্টিনীল দূর পাহাড়ে একটি নির্ঘুম রাতের কাব্য জল জোছনায়। </p>
<br /><p>কখনো আকাশ হতে মন চায়<br />যখন দেখি আকাশে মেঘের নিনাদ আদরের আবদারে<br />গহীন কোন সীমান্তে নিরালায় নিরিবিলি গভীর রাত কথা বলে।<br />তেমনি রাতের ঘুমের প্রহরে মাঝরাতের গাল ছুঁয়ে যাওয়া</p>
<br /><p>মিষ্টি চাঁদের আলোর সাথে নীল আবছা ঘন কুয়াসা-<br />আমি তো একাই নই সবার হৃদয়ে ভালোবাসা খুঁজে ফিরে<br />হলেও হলো কি তাতে ভুল করে? <br />পাতার সবুজে কখনো কোন বেলায় ঘ্রাণে আসে</p>
<br /><p>ছোট্টবেলার সেই উঠোনের পাশে লাগানো বেলি আর গন্ধরাজের<br />অনাবিল সুগন্ধ উচ্ছ্বাসে।<br />লতায় পাতায় ঘিরে উপত্যকা পাথরের বুক চিঁরে<br />ফাঁকে ফাঁকে জলের প্রাণান্ত বয়ে চলা মন যে মাতাল করে, </p>
<br /><p>করে অধীর-উদগ্রীব আনন্দে মাতোয়ারা।<br />সবার চোখ কেন যেন আবারও পিছু ফিরে! <br />এতোটাই কাব্য প্রকৃতির নির্যাসে, <br />মনের জানালা খুলে দম-বন্ধ যান্ত্রিক যাপিত জীবনে রচে। </p>
<br /><p>সারাটা দিন অবিচল চলে দেহ খানিক হলেও<br />কয়েকটি দিনের অঝোর অবসরে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/khuble-kheyeche-matir-deho/খুবলে খেয়েছে মাটির দেহ (মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কোন এক নারীর সম্ভ্রমহানির কল্পচিত্র)2019-11-22T11:14:38-05:002023-06-25T21:48:11-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>মুষ্টিবদ্ধ তার হাতের নিশানা বিদ্রোহে জড় গগন কাঁপিয়ে।<br />দৃষ্টির কারুকাজে চিলের নজর জলজে কেন ভয় পায় মানুষ সহজে? <br />এতো বিশাল এতো উঁচু আকাশ এতো মায়ায় ভরা বাতাসও লাজে।<br />কাঁপতে কাঁপতে মানুষটি এলো চুপসে জড়সরো হয়ে দিকবিদিক হারিয়ে।<br />হঠাৎ জড়িয়ে ধরে সজল আর্তনাদে বিলাপে মুখর হয়ে<br />কান্নায় অস্থির মনের দেহ লুটিয়ে পড়ে।<br />ভিজে গেছে তার অস্ফুট আকুতি কোন এক অপ্রকাশ্যে তাও<br />বুঝে নেয়া সময়ের দহনে।<br />মনের ঘরের বাতিজ্বলা সেই আলো নিভে গেছে এক মুহূর্তের ঝড়ে।<br />টপটপ করে ঝরছে অশ্রু অনাবিলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিশ্রান্ত গ্রহনে।<br />খুবলে খেয়েছে মাটির দেহ; আয়নায় যায়নি চেনা এলোমেলো সব! <br />মাঝরাতের নিভৃত নীরবতা তার পৃথিবী জুড়ে। <br />দাঁত কেলিয়ে বুনো উল্লাস প্রমত্ত অজানা কারণে মন খুন। <br />কে সে অমানুষ; কোন সে জিঘাংসা এখনো নিমগ্ন অদ্ভুতে অপ্রিয় প্রহরে?</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/rokto-kotha-bole/রক্ত কথা বলে2019-11-19T14:15:56-05:002023-06-27T11:36:27-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>আকাশের মেঘ যখন উড়ে উড়ে চলে দূরে<br />হঠাৎ কখনো পাহাড়ের সবুজে ঘুরে কোন নভোনীড়ে,<br />তখন কারও কারও মন যেতে চায় উদাসী নীলের তীরে।<br />বাতাসের বুকে কতো মানুষের যন্ত্রণার দীপ জ্বলে,<br />মনে গেঁথে রাখা কতো পরিস্থিতির কতো কথা টলে।<br />প্রাণের যতসব তিক্ত অনুরণন সব বলে দিতে পার; বলে দাও।<br />জ্বলে অঙ্গার মন ভাবতে ভাবতে পুড়ে বুকের দামী কষ্ট।<br />জেনে রেখো; রক্ত কথা বলে,<br />শুনে-বুঝে-মানে কখনো রিক্ত মননে।<br />অভাবিত; অবধারিত সব সুখও কখনো দুঃখ খুঁজে।<br />কেউ হারে না; সবাই জেতে সময়ের পূরণে।<br />ভুলে যদি অন্যায়ও চলে আগে পরে কেউ তো বুঝে।<br />সময় যেন মাঝে মাঝে উদ্ভ্রান্ত; অবাক করা; তির্যক কীর্তিকলা।<br />এভাবেই, এবং এভাবেই সবারই সবটুকু কারণে; কিছুটা অজান্তে<br />কতো বিধুর স্বপ্নসারথি হয়ে মুহূর্তের সাথে পথচলা।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/dirghosshash/দীর্ঘশ্বাস2019-11-17T11:10:45-05:002023-06-26T10:37:18-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>যে পৃথিবী দু’হাতে গড়েছে কোন শিল্পী মায়ার বাঁধনে-<br />নিস্তরঙ্গে অবলীলায় সহাস্যে চোখে চোখ রেখে চেয়ে দেখে।<br />সেখানে কারও পুরনো এক জনহীন দালানে শৈবাল পড়েছে অনেক।<br />অন্তরিন কষ্টকর অভিযোগেও দরোজা খুলে দেবার কেন কেউ নেই? <br />ভুতুড়ে ভয়ে কারও এক ছুটে দৌড়, <br />কোনদিন আর ফিরে না যাওয়া, <br />চারিদিকে চিৎকার নিকষ জ্বলে মন আঘাতের অনলে।<br />যদি ভুল করেই পিছু ফির,<br />মনে রেখো তুমি মাথা কুটে মরার<br />দুর্বিষহ অতীতে আছো।<br />চেয়ে দেখো সামনে দিব্যি জ্বলছে অবারিত আলো।<br />ভুলেও কখনো পিছুটানে হেরো না। <br />যা কিছুই আছে; যাই পারো তুমি; হতে তো পারোই<br />উজ্জ্বল নক্ষত্র; ইতিহাসেই যদি থেকে থাকে বলা, <br />রং হারিয়ে যায় তাও তরঙ্গের নোনাভারে বিদগ্ধ নির্জলা। <br />আচমকা উপহারে সেদিন ছিল- <br />অনেক না বলা কথার প্রতিচ্ছবি,<br />মুহূর্তেই সজল সেই রোমন্থন।<br />কারও তাও বিকেলের আবছা আলোতে সুদূরপ্রসারী চোখে <br />এক অবনীল দীর্ঘশ্বাসে একাকী পথচলা।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/rinijhini/রিনিঝিনি2019-11-16T10:55:41-05:002023-06-25T21:49:02-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>পরিণীতার পায়ের নূপুরের রিনিঝিনি শব্দের মাঝে চুপচাপ লুকিয়ে<br />কি এক সুস্পষ্ট পদছাপ কিছুটা হলেও খানিক দৌড়ঝাঁপ।<br />কিশোরীর বেণী করা চুলে লাল ফিতেটার গোছালো হাঁসফাঁশ<br />যেন খোলা বাতাসের জালে উড়িয়ে দিতে মন টানে তার অনেক আগে থেকেই।<br />দুষ্ট দুষ্ট চোখের পাপড়ির অভিলাষে হৃদয় কাড়া মুখের অবয়ব-হাসির মাধুরী, <br />যেন বলতে চায় কিছু তাও কেন যেন পারে না<br />কীভাবে বলতে হয় সেটাও ভুলে যাওয়া।<br />কিশোরের দল ছিমছাম উল্লাসে মত্ত ভালোবাসতে গিয়েও পারে না,<br />তবুও দূরে যাওয়ার আগেই পাশ কেটেই শুনিয়ে দেয় ভালোলাগার কথাটি।<br />এ এক রীতিমতো সময়ের পাঁচফোড়ন- শিহরণ,<br />অথবা সুজলা অনুভূতির উত্তপ্ত মনোযোগ প্রচণ্ডে।<br />সবার জীবনেই এমন সময় আসে, চলে যায় সমুখে-<br />জীবন নাচে ঘূর্ণিপাকে থাকা বাইজীর মতো।<br />অনুভূতি, অনুভব, মন, প্রাণ, হৃদয়, অন্তর, বিবেক-<br />সবশুদ্ধ একটি দেহের ভেতরের খেলা।<br />ভালোবাসা কিংবা ভালোলাগা কখনোই পাপ নয়।<br />প্রেমের মাঝে ভিন্ন কিছু; নিষ্পাপ তবুও তো হতে পারে; হয়।<br />মনের মিলে হাসে চারটি চোখ; কথা বলে; শুনে মনের বাড়ি,<br />একটু আধটু অভিমান; কষ্টের তোপ যেভাবেই হোক<br />ভেতরে আনমনেই স্মৃতিতে মিশে রয়।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/sompriti/সম্প্রীতি2019-11-08T17:34:08-05:002023-06-25T21:49:07-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>সম্প্রীতি; তোমার চোখে আছে চেয়ে দেখি অবিচল পথ চলার<br />ক্লান্তিহীন নিভৃত আস্থা।<br />সময়ের ইশারায় ভাঁজ পড়ে মৃদু মুচকি হাসে<br />অবয়বে অসম্ভব সব অপরাজেয় অনুভূতি। </p>
<br /><p>মনের চতুর্মাত্রিক নিরালায় অভিপ্রেত সব ইচ্ছে<br />ডানা মেলে বাঁধ-ভাঙ্গা বায়বীয় উৎসবে।<br />ডানা মেলতে মেলতে পাখিদের সব দল ক্লান্ত হয়ে তাও<br />নীড়ে আশ্রয়ে সহচর মাতৃ-মায়ায় উষ্ণতা বিলিয়ে দেয়।</p>
<br /><p>নহর নহরে অবলয়ে অনুযোগে অব্যক্ত রিমঝিম বৃষ্টির লহবর শব্দে<br />মাতাল সবুজ সুচারু ফসলও।<br />তুমি ক্লান্ত নও; দেখি না কোন ত্রিমাত্রিক চিন্তার অন্বয়েও।<br />তুমি সচল অত্তুক্তেরও আরও নিবিড় গভীরে।</p>
<br /><p>মন যদি ভালোবাসে-<br />চোখের না দেখাও সুগভীর অদ্বিতীয় ভালোবাসা<br />যদি ভালোবাসা যায়, যেতে পারে মনে-প্রাণে।<br />শীতার্ত ভালোলাগা কুয়াসায় কুঁচকানো বাতাসের মোচড় যেন।</p>
<br /><p>আর সুবিন্যস্ত অনুভূতি সব হৃদয়ের; সে তো অপূর্ব-অসাধারণ<br />সব ক্ষেত্রে স্বয়ং ঈশ্বরও মানে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/sroter-agun/স্রোতের আগুন2019-11-05T13:28:24-05:002023-06-25T21:49:09-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>সময় নাকি মিথ্যে ঠাহর করে!<br />তাহলে তবে কোথায় সত্যির শক্তিময় অহংকার?<br />প্রতাপের আগুনে মানুষ পুড়ে না-<br />পুড়ে অমানুষ, পুড়ে মনের স্তব্ধ বিকার।<br />পুড়ে যায় সরে যাওয়া অন্ধত্ব যা কিনা রিক্ত হস্তে বোনা।</p>
<br /><p>মনের কোন সীমা নেই,<br />নেই যেমন মহাসমুদ্রের ঢেউয়ের কলতানে আঁকা- <br />সফেদ বালিরাশির উঠা-নামা পরতে পরতে।<br />মিথ্যে অহংকারে জ্বলে যায় হৃদয়ের উঠোন।<br />পুড়ে ছাই হয় গতকালের রোপণ করা- <br />নরম সবুজ পাতার ছোট্ট গাছের প্রাণটিও।</p>
<br /><p>অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা জীবনের-<br />গ্লানি মুছে যায় সৃষ্টির অপারে।<br />যদি পৃথিবী হতো মরুভূমি; জলের পিয়াস কেমন-<br />মানুষ তবে তা কি বুঝতে পারতো।<br />যদি মেঘের আঁকায় বৃষ্টি না পড়তো-<br />মানুষ মরে যেতো খরায় দুর্ভিক্ষে।</p>
<br /><p>বাতাসে যেমন প্রাণের তিয়াস টিকে রয়-<br />অমনি যেমন ডাকে শিশু মা মা করে,<br />তখন জানি বুঝা যায় একটি প্রাণের কতো দাম।<br />সমুদ্র থেকে মহাসমুদ্র পাড়ি দিতে জানে স্রোতের আগুন।</p>
<br /><p>বারংবার ভেসে আসা শোঁ শোঁ বাতাসের কান্না জানিয়ে দেয়-<br />কাছে মিশো, ভালবেসো- আমি বিশাল তবুও লোনাজলে পাতা-<br />আমার অহংকার বলে কিছুই নেই,<br />নদীর সখ্যতার সাথে চুপিচুপি মেঘের দলই ফাগুন।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/sunonda/সুনন্দা2019-10-24T14:53:00-04:002023-06-25T21:49:10-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>প্রাণে ধারন করা ধারালো তীব্র আকাঙ্ক্ষা সমুখে পেতে রাখে-<br />নিশ্চুপ সূচালো কালো চাদরে ঢাকা প্রাণান্তের ভবিষ্যৎ।<br />মৃত হয়ে অজানা পথের বাঁকে পড়ে রয়-<br />পার্থিব অনাকাঙ্ক্ষিত পাশে পাওয়া ব্যাথার দর্প।<br />স্বপ্নগুলো পড়ে থাকে সৌন্দর্যের তোরে তরুণীর বেনি-পাকানো<br />ঘন চুলের কপাল ছোঁয়া চিরুনির টানের প্রতি ভাঁজে।<br />কার্তিকের নাজুক বৃষ্টিতে পাশের বাড়ির পোষা পাখিগুলো-<br />চুপসে থাকে নিদারুণ কাঁচা সদ্য ভূমিষ্ঠ চিরচিরে-<br />মিহিদানা কণ্ঠের মতো উছপিছ করে-<br />আলতো আলতো শীতসর্বস্ব রাত্রির বুকে মিশে।<br />পিষে পিষে চলে মহিষের গাড়িগুলো ভাওয়াইয়া মাটির-<br />উঁচুনিচু খানাখন্দে সরল বিকেলের ডাকতে থাকা গোধূলি প্রভায়।<br />একফালি ফোয়ারা চাঁদ মিষ্টি আলোকে আলয়ে সূর্যস্নাত হয়ে-<br />কলঙ্ক ছাপিয়ে যায় উজালা সৃষ্টির চোখে রাতের টিপ হয়ে।<br />রাতজাগা পেঁচা গুনে রাখে গভীর রাতের জোয়ার-ভাটা।<br />দাঁতে দাঁত চেপে মিচমিচে গুড়গুড়ে হ্যাংলা আকাশ-বৃষ্টি<br />বিষ ধরায় ঘরের বাহিরদের ছোটাছুটিতে।<br />সমুদ্রজল ক্লান্ত হতে হতে বিতৃষ্ণ,<br />তবুও নয় সৈকতে আছড়ে পড়তে পড়তে।<br />জায়নামাজে দাঁড়ানো সৃষ্টির সেরাদের ভুল-দোষ,<br />সর্বসমেত ভুলে যায় সৃষ্টিকর্তা।<br />হারতে হারতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও,<br />ভাঙ্গা মন; জোড়াতালি দেহ বারবার উঠে দাঁড়ায়-<br />সতেজ দৃপ্ত মনোজে সাহসে।<br />বুকের ব্যাথা ছাপিয়ে ছাপিয়ে মাঝি বেয়ে যায় উজানেও,<br />উদ্দাম বাতাসেও গলায় বুনে ভাটিয়ালি সুর।<br />তীরের টানে নয়ন ভরা জল তারও সুনন্দা নদীর প্রাণে ভাসে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/obantor/অবান্তর2019-10-15T17:02:09-04:002023-06-25T21:48:30-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>মনের পাতা দুলতে থাকে সময় আর অসময়ের কাঁটায়।<br />পৃথিবীর সব সৃষ্টির মস্তিষ্ক ভুলতে ভুলতে এগোয়-<br />জীবনের যাপিতে অস্ফুট তবুও না হোক অন্তরিন; কোন নয়-ছয়।<br />কিছু চোখ কাঁদে; কিছু হাসে আর বাকি সব স্তব্ধ হয়ে রয়; সয়।<br />অক্ষর থেকে অক্ষরে বেঁচে থাকে শব্দের বুনন,<br />বাক্য ছাড়া কীইবা রচিত হয়?<br />কাগজের সাদা সফেদে লিখে ফেললে মনের কষ্ট-<br />তারপরও রয়ে যায় অনেক। <br />জীবনের বাকি পথ অজান্তে অজানায়। <br />ছুটে চলে সবাই; কেউ অপারগ; কেউ মুক্ত-স্বাধীন,<br />কেউ মানে খুঁজে খুঁজে অবান্তর; কেউ খুঁজে না; জীবন সহজ-সরল।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/jibon-jomin/জীবন-জমিন2019-10-07T13:27:35-04:002023-06-27T19:16:29-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>যখন তোমার চোখে চেয়ে থাকি অপলক,<br />আমি হারিয়ে যাই তোমার সবুজাভ চোখে।<br />তোমার চোখে কি যেন এক ভাষা-<br />কিছু বলতে চাওয়া দূরবীনে তারার মতো-<br />দিক ছুঁয়ে যাওয়া মধ্যমণি।<br />ভুলে যায় এই প্রাণ কষ্ট, দুঃখ, অত্যাচার যতসব। <br />পিষ্ট হতে হতে সর্ববিনাশ অত্যাচারিতের প্রার্থনা-<br />অলক্ষে সবার আগে চলে।<br />পূর্ণতা পায় দোর্দণ্ডে অলৌকিক বিচারে। <br />এই সেই চোখে পেতে চোখ-<br />ভালো লাগে কেন যেন কেমন এক-<br />ভীষণ অব্যক্ত ভালোলাগা।<br />আমি তাকিয়ে থাকতে থাকতে যখন ক্লান্ত চোখে-<br />বিন্দু জল এসে গেছে বুঝি-<br />তখন একটু স্বস্তি পেতে আমার চোখ বুজে নিয়ে-<br />মনের পাশে তাও তো তোমাকেই গুনি।<br />বিকেলের গায়ে ধুঁয়াটে বাতাসের হালকা উড়াউড়িতে-<br />কিছু মেঘ কালো হয়ে সন্ধ্যে বুনে-<br />আমার হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্তিতে বসে পড়া-<br />ছায়ানীড় কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুটে উঠা প্রতি আগামীর প্রাতে।<br />চোখের পাপড়ি ভিজে; ভিজে উঠতে চায়-<br />ভিজে উঠে বিগত যাপিত ধ্বংসের লীলার ঝাঁঝে। <br />খেয়ালের দেয়ালে এখনো যে আছে জীবন-জমিন পিঠ ঠেকে। <br />পায়চারী করে আরতি রাতের বুকে দিন আর দিনের সমুখে রাত দেখে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/protishruti/প্রতিশ্রুতি2019-10-02T09:09:42-04:002023-06-25T21:49:00-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>তোমার স্বপ্ন-ভরা মনে আমাকে পেয়ে,<br />আমি আঁতকে উঠি না; উঠিনি।<br />আমার বেলা অবেলার গল্পে তোমাকে দেখে,<br />আমি বারবারই মুখরিত; মুগ্ধ।</p>
<br /><p>আমি আছি তোমার নয়নের জলে;<br />হাসির নূপুর তুমি একদিন হেঠেছো যে সমুদ্র জলে-<br />আমারও সেখানে পা ভেজাতে দারুণ ইচ্ছে করে অস্থির প্রানাবেগে। <br />আমি বিষম খেয়ে উঠি তোমাকে মনে পড়ে বলে।<br /> <br />তুমি যে আকুল করা প্রাণের উদারে ভাষ্য অন্তরে উজারে-<br />তাতে আমি যদি না ভাসি-তবে কিসের আমি? <br />আমি তোমার স্বপ্নে-বুননে; তোমার পাতার মতো প্রাণে। <br />আমি তোমাকে দেখেছি আমাকে ডাকতে স্মরিয়ে চেতনে উদ্ভাসে। <br />সতেজে কণ্ঠস্বরে সেই সে সময়ের মৌখিক বিচারিক অক্ষরে।</p>
<br /><p>আমি যে যাবনা সত্যি একা কখনো সমুদ্রও সুদূরে। <br />তোমার পা না ছুঁয়ে।<br />আমার মনে, আমার প্রাণে, আমার হৃদয়ের অতলান্তিকে-<br />আরও অনেকের ভিড়ে-<br />বাস্তবের শক্ত সত্য প্রতিশ্রুতিতে তুমি যে শুয়ে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/jolpoddo/জলপদ্ম2019-09-27T13:28:54-04:002023-06-25T21:48:08-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>যে কারও কান্নার সাথে মিশে থাকে-<br />বিনিদ্র কোন রাতের বাঁশিতে বোনা- <br />মোহময় সুরের খেলা।<br />দু’খের বোঝা সবারই আছে বুকে নিশপিশ কম বেশী।<br />ছলছল চোখে মিথ্যে থাকে না একদম।<br />চোখেরও ভাষা থাকে হাসতে হাসতেও ভাসে মন তরঙ্গে।<br />গভীর আবেগের ফুঁপিয়ে কান্নার প্রভাসের সাথে-<br />এক শান্ত হাসির ক্লান্ত মলিন ঝিলিকে মন ভিজে যায়।<br />চলে আসে জল চোখে কখনো মিছে নয় কোন প্রশ্নেও।<br />কান্না চোখে প্রেমিকা যখন হাত ধরে বলে ভালোবাসি-<br />প্রেমিক-মন মনে মনে হাসতে থাকে। <br />মনে হয় যেন সে আকাশ পেয়েছে! <br />মধ্য-দুপুরের আলো চোখে মুখে ফুটে উঠে-<br />এমনই তো চলে ফিরে থাকা সহজ-কঠিন জীবন মলাটে।<br />সবার আবেগই সৃষ্টির লাজুক জলপদ্ম পাতার নীড়ের- <br />জেগে থাকা জলীয় স্পর্শ।<br />কেউ অমানুষ সর্বস্বে কেউ বলেনা। <br />সবার ভেতরেই এতোটুকুও যে ভালো মানুষ লুকিয়ে কাঁদে।<br />রাতের নিবিড় প্রহরে একাকি স্বস্তিতে জেগে থেকে কিছুক্ষণ-<br />চোখ বন্ধ করলে বুঝা যাবেই-<br />আমরা; কিঞ্চিতেও সত্যিই সাবাস সুমানুষ সর্বজন।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/buker-vetor-rokto-jomat/বুকের ভেতর রক্ত জমাট2019-09-23T10:38:25-04:002023-06-26T21:16:40-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>যাযাবর বাতাস হাপিত্যেশে ধীরে টুকিয়ে-মেঘের দলের ঘুম নাড়ায়।<br />বিকেলের শান্ত শিওনে যখন উদাস করা প্রাণের প্রকোপ চিনতে ভুল করে-<br />তখন; কে যেন চুপিসারে বলতে চায়-<br />তুমি কান পেতে রও ওহে পৃথিবীর পূজারী।<br />আমার বুকের ভেতর রক্ত জমাট-<br />তাও অবারিত ঘন বাতাসে ঢিল মারি আলোকে অলক্ষ্যে।<br />কখনো কি মিছে বলেছি জমাট সব কষ্টের স্রোতেও? <br />তুমি ঘুম থেকে জেগে যদি শোন ডাকছে পাতি-কাক দাবানলে শুষ্ক গলায়-<br />বলবো; বন-বিহারিনী; তুমি চলে এসো যতসব মিছে ডর ভুলে-<br />তোমার এই মনের রঙিন পৃথিবীতে আমি হতে চাই-<br />উড়ে যাওয়া মেঘের মতো।<br />ভরাট গলায় কবিতার অক্ষরের বুনটে মৃত্যুঞ্জয়ী সাহসী বুকের পাতে।<br />আমি আর তুমি অর্থহীন নই-<br />রাতের গভীরের আঁধারের সাথে-<br />তুমিও কেঁদে ফেল হাহাকারে ভরা এক পশলা বৃষ্টি সাথে।<br />এসো তুমি, অগ্রগামীর ডাকে শ্বাসে-প্রশ্বাসে অশান্ত বুকটা জুড়ে-<br />নিবিড় শীতল বাতাস পেতে।<br />রাতের গভীরের আঁধারের সাথে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/bikeler-chaye/বিকেলের ছায়ে2019-09-22T11:24:24-04:002023-06-25T21:47:46-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>আচমকা মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যখন দেখি তুমি পাশে নেই-<br />আমি বারান্দার মাধবীলতা গাছটার সামনে এসে দেখি তুমি চুপসে বসে আছো।<br />আমি তোমার আনমনা দেহে দু’হাতে আলিঙ্গন করে বলি-ঘুম আসছেনা বুঝি? <br />তুমি বলে বস কি চায় আমার মন এমন স্থির নতজানু রাতের নীরবতায়?<br />আমি আলতো করে তোমার গালে ছুঁয়ে দিয়ে বলি; বসে থাকো-<br />আমরা একসাথে ভোরের আলো দেখবো, <br />মনের নিরালায় সতেজ বাতাস খুঁজে নেবো।<br />পরের দিনের ছুটির আলোয় ব্যস্ত শহরের পাশে বয়ে যাওয়া-<br />আশ্বিনের দাবদাহে কোন এক শ্রান্ত নদীর তীরে বিকেলের ছায়ে-<br />কিছু সময় তুমি আমি এক হয়ে ঢেউয়ের তালে হারিয়ে যাবো।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/roktakkhore/রক্তাক্ষরে2019-09-21T09:27:36-04:002023-06-25T21:49:02-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>আমি দৃপ্ত শপথে তোমার চোখে চোখ রেখে-<br />বিজয়ের গান গাইতে পারি সমুখে। <br />উজাড় হয়ে ভালোবাসতে পারি তোমাকে-<br />লক্ষ-যূথ প্রাণের বিদিকে।<br />একাগ্র উন্মুখ জীবনের চারপাশ ব্যাথিত হৃদয়ে-<br />নাড়া দেয়া কান্নার নিরিখে। <br />আমি স্থম্ভিতও হয়ে যাই মাঝে মাঝে-<br />কোন এক আত্মজ ভয়ে।<br />অবজ্ঞা পেতে পেতে লেখা সব চিরকুট জমা করে পড়ে দেখো-<br />কতোটা পুড়েছি; কতোটা ভালোবেসে। <br />মলাট-বিহীন লোকালয়ে বাঁচা আমার চারপাশ বাঁধা রক্তাক্ষরে-<br />আমাকে ওগো তুমি কখনো ভুলে যেওনা রে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/poradhin/পরাধীন2019-09-02T10:40:08-04:002023-06-25T21:48:45-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>মনেরই নীরবে রয়ে যাবে চিরকাল রচিত সব যেন অস্ফুট অনুভূতি হয়ে।<br />স্বপ্নের শান্তি ভুলে যেন হাজার বছরও হারিয়ে যায় নতুন সময়ের আগমনে।<br />আমার বুকের ভেতরটা আচমকা মুচড়ে উঠে-<br />পুরনো নিঃশ্বাসের অভিশ্রুতি যায় ক্ষয়ে।<br />আমি জীবনের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে চেয়েছি-<br />মরণের ঠোঁটে অশ্রুত অভিলাষের রণন সয়েছি।<br />পরাধীন জীবনের কলকাকলিতে শেষ হতে থাকা-<br />প্রতি মুহূর্তে যতসব অশান্তির তীব্র খরা। <br />দেখে নিতে চায় বুকের গভীরে ছক আঁকা মৃত্যুর অমনিবাস।<br />বেঁচে থাকা মানে হলো আশার প্রিয়তিতে উদ্ভূত আনন্দ বা দু’খের চোরাবালি।<br />হঠাত হারায় কারো মনে মিশে; হঠাত জেগে উঠা প্রশ্বাসে প্রশ্বাসে।<br />মরুর স্তরে অতলের নীড়ে হাসতে থাকা- <br />সবুজের গালে জেনো কতো অসীম ভালোবাসা।<br />পৃথিবী কাঁদে প্রেমের লালিত্তে; স্নিগ্ধ মমতায় চোখ বুজে সন্ধ্যে তারা।<br />মানুষের মন যতো কঠোরই হোক প্রকৃতি চেনে অসম্ভবেও কেন যেন-<br />বিহ্বলে জল নড়ে চোখের পাপড়ি ভেজে বিবেক-সুদ্ধ দেয় নাড়া।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/chouchir/চৌচির 2019-08-25T14:19:19-04:002023-06-27T06:07:11-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>সুরের লহরীতে নীল আঁখরে আকাশটা যেন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।<br />ভুল করে বাতাসটাও ভাজ থেকে ভাজে ছিন্ন হতে থাকে-<br />আকাশে ভেসে থাকা মেঘের প্রতি পরত থেকে।<br />সাগরের স্রোতে থাকা ঢেউয়ের উজানে শোঁ শোঁ আওয়াজে-<br />দমকা দুরাপারে ঘূর্ণি বাতাস দামাল হয়ে আছড়ে পড়ে সৈকতে।<br />আকাশের সাথে আজন্ম রাখী-বন্ধন,<br />শত স্রোতের আধার সাগর-মহাসাগরের।<br />এক বিন্দু জলও যে কখনো কখনো-<br />শুঁকিয়ে কাঠ গলার তৃষ্ণা মেটায়।<br />মেঘের পরে মেঘ উড়ে উড়ে যায় দূরে বহুদূরে।<br />একবার দেখে নিয়ে দু’চোখ বন্ধ করে বৃষ্টিদিনের কাব্য বুঝে-<br />সেরকম তেমন কিছু মন।<br />চৌচির মাটির হাহাকার মিটিয়ে যায় অবিরত শ্রাবণ বর্ষণ।<br />কেউ বলে এ যে প্রকৃতির প্রথাগত প্রেম।<br />এতো বিশাল পৃথিবীর প্রতি কণায় কণায় সৃষ্টির ভালোবাসা।<br />প্রকৃতি যে কারো মন ভেজাবেই।<br />প্রকৃতি আকণ্ঠ কঠোর পাষাণ হৃদয়কে কিঞ্চিত হলেও-<br />মুগ্ধ করে সরল করে দেবেই।<br />অভাবনীয় মায়ায় পৃথিবী চলে,<br />বয়ে চলে অবিরাম বাতাসের ঢল।<br />অদৃশ্য থেকে দৃশ্য রচিত-<br />কখনো হাসে সৃষ্টির দল কখনো অস্রুসজল।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/somoy/সময়2019-08-24T13:47:50-04:002023-06-25T21:49:07-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>সময়; তুমি যে অনেক ধীরে বইছো-<br />ছবি এঁকে আমার মনের পালঙ্কে স্থির এক তপস্যা হয়ে।<br />কিছুই যে করার নেই; পারবেওনা কেউ কখনো।<br />শুধুই যে অপেক্ষা তোমার নীড়ে।<br />মাঝে মাঝে কতো উষ্ণ আলিঙ্গনে বেঁধে রাখো আমায়-<br />বিকেলের ডানা ঝাপটায় প্রজাপতি হয়ে-<br />মনে হয় কতো ক্লান্ত এক পথিক তুমি।<br />হৃদয়ের অলিগলিতে ভিড় করে কবে ডাকবে তুমি কাছে?<br />তুমি কি জানো আমার অন্তর ভরে যায়-<br />আলতো চুপিসারে?<br />সন্ধ্যের আগে ঘুম থেকে জেগে উঠে জানালার পাশে বসে-<br />উদাসী হয়ে শ্রান্ত গোধূলি দেখা-<br />পাখির উড়াউড়ি-সাথে আকাশের নীলিমে শানিত রক্তিম আভা।<br />আহা; কতো নিস্তরঙ্গে চোখে ছবি আঁকা-<br />আগত ভোরের নরম বাতাসে।<br />তেমনি তুমি আবেগে ভরিয়ে দিয়ে যাও-<br />মনে বিষাদের ছায়া-<br />সময়; তুমি নিরালায় সাজানো অমায়িক এক মায়া।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/ai-alo-ai-chaya/এই আলো এই ছায়া2019-08-05T07:02:45-04:002023-06-25T21:47:43-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>যখন চুপটি করে হৃদয়ের নালে এক ফোঁটা ভালোলাগা ঢেলে-<br />প্রাণান্তের নিদারুন আঁচড়ে কিছু লাল গোলাপ আর শিশির ভেজা আলোয়-<br />জলের স্তবকে আমাকে রাঙিয়েছিলে মুখ ফুটে না বলে আমাকেই চাও তুমি-<br />সে দুপুরে ফুলগুলো চুপসে গিয়েছিলো ছলছল উচ্ছল চোখে জল তরঙ্গ দেখে।<br />আর ভাবতেই পারিনি,কি হবে তোমার আমার-<br />এতো আবেগের পাতায় অক্ষর সাজিয়ে।<br />স্বপ্ন তো বুনতে হয় ঘন দিশারী মননে।<br />আশা জাগ্রত হয়ে যায় কল্পনার ঢের চাহনিতে।<br />তুমি আমাকে ভুল বুঝোনা গায়ত্রী,<br />আমি সে দুপুরে ক্লান্ত শ্রান্ত পরিক্রান্ত এক দেহের বিভাজে দাঁড়িয়ে ছিলাম-<br />তোমার চোখে চোখ না রেখে দূর মেঘের দলে তাকিয়ে ছিলাম। <br />আমি যে ভাবতেই পারিনি তুমি ফুলেল নরম কোমল হাতে-<br />আমার ঘর্মাক্ত মুখটাকে তোমার ওড়নার আঁচল দিয়ে সযত্নে দিব্যি মুছে দেবে!</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/prema/প্রেমা2019-07-23T14:41:40-04:002023-06-25T21:48:59-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>কেন মনের মন্দিরে উদাসী বাঁশি বাজে অজানা সুরে?<br />কেন বাহুছাড়া তরঙ্গে হারাতে অভিলাষে মর্ম জুরে?<br />তোমার হৃদয়ের পালে কখনো কি আমাকে এঁকেছো?<br />সরল চোখে কোন বিকেলের ক্লান্ত অফিস ফেরা মনোজে-<br />দীপ্ত হয়ে শেষে আমাকেই ভুলে বসে আছো!<br />ভুলে যেওনা; সেদিনের পড়ন্ত বিকেলের ঝুপঝাপ মেঘের উর্বশী-<br />তোমাকে দেখে শ্রান্তি পেয়েছিলো; সেই সাথে আমিও।<br />তুমি এমন করে হেসেছিলে যেন আমি তোমার চোখে চোখ রেখে-<br />হারিয়ে গিয়েছিলাম সুদূর দিগন্তে।<br />মনে পড়ে কি, প্রেমা?</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/bisher-shash/বিষের শ্বাস2019-07-22T12:49:37-04:002023-06-25T21:47:48-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>কিছু নীরবতা দম বন্ধ করা অপ্রকাশ্য।<br />একটা গাঢ় গভীর দীর্ঘশ্বাসে বুকের বা’পাশটা মুচড়ে উঠে।<br />আমরা সুখের কথা বলি দুঃখ-বিলাসে মর্মন্তুদ নিঃস্ব হয়ে।<br />আর দু’খের নজর ভুলি সুখের বাহারি গোধূলি টিপ চোখে মেখে।<br />কেমন হবে সেই দিনটি যেদিন দুঃখ কি মানুষ ভুলে যাবে?<br />অপাংক্তেয় অনুভবের মাত্রা নিষ্কলুষ বিভ্রাটে না জড়ালে-<br />দুঃখ-সুখের আলপনা রঙ খুঁজে বেড়াবে।<br />মনের মালতিকায় শূন্য রীতিহীন এক খুন।<br />বাঁচতে বাঁচতে মরে পড়ে রয় শাড়ির আঁচল-<br />সাথে হরদম উদ্ভ্রান্ত নরদের জয়ী উল্লাস।<br />এ কেমন আশ্চর্য অপ্রত্যাশিত অমানবিক আঘাত? <br />ভুলে পড়ে চোখ বন্ধ করে এলোপাথাড়ি ছুটে অতৃপ্ত বিষের শ্বাস। <br />প্রাণের বিনাশ; এ তো প্রাণের বিনাশ।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/megher-charukola/মেঘের চারুকলা2019-07-19T09:11:46-04:002023-06-25T21:48:18-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>আমি দেখেছি দু’চোখ মেলে জলের প্রবাহে তটিনীর নেচে চলা।<br />আমি উপলব্ধি করেছি গাছের ছায়ায়-<br />দুপুরের মায়ায় সংজ্ঞাহীন মেঘের চারুকলা।<br />মনের যতনে মানিয়ে নিয়েছি বুক জুরানো বাতাসের খেলা।<br />যেদিন আমি তোমাকে বুঝেছি সেদিন ভেবেছি-<br />কখন হবে আমার; তুমি যে প্রাণের মেলা।<br />আমি সাগর দেখিনি, দেখিনি মোহনা।<br />আমি পাহাড় দেখেছি, দেখেছি মেঘের উড়াউড়ি-<br />লাস্যময় সবুজের ডালা।<br />আমি ঝিনুকের বুক চিরে মুক্তো সরাইনি-<br />বুঝি সে অভিশাপ না দিয়ে বসে।<br />নিরিবিলি নিরপরাধ বিকেলের ছায়ে তোমাকেই এঁকেছি,<br />তোমাকেই ভালবেসেছি-<br />শতবর্ষী বটবৃক্ষের মাটি আঁকড়ে থাকা ডালপালা উঁচিয়ে সাক্ষ্য দেয়া-<br />আমি বাংলার পাল দুলানো মিষ্টি বাতাস ভালবাসি,<br />ভালবাসি বাংলার নদী-মাঠ-বিল-ঝিল-হাওরের দুকূল। <br />আমি তোমাকে নিয়ে দেখতে যাবো-<br />তুমি, ওগো তুমি কখনই নও আমার মনের ভুল।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/buker-pajore/বুকের পাঁজরে2019-07-12T17:04:29-04:002023-06-25T21:47:49-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>স্বপ্ন; চোখের মাঝে ডুবে থাকে অপলক শত প্রতিকূলে।<br />পৃথিবীতে কে স্বপ্ন দেখেনি?<br />বুকের পাঁজরে প্রোথিত হৃৎপিণ্ডের প্রতি কাঁপনে রক্তেও ঢেউ উঠে।<br />চোখ বুজলেই স্বপ্ন আসে না।<br />মনের শতরঞ্জিতে অভুক্ত কলকাকলিতে মরে যেতে পারে অনেক অভিলাষ।<br />হাসতে হাসতে চলে ফিরে এমনি বা ক’জনা আছে।<br />জীবনের দর্শনে ললাটে আঁকা চিহ্নে সত্যিই হয়ে যায় কিপটেও ভাগ্য-বিলাস! <br />বিস্মৃত হয়, হতে বাধ্য হাজারো চলনের ছলনাময় অভিব্যক্তি।<br />হারতে হারতেও জিতে যায় স্মারকে ঢাকা মনের প্রতাপ।<br />মনের তৃষ্ণা অনেক বড়, বিশাল আঁখরে গড়া।<br />তার চেয়ে বড় চোখ মেলে দেখতে পাওয়া সূর্য-স্নান প্রতি পায়ে।<br />জীবনের মানে একেক জনে একেক রঙের।<br />কেউ আগে পায় কিছু, কেউবা খানিক পরে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/dhudhu-baluchor/ধূধূ বালুচর2019-06-27T13:53:31-04:002023-06-25T21:47:54-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>আমি তোমার মুখের উপর কথা বলতে পারিনি, পারিনা, পারবও না।<br />তোমার যা ইচ্ছে আমাকে তাই করো; আমার ভ্রুক্ষেপ নেই কোন।<br />আমি বিশাল ধূধূ-বালুচরে একাকি হেঠেছি;<br />তীব্র উষ্ণতায় অপারগ হয়ে অকাতরে ঘেমেছি। <br />তুমি যদি পুরোটা জানতে-অবাক হয়ে যেতে।<br />আমি লোনাজলে ডুবেছি ভেসেছি।<br />তুমি যদি আমার কাব্যভারে বিতৃষ্ণ হও-<br />আমার কিছুই করার নেই যে।<br />আমি এক দগ্ধ জীবন্ত মন-<br />যা তুমি শত কান্নায়ও দেখতে পাবে না।<br />আমি এক দুখের জালে বন্দী সহস্র পাখার রঙিন অরুণাচল।<br />আমার কপালে হাত ছুঁয়ে টলোমলো চোখে-<br />জন্মদাত্রী মা একদিন আশীর্বাদ করেছিলো-<br />আমি যেন জগতজয়ী সুপুরুষ হই।<br />জায়নামাজে কেঁদে কেঁদে বাবার প্রার্থনায়-<br />আমি ছিলাম অফুরন্ত।<br />মা আর বাবা-পৃথিবীতে স্বর্গ যে তাঁরাই।<br />আরে-আমি যদি আবেগের শিরস্রে তাঁদের মুখ দেখে-<br />কেঁদে এক ফোঁটা অশ্রু ফেলি-<br />আমার তো সৃষ্টিকর্তার ভুবনে যাওয়া একি পরখে পড়ে।<br />আমাকে জীবন্ত এখনো পোড়ায় কিছু বিনষ্ট মনের পাপী।<br />আমার আত্মার প্রদাহে একদিন আমি ওদের গন্ধ উঠা লাশ দেখবো-<br />আর মনে মনে হয়তো বলে বসবো-<br />খেলা কি তবে শেষ হয়ে গেলো?</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/chhobol/ছোবল2019-06-15T07:19:18-04:002023-06-25T21:47:53-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>পিছুটানে গেলে হুংকারের কালিমায় প্রতিদগ্ধ কিছু বাক্য জ্বালাময়ী স্বরে আবারো কথা বলে।<br />এখন নির্লিপ্ত সময় চুপচাপ বিরান মাঠের ধুঁয়া উঠা গন্ধে কারো কারো মনে ঘৃণা তুলে।<br />কতো চোখে কতো মুখে এখনো কান্নার রেশ, এখনো বিলাপ উজারে গলা মেলে।<br />ভুলে যেতে চাইলেও বিস্মৃত হতে চায়না-হতে পারেনা সপাটের আঘাতে বোনা, <br />কালো দাগের মালয়ে পোড়া উল্কির ছোবল-<br />কিছু ক্ষতে অনেক কষ্ট চোখে পোঁতা অশ্রু সজলে।<br />এখনো ঘুমাতে পারেনা মনের বিকেল বৈকল্যের স্মৃতিচারণে।<br />হঠাৎ কেন যেন জানা কারনেই মনে পড়ে যায়-<br />বিকট শব্দের আগুনে মাখা দেহ এখানে সেখানে।<br />ভূমিষ্ঠ শিশুর চিৎকারের মতো মেলে ধরা আর্তনাদ বেঁচে থাকার ইচ্ছে প্রাণের খেয়ালে।<br />মাটির দেহ দাগে পুড়ে জ্বলছিল;<br />প্রেয়সীর উপহার সাদা পাঞ্জাবীটা ভিজেছিল লালের শ্বাসে! <br />মানুষই তবুও সৃষ্টির সেরা যদিও জীবন হোক পাপে আর পুণ্যে রাঙা।<br />কতো মূর্ত মুহূর্ত আঁকা বিষাক্ত সবুজ মৃত দেহে জীবনে অপ্রাপ্তির ঢেউ ভাঙ্গা।<br />কিছু ছোবল সয়ে যাওয়া যায়-কিন্তু কিছু কেউই পারেনা সয়ে নিতে।<br />মানুষের হৃদয় হতে পারে অনেক বড়-<br />কিছু খুব হীন; কেউ ছুঁড়ে দেয় থুতু প্রপাতে ঘৃণায় ক্লেশে চিহ্নিত কোন লাশে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/onunoy/অনুনয়2019-06-10T11:08:23-04:002023-06-25T21:48:38-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>আবেগের উচ্ছলে বলে দেয়া, বলে ফেলা কতো কথার মাঝে কতো গল্প পথ খুঁজে পায়।<br />মাঝের ভাঙ্গন কিংবা ভুলে যাওয়া সময়ের অনুনয়-<br />তা যেন সৃষ্টির জালে রোপিত নীলিম আভা।<br />কিছু মন কখনো পেছনে তাকায়নি, দেখেনি চেয়ে কেন কিসের কোন অবনয়ে-<br />কিছু সময়ের অভিমান।<br />মনের যেন দুটি পাতা-একটি ভেজা বৃষ্টিমাখা লাজুক সরলতা,<br />আরেকটি শুষ্ক বাতাসের গায়ে নীলচে আকাশের জোরালো অভিমানের সাঁতারে-<br />রঙিন নকশীকাঁথা।<br />কোন এক অকারণে সূর্যের অবারিত আলোর ঢেউ-<br />একদিন শিশির ভেজা ঘাশফুলেদের মায়ায় বাঁধেনি।<br />চুপসে যেতে যেতে মরে যাওয়া ফুলের ঘ্রাণ সকালের মিষ্টি রোদে আর ডানা মেলেনি!<br />আলসে দুপুরে মেহগনি গাছটার ডাল-পাতার ফাঁকে,<br />পাতি-কাকটার মিহি আওয়াজ দৃষ্টি কাড়ে।<br />মধ্যরাতের নীরব প্রহরে কুকুরগুলো অচেনা কারোর ছায়ার প্রপাতে-<br />সতর্ক চোখ রাখে বেধড়ক মেজাজে।<br />যাপিত জীবনের স্বাদে আহ্লাদে পাশের বাড়ির ছাদে ঠাই পাওয়া কিছু কবুতর-<br />ইচ্ছে স্বাধীন মুহুর্মুহু ডানা মেলে।<br />পৃথিবী; কতো গল্পের কতো জীবনের কতো মিশ্রিত কলরব-<br />কখনো সরব দিনের সরোবরে আর কিছুটা রাতের বন্ধনে-<br />বাকিটা নিভৃত চোখে শান্তির ঘুম নিয়ে,<br />আগত আলোয় দিনের পর দিন পাশে ধরে মুখে হাসি ছুঁয়ে দেবে বলে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/uttoradhikar/উত্তরাধিকার2019-06-06T15:54:41-04:002023-06-25T21:49:15-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>কিছু স্মৃতি ধুঁয়াটে কালো হয়ে প্রদক্ষিণ করে মৃত লাশের মুখ খোলা দবদবে।<br />মনের আঙিনায় বিলীন হতে চাওয়া বিস্মৃত অনুভব কথা বলতে শেখে উলটো স্রোতে।<br />যদি বলি জীবনের প্রেক্ষাগৃহে মাতম চলে বলিদানের থমথমে বৃষ্টিভেজা দেহটাতে-<br />তবে কিনা আমি বা তোমরা দেখে যেতে চাও মনের ওপারে থাকা দুখের বাতিঘর।<br />উত্তরাধিকারের ছায়ায় থাকা বেঁচে থেকে থেকে লোনাজল যার দৃষ্টির পরতে পরতে-<br />সে কিনা অহর্নিশ কিংবা নির্নিমেষ হিসেব মেলাতে কিঞ্চিৎ ভুল করে বসবে?<br />দেহের অসুখে দেহ মরে যায়; মনের অসুখে তাও তো দেহ বেঁচে রয়-<br />বাগানের শিলা ঝরা আমের আঁটিতেও নতুন একটি জীবন থাকে।<br />জীবন থাকে শুষ্ক গ্রীষ্মের শেষে আকাশের লুকিয়ে থাকা বৃষ্টির জলের ঝরে পরা প্রতিদানে।<br />এই চোখ একদিন প্রস্ফুটিত হয়েছিল, মেপেছিল পৃথিবীর তাপ সুবহে সাদিকে। <br />মৃত্যুর লহরে নহরে কোন সে প্রহরে আবারও নতুন প্রশান্তিতে আত্মার অন্বয়-<br />দিব্য দীপ্তে তাঁর ইচ্ছেতে কোথায় কার আঘাতে ভবিষ্যৎ রেখে এ মায়াবীতে-<br />স্বর্গ-রচিত পথে পা বাড়াবে?</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/osomapto/অসমাপ্ত 2019-05-21T13:37:59-04:002023-06-25T21:48:40-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>চূর্ণবিচূর্ণ মনের খ্যাপাটে আক্ষ্যেপে-<br />ভালো লাগেনা কারও ছুঁড়ে দেয়া কষ্টের আঘাত।<br />পৃথিবীর যাপিত জীবনে সবাই তো জানাকথা সৃষ্টিগত নজরবন্দী।<br />হৃদপিণ্ডে ফিরে আসা প্রতিটি রক্তকণার চাপে-<br />কলকল করে রক্তজ জল স্ফুরে উঠে জীবনের শক্তি নাড়ে। <br />মৃত্যুর বিস্বাদ কতো নিষ্ঠুর ওজনে মাপা! <br />জলাভাবে শুকিয়ে যাওয়া জ্যৈষ্ঠের খরতাপে পোড়া কাষ্ঠের মতন।<br />বেঁচে থাকার পরতে পার্বতে ঢের লুকিয়ে থাকে-<br />থোকায় থোকায় অনেক অধ্যায় অসমাপ্ত। <br />কিছু অজানা জীবনের নানান কান্না-হাসি জানা হয়না,<br />মনের মোচরে ফেরারি তাও অতীত।<br />নোঙ্গরে নোঙ্গরে জলের অতলে কেটে স্রোতে হারায় থকথকে সাদু মাটি। <br />অভিজ্ঞ কুঁচকে যাওয়া সাহসী পাঁজরও বয়সের ভারে নুয়ে পরার আগে-<br />হাঁটে হাতে ধরে লাঠি, ভাবে পৃথিবীর পরেও তো আছে অনন্ত উপাক্ষ্যা,<br />অপেক্ষার মৌনতায় তাই যেন লৌকিক চাহনিগুলো-<br />গভীর জলে ডুবুরীর মতো মনে পুষে রাখা ভয়ের জালে- <br />আঁতকে উঠা হঠাৎ। <br />আবার টেনে নিয়ে সজীব নিঃশ্বাস প্রকৃতির কোলেই বাঁচবে বলে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/mone-rekho-prionti/মনে রেখো প্রিয়ন্তি2019-05-16T15:42:03-04:002023-06-25T21:48:20-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>বিস্তীর্ণ এ আকাশ জুড়ে আজ মেঘারণ্য; পাশে চাঁদ-<br />এ রাতের নোনতা-দৃষ্টি তোমার কথা বলে চুপিচুপি। <br />কান পেতে শুনি আমি মেঘেদের দলের গুড়গুড় শব্দ।<br />আমি ভেবে নিয়ে খানিক আলো পাতি-<br />তোমার মনের কিছুটা শ্রাব্যশ্রী অন্ধকারে। <br />তুমি সুখের আহ্লাদে আমার নাক টিপে দাও এক দৌড়।<br />খুব কাছ থেকে দেখে নেয়া তোমার হৃদয়ের পানসী। <br />যেওনা যেওনা বলে আমাকে ঘুম পাড়াতে ত্রস্ত-<br />কৃষ্ণচূড়া ডালের উড়ন্ত পাপড়িরা এ রাতেও।<br />আমি বলি কি...তুমি আজ রাতটা আমার প্রেমের ঝড়েই কাটিয়ে দাও।<br />গাল টিপে তুমি বলে বস...আর হয়েছে!<br />এভাবেই চলা দিনের নিপান্তে রাতের সহচরে-<br />মনের বাঁকগুলোতে জোরসে চিমটি কাটে,<br />আর বলে...আজ আকাশের বড্ড অভিমান।<br />তুমি কিন্তু আর আড় দেবেনা, বৃষ্টি হয়ে এসো-<br />ঝিরিঝিরি হয়ে; মনে রেখো প্রিয়ন্তি।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/matir-dorpone/মাটির দর্পণে2019-05-14T14:18:28-04:002023-06-25T21:48:16-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>দিন যখন ফুরিয়ে যায় একটি একটি করে এই পৃথিবীর জীবন থেকে,<br />কখনো ভাবতে পারিনা কারও যে মৃত্যুর পর আবার যদি জন্ম হতো,<br />আবার যদি স্বর্গের কাছাকাছি সুন্দর এ পৃথ্বীর মায়াময় জলে চোখ ভেজাতো। <br />কল্পনায় সাত সমুদ্দুরে ছিমছাম পাহাড়ি কোন আগের জীবনের স্মৃতির চেহারায়,<br />হারিয়ে যেতে চাওয়া কোন এক প্রকৃতির খোলা পরতে-<br />নরম বাতাসে উলট-পালট হওয়া।<br />ভাবতে ভাবতে যদি তাঁর অস্তিত্ব ঘিরে বন্ধ চোখ থেকে-<br />হঠাৎ এক বিন্দু জলজ তৃষ্ণা-<br />সত্যি পড়ে মাটির দর্পণে; এতো ভালোবাসায় গড়া আমরা সৃষ্টির কদরে।<br />আহা, আবার যদি এক মৃত্যুর পর আরেক জীবন আসতো,<br />ভাবলে যে আবারো চোখে জল ঘিরে প্রাণটা আনচানে মোচড়ে কেঁদে ফিরে।<br />ভাবতে ভাবতে রাতও ফুরায় দিনের আলিঙ্গনে চুপচাপ জীবনের নিয়মে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/nirbason/নির্বাসন2019-05-08T14:56:24-04:002023-06-25T21:48:25-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>দখিনের জানালাটা খুলে আছে আর বাতাস বইছে অনেক।<br />এ বাতাস শ্রান্তির নয়, নয় কোন আহ্লাদের মতো প্রাণ জুড়ানো কিছু।<br />সমস্ত বিকেল জুড়ে ক্লান্তিময় অফিস ফেরা কোন তরতাজা যুবকের-<br />এ বাতাস কখনো ভালোই লাগবেনা, লাগার মতো কিছু কি আছে?<br />হাপিত্যেশের শেষ দহনে যখন নম্র পায়ে নূপুর জড়িয়ে নিক্কনে মন উজাড় হয়-<br />তেমন করে কিছুই পাওয়া যাবার মতো নয় আজকের রাতে।<br />মন খারাপের নাজুক কালো মুখের পাড়ে প্রাণও নাভিশ্বাস কেতকী যুবার ললাটে।<br />সত্যির ভেতরে যদি শক্তিই লুকিয়ে হাসে, থাকে বুকের নিপাতে অসহ্য সাহস-<br />তবে আর দিন-রাতের গল্প নাড়িয়ে লাভ কোথায় কিসের অবলীলায়?<br />কবিতার শব্দে আজ দুই যুগের কষ্টের প্রাণের অঞ্জলি, মর্মে মর্মে লাগে।<br />বুকের পাটাতনে বিগত-দিনের হাসিগুলো কোন সে সময়ে কান্না ছিল-<br />সেই অকাতরে বলে ফেলা মুহূর্তগুলোর সমকোণে আয়ত আঁকে।<br />আমি নিষ্পাপ সময়ের কথা বলছি। <br />আমি শ্লোগানের মতো সমর্পিত চোখে আঙ্গুল তোলা-<br />বিষ-বাষ্পের নখদর্পণের কথা বলছি।<br />যেখানে মানুষ ভুলতে পারেনা অতীতের ব্যাকরন-<br />নিরিখের শব্দে উদ্বেলিত মানব-মানবীর চোখে চোখ রেখে কথা বলার স্ফুরণ।<br />আমি এসব সময়ের কথাই বলছি।<br />যখন কপালের জমে থাকা ঘামের মূল্য মানুষ ভুল করে ভাবে বৃথা! <br />সব কিছু যদি একই নিক্তির পরখে হয়,<br />ভুলতে পারবে কি যুগান্তরের ত্রিলিপিতে আঁকা মানুষের মাঝেও বেঁচে থেকে-<br />রয়ে যাওয়া থাকা বেহিসেবি নির্বাসন?</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/tulir-achore-rongin/তুলির আঁচড়ে রঙিন2019-04-29T14:27:53-04:002023-06-25T21:49:13-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>দমকা আলোড়িত বাতাসে তোমার প্রিয়-মুখ দেখি অবনমে।<br />মনের বাতিঘরে তুমি হিম জলের দোর্দণ্ড ঝাপটা।<br />তোমার মাঝে যে আলোর ভিড় দেখি-সেখানে এইতো ক’দিন-<br />আমি খুঁজে পাই আমার নির্লিপ্ত সজাগ লাস্যময় বসবাস।<br />চোখে আমার নেই এ ক’দিন কোন মন খারাপের বিজ্ঞাপন।<br />তোমার মাঝেও নেই মৃদু মৃদু হাসাতে পারা ছাড়া আর কিছু।<br />তুমি যে আমাকে হাসাতে পারো; এটাই মানি অনেক কিছু।<br />আমি রোদের বুকে চিঁর ধরা এক-ফালি কাঠের মতো তৃষ্ণার্ত ছিলাম।<br />আর তুমি যেন সেখানে সুশীতল একরাশ সুপেয় জলের তৃপ্তি।<br />তুমি এসে কি এক জাদুময়ি মায়ায় আমাকে ভুলিয়ে দিলে সব।<br />তোমার কাছে আমার যে চাওয়ার মাত্রায় আর কিছুই নেই।<br />তোমাকে ভালোবাসি নিজের মতো করে প্রগাঢ় অনুভূতির সায়ে।<br />যেভাবে তুমি হাসিয়ে দিয়ে আমাকে ভুলিয়ে দাও শত দুখের প্রনন।<br />দুখের জালে আগুনে জ্বলে রংচটা সময়ের বেহিসেবি ভাবনার জোয়ার।<br />তোমার মনের উদার আঁচলে খুঁজে গিয়ে পাই-<br />অফুরন্ত সব সময়ের চোখে তুলির আঁচড়ে রঙিন তুমি যে আমার।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/obujh-kannay/অবুঝ কান্নায়2019-04-21T10:43:31-04:002023-06-25T21:48:32-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>প্রতীক্ষিত সময়ের পর কতো আকুতি ভরা সময়ের জাল।<br />বিবৃত মুখের কতো বলা কথায় লেপটে থাকে গভীর মানুষিক ভালোবাসা।<br />কোলাহল হাসে মৃত কতো আগের স্মৃতি ভাবলেশহীন ভাসে অবিরত।<br />আমাকে বুঝার আর কি আছে, আর কতো অপেক্ষা বল? <br />আমি কিঞ্চিত বিহ্বল হই তোমার মোমের মতো মনে না আঁকি কষ্টের ছটা।<br />তুমি জানো আমার পথের লোচন কোথায় গিয়ে ঠেকে। <br />তারপরও কেন এতো কথার ভিড়ে আমাকে নতুন করে চেনার বাঁক সৃষ্টির মতো।<br />আমি বুকের গভীর থেকে চোরাবালি সরিয়ে স্মরণ করে সেই সে ফিরে আসা-<br />কখনো ভুলতে পারবো কি?<br />তুমিও পারবে না ভুলতে আমাকে মনের গোচরে মন মিলিয়েই-<br />সব প্রতীক্ষার পর যেন কিছু কি হারায় লোকান্তরে।<br />আমার আমিকে আর তোমার তুমিকে কখনো যদি প্রশ্নের জ্বলন্ত লাভায় ফেলি-<br />কি আসবে উত্তরে জানা নেই!<br />শুধু ভুলে যাইনা কষ্টের প্লাবনেও সুখের স্মৃতি ভীমরি খায় নোনা জলের-<br />দম বন্ধ করা বলতে না পারা অবুঝ কান্নায়।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/shesh-hobar-shesheo/শেষ হবার শেষেও2019-04-11T06:23:45-04:002023-06-25T21:49:05-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>দিনের সাথে রাতের কতো লাজুকিয় আঁধারে সম্মোহিত মিলন-মেলা! <br />কতো বিস্মৃত জোগাড়ে মলিন পৃথ্বীর গোপন ভরাট হাওয়ার খেলা।<br />বুকে লেপটে আছে প্রাচীন কোন মৃন্ময়ীর স্রোতের কলতান।<br />কতো আলতা-ভারে মেহেদী রঙে রাঙা হাতের পরশ-<br />হারানো গানের মতো সুহৃদ হৃদয়ান।<br />তুমি আমি বুঝেও অবধারণে ক্ষত চোখেমুখে তাও চুপসে বলীয়ান।<br />কখনো হেরে গিয়ে বারবার পিছুহটে বহ্নিশিখায় জ্বলিনি।<br />হারতে চাওয়া মানে-<br />কদর্য এক মানের মানেহীন বিপরীত অজুহাতে হঠাৎ-<br />অবাক সরে যাওয়া। <br />জীবনের দোলনাতে কিছু ঋণ কখনো শোধ করা যায়না।<br />রক্তজ জীবনের ভীষণ আকুতির রূপরেখায়-<br />এটাই যে পরিপূর্ণ নিবিড় এক বিস্তৃত সাজাল্পনা। <br />কখনো ভাবনায় মুখর যাপিত জীবনের নিভৃত ভার,<br />আর কখনো অল্প অল্প করে শেষ হবার শেষেও- <br />না শেষ হওয়া।<br />থেকে যাওয়া অন্তরে পল্লবে চোখ ভরে দেখিনি সমুদ্রপাড়।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/dipannita/দীপান্বিতা2019-04-04T10:27:12-04:002023-06-25T21:47:54-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>কতশত আঘাতের পরও উঠে দাড়াই দৃপ্ত শপথে।<br />কতো পুরনো পৃথিবী হারায় নতুন পৃথিবীর আহ্বানে।<br />হারতে হারতে আমি যেতে চাই জীবনের শেষ লম্বা ঈশ্বরের ডাকে।<br />প্রায় গ্রীষ্মের দাহে পুড়ে নির্লিপ্ত মন, মনের ভেতর।<br />সেদিন তো ভুল ছিলাম না।<br />আমি নীরব থেকে দেখেছি বঞ্চনা, <br />কিছু কেমন যেন আত্ম-অহংকারের ছায়ায়!<br />এমনভাবে কাউকে ফিরিয়ে দিতে হয়না, <br />ভিখেরিরো আছে প্রাণ-<br />মনে রেখো তুমি, দীপান্বিতা।<br />আমি তোমার জন্য একরাশ ভালোবাসা গেঁথে তোমাকেই চেয়েছিলাম।<br />দেখেছিলাম তোমাকে চোখ ভরে।<br />ভুলতে ভুলতে কেন যেন আচমকা আমাকেই-<br />কেনো মনে পড়লো?<br />শেষ বিকেলের সন্ধ্যের টানে তবে কি তুমি ফেরারি পিছুটান?<br />আমাকে ভাবতে দাও দীপান্বিতা।<br />ভাবতে দাও...</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/ishara/ইশারা2019-03-29T13:47:58-04:002023-06-25T21:48:03-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>ভালোলাগা থেকে হয়ে যায় ভালোবাসার হৃদছন্দ।<br />অতি ভালোলাগা থেকে কি হয় জানা নেই।<br />প্রেমের বাতাসে মন কাঁপে ঢের জানা আহ্বানে।<br />যতোই নিষ্কলুষ ভাবুক নিজেকে কেউ-<br />কতো বিরুপ প্রজ্ঞাহীনতা তা যে বলার বাইরে।<br />সবটুকু সুখ কেউ নিতেও পারেনা-<br />কেউই প্রতিদানে পারেনা দিতে।<br />ভালোবাসা আর প্রেমের চাদরে শুধুই ভাবাবেগের খেলাধুলা।<br />চুপটি ঘুমেও যেন জাগ্রত আবেদনের প্রতি-নিবেদন।<br />কাজল-আঁকা চোখের পাপড়িতে প্রতি পলকে পলল ইশারায় হাসে।<br />ভালোবাসা মনের কাঁথা-আর প্রেম হল আবেগের বুনন।<br />ভালোবাসা ছুটি নিতে জানেনা; চলমান ধীরগতির বাহন যেন।<br />প্রেমের হৃদয়গ্রাহী বাসনায় অধীর ছটফটে ছোটাছুটি। <br />চোরাবালির জালে এক লাস্যময় গানের সুরের মতো।<br />ভালোবাসা তাই প্রেমের প্রতিবেশী।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/sudhu-aitukui-mone-rekho/শুধু এইটুকুই মনে রেখো2019-03-25T16:35:15-04:002023-06-25T21:49:10-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>আমার মনের ফ্রেমে তুমি স্বাধীনচেতা এক দিব্য দীপ।<br />কে হবে তুমি, কি তোমার পরিচয়?<br />তোমার মনের আলোয় আমি চুপসে নীড়মনা, জেনে রেখো।<br />এখনো ভাসে কতোজনের কতো মায়াভরা মুখ-<br />কতো ইলশে-গুড়ি বৃষ্টির মতো চাতক চাহনি-<br />তুমি আমি মিলে যেন একই বন্ধনে এক নিরিবিলি দ্বীপের সুখ।<br />আমার গুটি পায়ে হেঁটে চলা-<br />আমার মাথানত আহত হৃদয়ের কালসাক্ষী- <br />এ অনিন্দ্য সুন্দর পৃথিবীর যাপিত যারা।<br />তুমি কেমন করে...হে অতীত মনে না রাখি আমি। <br />মনের রক্তে ভয়ংকর ত্রিশূলে বিঁধিয়ে আমাকে নিংড়ে-<br />দিব্যি অসুখী হয়েই তো আছো!<br />আমি বেঁচে এখনো আছি বেঁচে থাকবও তাঁর ইশারায়-<br />শুধু এইটুকুই মনে রেখো।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/oddristo/অদৃষ্ট2019-03-20T08:21:15-04:002023-06-25T21:48:33-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>স্বপ্নেরা হাতছানি দেয় বহুদূর পথ চলার।<br />কেউ কোনভাবেই সম্পূর্ণ সুখি নয় পৃথিবীতে যে।<br />জীবনের প্রতি পরতে পরতে হয়তো-<br />মাঝে মাঝে কান্নার রোল আঁকে ঝাপসা ছবি অবিরাম।<br />মনেরও লৌকিক প্রামাণিক আছে।<br />আছে প্রাণের কতো অদৃশ্য অদৃষ্ট জড়ানো কথা।<br />অন্যমনস্ক কিছু যাপিত জীবন মুচকি হেসে বেদনা কাড়ে।<br />পশ্চাতে পশ্চাতে চলে নিয়মের মতো নোনা ঘাম। <br />সব পিছুটান ভুলে যদি সামনে এগুতে চায় মানুষ-<br />তখনি হয়তো বয়ে দেবে এই তো প্রতি মুহূর্তের ভবিষ্যৎ।<br />তাও কেনো বলি ভবিষ্যৎ, পুরোটাই যে বর্তমান।<br />এগুতে এগুতে মানুষ এক সময় নেয় বরণ করে মৃত্যুকে।<br />প্রজন্ম মনে রেখে চলে মৃতদের রেখে যাওয়া ভুল।<br />শুধরে চলে ফেরে বাকি জীবনের পথভারে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/sondhi/সন্ধি2019-03-12T12:43:25-04:002023-06-25T21:49:09-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>সন্ধ্যের সন্ধি আজানে ম্রিয়মাণ মৃত্যুভয় লুকিয়ে থাকে।<br />রাতের কাল নিকষ অমাবস্যা ঘিরে থাকে মৌন প্রেমের গনগনে ভাঙন।<br />বিরতিহীন বিহলাদে বিরহিণীর ঝাপসা মলিন কান্না-<br />ভেজা হাতের স্পর্শে চোখের কাজল।<br />দুখের নোনা জল বুঝি গভীর কান্নার ক্লেশ।<br />পূর্ণিমা রাতের আলোয় খোঁজা জীবনের বৃত্তান্ত।<br />কিছু মেটে মেঠো সাপ গরগরিয়ে গরুর গাড়ির বাড়ি ফেরা চাকায় পিষ্ট।<br />এইতো সেদিন ভোর দেখেছি-<br />কতো নির্মল নিষ্কলুষ ভোরের লাজুক মিষ্টি বাতাস।<br />আমাকে মুগ্ধ করে আমার শ্বাস-প্রশ্বাসকে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়।<br />সেই তো বেঁচে থাকাই। <br />মনের নিরানন্দে চারদিকের আজানের ডাক আমাকে বিপ্লুত নাড়া দেয়-<br />মনের গভীর অন্তরে।<br />আপ্লুত প্রাণে হয়তো তাঁকে ডাকতে পারিনা-<br />কিন্তু মনের মাঝে যিনি বসত করে তাঁর সাথে আর পাল্লা ভারী কাঁর?</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/protiddhoni/প্রতিধ্বনি 2019-03-05T08:15:05-05:002023-06-27T20:03:56-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>মনের সাদা পালকের মাঝে কে রঙ মাখে?<br />আমি উড়তে পারি,<br />নীড়ের তাকানো অপেক্ষায় রাতের নীরবতায়-<br />কিংবা দিনের আলোমাখা ভীরে।<br />সমুখে তোমাকে রেখে-<br />কখনই আলেয়া নও যে তুমি।<br />আমার মুখের বলা কথা আমিই যখন তখন প্রতিধ্বনি হয়ে শুনি।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/prananter-nibir-onuvob/প্রাণান্তের নিবিড় অনুভব2019-03-01T05:45:38-05:002023-06-25T21:48:59-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>পারিনা আমি ছাড়তে অক্ষরের ভালোবাসা রে! <br />আমি দুঃস্বপ্নের মতো কালরাত পেরিয়েছি দু’চোখ খুলে।<br />আমি অষ্টক-একটানা মায়াময়ী রাতের চোখে দেখা প্রহরী।<br />শুকতারা-ধ্রুবতারা দুঃসহ মায়ায় ভাগ হতে দেখেছি।<br />সৃষ্টির কেতনে আমি লোকালয়ের নিকেতনেও।<br />ভালোবাসার প্রহারও পেতে নিতে চাই দু’চোখ বন্ধ করে।<br />চিন্ময় বিস্ময় সেই; সেই তো দু’চোখ-<br />আমাকে বার বার মুগ্ধ করে মৃত্যুমুখের ফেরারি জীবনের-<br />জয়গান গাওয়া নীরভানা।<br />আমি একমাত্র নই, আরও যে কতো তারা আছে-<br />জানবার আগে বুঝতে শেখার সময় হয়না।<br />জেনেছি নিজেকে-চিনেছি ধীরে ধীরে।<br />পথের কাঁটায় বিদ্ধ ঐ রক্ত বিধুর ছুঁয়েও।<br />মুচকি হেসে তারপরও তাকেই ভালোবেসে।<br />কে হবে সে, কি তার পরিচয়?<br />এ আমার প্রণয়ের প্রানান্ত নিবিড় অনুভব।<br />কিছুটা হলেও যে মায়াময়।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/mehrish/মেহরিশ2019-02-25T17:10:29-05:002023-06-26T13:36:44-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>কেন পারবেনা হে উদ্দাম, উত্তাল তরুণের দল-<br />হুশিয়ারি কণ্ঠে রাঙায় তেজের জোয়ার।<br />তোমাদের যদি কোন ভুল ধারনা থাকে-<br />বিনা কারনের নিংড়ে দেয়া-ছুড়ে দেয়া ঘৃণার আঘাত।<br />আমার পাতার মতো মনটার মাঝে বিষণ্ণ যজ্ঞ-নীলিময় দুঃখের প্রজাপতি-<br />কান পেতে শুনে ফুল-জল ভরা কষ্টের স্লোগান, ছাত্রদের উদীপ্ত যূথী ভাষণ।<br />আমি সেদিন বুকের তাজা রক্ত দেখে আতঁকে যাইনি,<br />পেছনের দিব্যি হাতখোলা আঘাতে রাতের কুয়ারে কাঁটার শব্দে-<br />বাবার চোখে জল প্রয়ান্তে গিয়েও আসেনি।<br />বাবা জানতেন, একদিন তিনি তাকাবেন।<br />আমার মনের পাতায় যদি খাদ থাকে,<br />পিষে ফেল অজান্তে জেনো তোমাতেও ঈশ্বর লুকিয়ে।<br />যতনে তুমি, মায়ের বুকের ধন মেহরিশ।<br />আমার মাত্র বলা দগ্ধ জীবনের জালে আমি জ্বলন্ত লাভা-সে বা ওরা।<br />আহাজারি; একা পেছন ফিরে ডাকা মুহূর্তে,<br />ঝাড়খণ্ডের কপটার কবিতার কাব্যের মতো অবিরাম ছকে ছক আঁকা নিজের জন্য নয়, হে বীর।<br />মৃত নালাটার মুখে ঝাড়ু দেয়া পানিরও কষ্টের স্রোত-জীবন বলে!<br />আমি বেঁচে থেকে ফুলের বাগানে হঠাৎ যেন পরপারে চলে গিয়ে-<br />পুরো পৃথিবীর আহবানে একাত্মতা ঘোষণা করি মায়ার বাধনেও সব জাতি,<br />মায়ের জাদুময় গুটি পায়ে হাঁটা সন্তানের মুখে মা-বাবা ডাকের প্রহর।<br />রক্তের দামে রক্তের ভেতরে যন্ত্রণা পাতা,<br />শিঙ্গের কাঁটায় থাকা জলও চুপ দেখে নেবে বলে।<br />কুঁড়ে ঘরে আমি বিনা অন্য যদি থাকে কেউ আমি একান্তই উল্লসিত,<br />স্বাধীন বুকে পেতে নেয়া বুলেটের তেঁতো বিষের বিপরীতে বাড়ে শক্তি।<br />পৃথিবী মনে রাখে নতুন প্রজন্মের হুংকার,<br />বয়সের ভারে সাদা দাড়ির ফাঁকে লুকিয়ে থাকা ফেরেস্তাদের-<br />শেষ কিছু নিঃশ্বাসের অতীতের স্মারক হাতড়ে ফেরা মসজিদের আহ্বানে রত-<br />জায়নামাজে ব্যাকুল কান্নার ফোঁটা।<br />বলে ফিরি আজও,<br />মেকগাইভারের সেই জ্যাকেট আমি লুকিয়ে রেখেছি-<br />সেই জল্লাদকে পরাবো বলে।<br />যার ইশারায়- আমাকে মৃত্যুর দুয়ার দেখেও কেঁদেছে পরে।<br />আহা, আর্তনাদ-<br />চুম্বক রশ্মি থেকে তার আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেছিল।<br />মুগ্ধ ফুলেরা ঘাশফুলের মতো হতবাক হয়ে গিয়েছিল!<br />একই স্মরে অবাক আমার জলভরা চোখের মাটির মতো নরম সৃষ্টিকর্তাও।<br />রজনিতে আমি মাথা পেতে নিয়ে শিখেছি নতুন রক্তের ধ্বনির আওয়াজ।<br />সুমহান আকাশের মেঘ ঘুরানো প্রতিটি বাক আমার সাথে।<br />তার সাথে পাশে থাকবো বলে, আমি প্রস্তুত চাঁদ-সূর্যের মুখে আমার চোখ পেতে।<br />চেয়ে দেখে নিও হে নতুন প্রজন্ম।<br />তোমরাও ফুটন্ত ফুলের কাব্যভার।<br />আর না বলি কিছু।<br />অনেক বলার অনেক মানে, যদি হেসে বলি আরও তবুও কিছু।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/obak-akash/অবাক আকাশ2019-02-24T08:20:57-05:002023-06-27T06:33:08-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>এ এক বিস্তীর্ণ আকাশ,<br />মৌনতা যেখানে হার মেনেছে কিংবা মানেনি রংধনুর কাছে !<br />বিরল কিছু মননের পললে পললে গাঁথা অবাক চাহনি ।<br />এ আকাশের বিশালতা শুধু আকাশ জানে,<br />ছিন্ন বিচ্ছিন্ন মানবিকতা শুধু অবকাশে ভাসে ।<br />মন কখনো কি আঁকা যায় ?<br />দেখা তো দূরের কথা ।<br />অবাক হয়ে হাসি-কান্না জড়ানো একটি মুখের পানে চেয়ে,<br />বৈভব বৃত্তে সীমাহীন দুর্ভোগ এক নিমেষে !<br />এ যেন আর কিছু নয়...<br />পাশে থাকা কথা বলা অথবা শূন্যতার মাঝেও বিস্তীর্ণ হয়ে,<br />অনন্তকালের প্রহর গোনা ।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/shesh-bindu/শেষ বিন্দু 2019-02-21T16:49:35-05:002023-06-27T15:40:09-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>জানা পথের শেষ বিন্দু থেকে শুরু হয় অজানা পথের টান।<br />অজানা পথে চোখ লুকোচুরি খেলে।<br />পথের খোঁজে মানুষ কখনো কখনো হোচট খায়।<br />কখনো ভিজে ঘামে।<br />নিরন্তর পথের পরে পথ চোখ বুঁজে পদযাত্রার অপেক্ষায় থাকে।<br />তা সে রাতের বা দিনের পথ হোক।<br />রাতের পথে সময় ঘূর্ণি খেলে।<br />দিনের অভিমানের পরে রাতের কপালে দিন যে মৃদু আলোর টিপ পরিয়ে দেয়।<br />তার প্রতি তাও কতো তিতিক্ষার ভূষণে রংয়ের মালা নিয়ে সবাই অপেক্ষা করে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/lal-bornomala/লাল বর্ণমালা 2019-02-20T16:35:59-05:002023-06-25T21:48:14-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>এবারও হাসুক বর্ণমালা নতুন আঁখরে,<br />যেভাবে ক্লান্তিকর বিকেল সাঁঝে রাত নামে- আবার ভোর আসে।<br />কঙ্কণ হাসুক নীল হয়ে নয়- লাল হয়ে।<br />আরে, দুঃখের রঙ নীল; কষ্টার্জিত নীল।<br />যে বর্ণমালায় কষ্ট আছে- সেখানেই তো ভালোবাসা।<br />যে বর্ণমালায় লাল রক্ত ছড়িয়ে আছে-<br />সেখানে কি হৃদয়ের কষ্ট নেই?<br />নেই কি সদ্য বিবাহিতার করুণ আকুতি?<br />নেই কি মায়ের চোখের জলের ছলছল?<br />ছবিটা ভেসে উঠে আবারও যেদিন একুশ আসে।<br />যেদিন সকাল বেলাটা নগ্ন পায়ে শহীদ মিনার ছোঁয়।<br />তাজা ভিন্ন গোলাপ কিংবা হলুদ গাঁদা হাতে একরাশ ভালোবাসা বুকে নিয়ে।<br />ভালোবাসা বেঁচে থাকবে হৃদয় গহীনে শুধু একুশ নয়,<br />প্রতিটি দিনের হাসি মাখা মুখে-<br />যেভাবে শিশু হাসে সরলতা নিয়ে। </p>
<br /><p>ছেঁড়া বাতাসে রক্ত- ২০১৭</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/rater-prohori/রাতের প্রহরী2019-02-19T10:45:35-05:002023-06-25T21:49:00-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>মালাবদলের সন্ধ্যায় ফাল্গুনের আবেগি প্রাণ কথা বলেনি।<br />কথা বলেনি আসন্ন দিঘল চাঁদনী রাত।<br />গভীর উষ্ণতা চিড় ধরা দেয়ালের ফাঁকেফাঁকে লুকিয়ে পড়েছিল।<br />সুবাসিনী ফাল্গুনী তারারা হারিয়ে গিয়েছিল কথাচলার মতো।<br />এমনি এক মিলনোৎসব ছন্দরীতি ভুলেছিল।<br />সারা বাড়ি ভারি মনজুড়ে ছিলোনা কোলাহল।<br />শীতের রাতের মতো চুপসে গিয়েছিল সব।<br />মালার গলায় পড়েছিল বেসুরো ছুরি।<br />কথার পাতে কামড় খাওয়া লংকা যেন।<br />হারায় রাতের প্রহরী।<br />সকালের আলোয় কেউ ছিলোনা ভিড়েছিল যারা-<br />কেউ নেই।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/orjon/অর্জন2019-02-14T12:07:26-05:002023-06-26T20:51:06-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>ভালোবাসা এক ভিন্ন অনুভূতি।<br />ভালোবাসা প্রেরণার নাম-বহিঃপ্রকাশে অনন্তবার।<br />কিছু ভালোবাসা শতাব্দীর পর শতাব্দী বেঁচে থাকে অমলিন।<br />ভালোবাসা যেন চোখের জলে ভেজা হৃদয়ের প্রাপ্তি একাধার।<br />কতো ভালোবাসা হয় প্রেম-<br />অবনত অথবা উন্নত শিরে প্রাণের গীত।<br />হতে পারে কিছু প্রেম ছলনায় নিবদ্ধ আক্রোশে শুধু শুধু।<br />চায়ের দু-চুমুকে পাশাপাশি বসে রোদের মিষ্টি সকালে-<br />অনাবিল এক চাদরে।<br />সময়ের স্রোতে হারায় কতো নিভৃত প্রেম! <br />তাও যেন মনে রাখা শুধুই একপেশে করে নিরন্তরে-<br />বুকের ভেতর শালীন মমতায় যত্ন করে।<br />ভালোবাসা বিরাট করে নিজের পৃথিবী।<br />কখনো মৃত্যু অপশয্যায়।<br />কখনো অর্জন নিজ চোখে না দেখতে পাওয়া।<br />অতৃপ্তির ছোট্ট মনে কালচে নোনতা দাগ পড়া।<br />ভালোবাসা হলো আবেগি কাব্য। <br />অহর্নিশ; মনের দিন আর রাতের ছুটোছুটি।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/tripto-vore/তৃপ্ত ভোরে2019-02-11T14:41:05-05:002023-06-25T21:49:12-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>পৃথিবীতে মায়ার বাঁধনে গড়া সম্পর্কে-<br />কখনো খাদ থাকেনা।<br />বৃষ্টির শব্দে মায়ার বাঁধন থাকে-<br />থাকে ভেজা সৃজন।<br />কুয়াশা ঘেরা তৃপ্ত ভোরে এই মায়ার বাঁধন হাসে।<br />প্রকৃতি যেন উজাড় করে কেঁদে ফেলে-<br />যেভাবে মায়ের উষ্ণতা পেতে কাঁদে সদ্য শিশু।<br />জীবনের প্রথম দিক থাকে চারপাশের মেলবন্ধনে।<br />বাড়তে বাড়তে প্রকৃতি সাথি হয়।<br />গ্রীষ্মের চৌচির মাতমে যখন প্রকৃতির গলা শুষ্ক হয়ে যায়-<br />তখনি নামে বরষা।<br />পুকুরের, নালায়, বিল-ঝিলের ভেলায় বালকদের উচ্ছলতা-<br />চোখে পড়ে শরৎ বাতাসের মেলায় কাশফুলের নাচন।<br />হেমন্তের কুলা ঝারে নতুন ধানের প্রাণ।<br />গ্রামীণ উৎসবে নাচে অবাধ শিশুর দমধরা উদোম দৌড়ে।<br />শীতের বাতাসে তারপর দেখা মেলে মনের প্রিয় ঋতু-<br />আছে অনেকেই; বিলাসী মনের ঝাপটা।<br />বসন্তে রাঙে মন মাথায় আঁচল টানা নব স্ত্রীর হাতে-<br />শোভা পাওয়া লাল-হলুদ-কিংবা গোলাপি একগুচ্ছ গোলাপ।<br />জীবনের ষড়ঋতুতে হাঁটা এক পা দু’পা করে-<br />ভালোবাসাই বুঝি হৃদয় ভরে।<br />মনের হোক, অন্তরের বাইরের কখনো নয়তো।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/cena-ocena/চেনা অচেনা2019-02-09T13:17:30-05:002023-06-25T21:47:51-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>দিক ভুলে বাঁধ ভেঙে চলে শীতের বাতাস। <br />গভীর মাঝরাতে প্রশ্বাসে বলয় ঘুরে নিপাত হয় সুরজ ঘ্রাণে।<br />মরমের মরমে লাগে ধুঁয়া উঠা ঘরুয়া অথবা বাইরের আলোড়নে এক কাপ চা।<br />মুগ্ধ হই নিরেট আবদারের সাথে চলার ঘের টোপে।<br />নিরন্নের চোখে তাকালে মনে হয় আমি ঘুম ভেঙে মহা সুখে।<br />সমুদ্রের প্রবালে জমে থাকা স্রোতের কষ্ট বুঝি টের পাইনা!<br />মাতাল হাওয়ায় ঢের আছে ত্রস্ত প্রাণ।<br />বিকেলের বাতাসে ভর করে রাতের ত্রিনয়।<br />ভোরের বিভাসে ভাঁজ করা আবারও তো সেই পৃথিবীর পথচলা।<br />একই প্রাণ, একই সুরের খেলা।<br />কারো দম বেঁধে বেঁচে থাকা-<br />কারো মিষ্টি হাসির বদলে অবাক বিস্ময়ে বুঝেও না বুঝার ভান করা।<br />পৃথিবীর পরে পৃথিবী চলে।<br />হিসেবের বাইরে মলিন মনের ভেলা।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/konodin-jodi/কোনদিন যদি2019-02-01T13:11:36-05:002023-06-25T21:48:13-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>এ প্রাণের যতো যন্ত্রণা সব জেনো তিক্ত বিস্বাদ।<br />মনের কথাগুলো আনমনে বলা হয়ে যায় সত্যি।<br />ভেতরের মায়াবী মন দেখেনা কেউ; কখনো কেউ।<br />এ মনের ছায়াগুলো হারায় দূরে বহুদূরে কোন জোছনায়।<br />হারতে গেলেও তো মন লাগে-<br />জেতার জন্য লাগে বুকে শক্তির সঞ্চয়।<br />পিছুটানে রইনি; হাঁটিনি কখনো নজর ভুলেও।<br />সামনের আলোয় গভীর রাত হোক তবু আড়ালে নই তো,<br />কোনদিন যদি না থাকি পৃথিবীতে মনে রেখো-<br />কষ্টের চেতনায় আবেগের এই আমাকে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/chhinnovinno/ছিন্নভিন্ন2019-01-28T13:50:42-05:002023-06-25T21:47:53-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>ত্রাসের বিরুদ্ধে বলা কথার তেজে ভয়ে আক্রান্ত কুচক্রে-<br />আশ্চর্যও ছিল মুহূর্ত।<br />হঠাৎ করে বিবমিশার মতো প্রকম্পন করে দিলো সাদা ধুঁয়ার পাথর পাতা।<br />যেদিকে যে পারে ছুটে দৌড়ে রক্তের দাগে ছিন্নভিন্ন।<br />বেমাতাল বেমালুম রোগাক্রান্ত মনের বহ্নি-শিখায় ত্রস্ত কিছু মন-<br />কিছু দেহ যে আজও বয়ে চলে কুমন্ত্রের দুর্বিষহ অনাচার।<br />ছুটতে থাকা বুলেটও গায়ে ধরে বাঁচিয়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশের প্রাণ। <br />বিচারের নত ভারে শিখতে শিখতে কয়েদীও বুঝে গেছে কি হবে কাছের বিকেলে।<br />আর যারা দুরাপার, তাদের ধরবে মনের প্রকার বিষের দহনে-<br />যেভাবে মরে সাপ ঈগলের ছোবলে।<br />শুধু পৃথিবী বলে-<br />আজও এখনো চাই সেই মুখ,<br />যে মুখ দু’টি আজও করে স্নান ঈশ্বরের পবিত্র বৃষ্টি জলে।<br />আজও হতবিহ্বল-মনে করে পঁচাত্তর-<br />মনে করে একুশে আগস্টের বিমাত্রাবিহিন ছুরিধার স্প্লিনটারের কাতরানো।<br />মনে করে মেরে ফেলার বারবার চেষ্টা যত্রতত্র।<br />রাষ্ট্রের শিখরের অর্ধাঙ্গিনী কেড়ে নেয়া এক ইশারায়।<br />মানুষের বুঝি বিবেক আছে?<br />ঈশ্বরের বুঝি বিচার আছে?<br />সবই ঘটে তাঁর ইচ্ছেমতোই। <br />প্রতিকারের জন্য সবচেয়ে ভালো’র প্রয়াসে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/kaler-sakkhi/কালের সাক্ষী2019-01-26T17:06:42-05:002023-06-25T21:48:08-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>কখনো গ্লানি মুছে এক হয় হৃদয়ের আভাস।<br />কখনো বিষের মতো তীব্র ঘন কুয়াশায় বাতাসের রঙ্গলীলা-<br />হেরে হয় চুপ; মথিত হিমগলা তাও মনের দাবানলে।<br />এক ফোঁটা বিষ হজম করে সতেজ রক্তের প্রাণ।<br />কোন সে কবের লোমহর্ষক এসে চুপি স্বপ্নে উঁকি দেয় আনমনে।<br />জীবনের দরজা অনেক বড়।<br />বড় হয়ে অম্লান মৃত্যুও এক পা এক পা করে ছোবলে ছাঁটে।<br />কাল হয় অমাবস্যার তোপ।<br />মুখে এসে পড়ে ধুলোবালির মতো ঘের;<br />তাও যেন ভাষাহীন আবেগ জমাট-<br />ললাটে যদি লেখা থাকে শিরোনাম যুক্ত যাই হোক। <br />জাজ্বল্যমান মৃত্যুঞ্জয়ী কালের সাক্ষী।<br />তবে আর কোন মলাটে গাইব গান-<br />লিখে যাবো ভালোবাসার পাপড়ি ছিঠানো ঐকতান?</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/utsob/উৎসব2019-01-21T13:26:12-05:002023-06-25T21:49:13-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>কি অপরূপ মায়াতে কেঁদে জানান দিলে তুমি রক্তের ধারা। <br />তুমি জেনে রাখো; তুমি অপরাজিতা হবে এই জঞ্জালের পৃথিবীতে।<br />মনের প্রকৃত প্রকৃতিতে তোমার স্থান মায়াময়ী।<br />তোমার আদুরে হাসি হবে তোমার পরিজনের বুক-বল।<br />তুমি আনন্দে থেকো সারাটা জীবন আমাদের হাসিয়ে।<br />পর-প্রজন্মের স্থানে তুমি আলোকবর্তিকা।<br />সূচনা হলো তোমার স্বর্ণ মুখে কান্না-হাসির বুলি দিয়ে।<br />মনে রেখো, তুমি বাতিঘর।<br />আমাদের হৃদয় জুড়ে প্রানের উৎসব মুখর।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/chader-akash/চাঁদের আকাশ2019-01-17T15:42:10-05:002023-06-25T21:47:51-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>তোমাকে ছাড়া লিখতে আর ভালো লাগেনা।<br />ভালো লাগেনা যেমন সূর্য ছাড়া ঘাস ফুলের বিকাশ।<br />তোমার ভেজা চুলের ঝাপটায় আমার যদি ঘুম ভাঙতো,<br />যদি সকালের নাস্তায় আমারও তো<br />আবার তোমারও মুখে খাবার তুলে দেয়া যেতো।<br />ভালো লাগেনা দুপুরের কোলাহলমুক্ত কিছু ডানপিটে হিমেল বাতাস-<br />তোমাকে ছাড়া।<br />তুমি দোলনায়, আর আমি পেছনে দোল দিতে ব্যস্ত।<br />বিকেলের ঘন ভিড়ে নাইবা থাকলাম দু’জন।<br />সূর্যডোবা গোধূলিতে তোমার হাত ধরে বসে<br />সন্ধ্যে তারার আসায় প্রতিক্ষা করতাম।<br />আরও কতো কি।<br />তুমি বলতে হেসে চলো আর কতো।<br />আমি বলতাম মুচকি হেসে থাকিনা আরও কিছুক্ষণ চাঁদটা হাসুক।<br />তুমি রাগ করে গোমড়া মুখে বলবে তখন-<br />আমিই তো তোমার চাঁদ।<br />চলো বাড়ি ফিরি।<br />আমার চোখে আদরের অশ্রু এসে বসে বলবে-<br />তুমিই তো আমার; প্রিয়তমার পুরো আকাশ।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/ekattor/একাত্তর2018-12-13T21:24:17-05:002023-06-25T21:47:58-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>যে মাটির গন্ধে ভরা মায়ের সোহাগ-<br />সে মাটিতেই শেষ হয় লাঞ্ছনার দুর্গ্রহ।<br />নয়টি মাস চোখের দিব্যিতে কালিমা লেপেছে তৎকালীন বর্বরতা।<br />ঘাপটি মেরে থাকা তীব্র জিঘাংসায় অনাহূত ছিল দেশের প্রাচীর।<br />লাশের পর লাশ বর্বরতার তীব্র বিষ জানান দিয়েছিলো।<br />রক্তের লালে পচে দেহের সাক্ষী একাত্তর।<br />একাত্তর মানে সম্ভ্রমের সর্বনাশ,<br />পরিজনের প্রতি হীন পরিহাস।<br />ঘুমের চোখে বেয়নেটের খোঁচা।<br />একাত্তর মানে এটাই।<br />একাত্তর মানে সফেদ সাদা বিধবার আকুতিভরা সর্বভিক্ষা।<br />একাত্তর মানে লেলিহান আগুন।<br />একাত্তর মানে লালসায় পোড়া দিকবিদিক বাংলার মা।<br />একাত্তর; তোমার চোখ যেন পরাধীনতার শেকল বাঁধন।<br />বীরাঙ্গনার মানবিক চারণে উলটানো মস্তিষ্ক।<br />একাত্তর মানে লুণ্ঠিত ভাইয়ের মন-<br />চোখের সামনে বোনকে ধর্ষণ।<br />একাত্তর মানে তরতাজা যুবকের, তরুণের-<br />জয় বাংলা বলে বাড়িছাড়া হওয়া।<br />একাত্তর মানে স্ত্রীর কান্না জড়ানো নীরবতা।<br />একাত্তর মানে ভাইকে হারানো এক গুলিতে কপালে বাস্তবের চশমায়।<br />একাত্তর মানে বঙ্গবন্ধুর বরফ ঘেরা বন্দিত্ব।<br />দৃপ্ত সপথে বলীয়ান কাছা গায়ে থ্রি-নট-থ্রির একাগ্র নিশানা।<br />একাত্তর মানে শোষণ-বঞ্চনার বিদিকে সুতীব্র বিদ্রোহ- <br />দাঁতভাঙা কঠিন জবাব।<br />একাত্তর মানে রক্ত-লাশ নিয়ে হলিখেলা।<br />একাত্তর চেতনায় মহিমান, মহীয়ান।<br />একাত্তর ফিরে দেখা ভাষার কণ্ঠে বীরগাঁথা-<br />দেশের জন্য প্রয়াণ।<br />একাত্তর আমার নিঃশ্বাস, তোমার নিঃশ্বাস।<br />বাতাস ভারী আজও ত্যাগে ম্রিয়মাণ।<br />একাত্তর তুমি লাল টকটকে রক্তের স্রোত।<br />আমার-তোমার খোলা জানালায় সব দিকের বাতাস।<br />তুমি একাত্তর আজও তো কাঁদো-<br />সব শবের বিনা জানাজায় একসাথে গণকবরে আবদ্ধ প্রাণের শ্বাস।<br />তোমাকে ভোলা অসম্ভব; হে একাত্তর।<br />একাত্তর তুমি দু'বেলা দু'টো ভাতের মতো অহংকার।<br />একাত্তর মানে বীরের জয়ধ্বনি।<br />ক'টি দেশের সার্বিক সমর্থন।<br />একাত্তর তোমাকে নিয়ে লেখা মানে-<br />মহাসাগরের কালিতে-কলমেও লিখে না শেষ হওয়া<br />এক অম্লান বিধুর কাহিনী।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/sopno-sahoshi/স্বপ্ন সাহসী 2018-12-13T05:49:43-05:002023-06-25T21:49:09-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>কিছু স্বপ্ন সাহসী শব্দ হয়ে দূর আকাশ পাড়ি দেয়।<br />জয়ের স্বপ্নে বিভোর চাতক চাহনি-<br />মেলে দেয় ডানা ঘুন ধরা রাতের সিঁথিতেও।<br />আছড়ে পড়ে জেনো নতুন ভোরের শিশিরে।<br />প্রাণের গানে সুর হয়ে জোনাক জ্বলা নিশীথে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/lajuk-hese/লাজুক হেসে2018-12-11T17:10:01-05:002023-06-25T21:48:14-04:00পুলক আরাফাতhttps://www.bangla-kobita.com/puloqarafat17/<p>চলতে চলতে খুব যে বিমর্ষ লাগে তা তেমন নয়।<br />চলার গতি একেকজনের বীণের শব্দের মতো ভিন্ন ভিন্ন।<br />পথের পরে কতো পথ রচিত হয়।<br />জীবনের মাস্তুলে আবার লাগে বারবার লাগে পূবালী হাওয়া।<br />সিঁধ কেটে সময় যে দম কেড়ে নেয় মুচকি লাজুক হেসে।<br />বলতে বলতেও তো জীবনের ফেনায় শব্দ শেষ হয়ে যায়।<br />জীর্ণ শীর্ণ করে দু’হাত পেতে সেই যে জল খাওয়া।<br />তা কি মনে পড়ে প্রিয়?<br />সময় জানিয়ে দেয় হঠাৎ কোন এক নির্বোধের মতো।<br />তুমি বিচক্ষণ রুচিবোধের এক জলন্ত প্রমাণ।<br />আর তার সেই যে আকর্ষণীয় বর্ণনাতীত প্রাণ আকুল করা হাসি-<br />তাতে যে কত্ত হৃদয় হরণ করা আকুলতা,<br />তা আমার বুঝানোর ভাষা নেই। <br />প্রাণ হাসিমুখ থাক তাই চাই।<br />তুমি বেজায় বেলায় জল ছিটিয়ে তাকে যে সজাগ করতে-<br />সেটাও তো এখনো ভুলিনি।<br />তুমি এত্ত রুচিশীল?<br />আমি না বুঝলে আর কে বুঝবে বল।<br />তুমি যে আমার মনের চৌকাঠ পেরোনোর সাহস করেছো-<br />তাতে যে ছিল বন্ধুর মতো ভালোবাসা।<br />পথের বাকি পথে সারাজীবন বন্ধু হয়ে থেকো।<br />আর তোমার প্রিয়তমের যত্ন নিও।<br />নিদারুন প্রেমময়ে শাশ্বত বিশ্বাসে-নিধির এক গল্প হয়ে।</p>@ 2024 - পুলক আরাফাত