এই শহরে
অলি-গলির ভিড়ে
আমি হারাই নিজেরে ।


কত শত স্বপন
আকাশ ছোঁয়া,
কত ভাবনা ভাসে মনে, ধোয়া ধোয়া
তাহারই মাঝে,
গড়ে উঠে আকাশ ছোঁয়া ভবন
তাহারই পাশে,
পরে আছে দরিদ্রের ভাঙ্গা স্বপন
তার মাঝে,
আমি খুজে পাই আমারে ফিরে ।


হেথায় কেউ চলে গাড়িতে
আবার কাটা পরে কার পদতলিতে,
কৃত্রিম ঝরনা কারো বাড়িতে
কার আবার ছাদ দিয়ে জল পরে, ঝড়ে ।


এখানে সবাই গায়
গান সমতার,
কিন্তু কেউ নেই
কারো দুঃখ দেখবার
বিপদ দেখলে সবাই পরে সরে ।


কারো ছেলের
একটু সর্দি পেলে আসে ডাকতর
আবার কার ছেলে মরে গালেও
নেই কেউ কাঁদবার,
কেউ তাকায় না একবার ফিরে ।


এভাবেই, এইখানে
জীবন যায়, জীবন আসে
না না স্বপ্নে লোক ভাসে
থেকেও সবাই একসাথে
কেউ নাই কারো পাশে,
সবাই দিন শেষে ফিরে নিজ নীড়ে ।


সবাই আশায় বাধে ঘর
কারো স্বপ্ন টাকা রাশি রাশি
কেউ বা দু মুঠো ভাত পেলেই খুশি,
কেউ তাড়িয়ে দেয় মানুষ
কুকুরের মত বলে সর
কেউ বা গলা মেলায় ভুলে আপন পর,
হেথায় কেউ যানে না কি কার পরিচয়
কিভাবে এসে ভিড়েছে এই তীরে ।


এখানে রাস্তায় বেরোলে ভয়
গাড়ি চাপার,
এখানে মরীচিকা কথা কয়
আশার,
কোকিল শুনায়
কাক কে, গল্প ভালবাসার ।


এই শহরে ফুটে না ফুল
শিউলি কিংবা বকুল,
এই শহরে সন্ধ্যা বেলা
পাখিরা হয় না ডেকে আকুল,
হেথায় ঘুম ভাঙ্গে সকাল বেলা
শুনে কুকুরে ডাক
কখনো বা হকারের হাঁক
উরে চলে যায় ভোরের কাক,
চলে কত, শত শত গাড়ি
পথ শিশু হয়ে অবাক
দেখে গাড়ির চাক
আর আকাশ ছোয়া বাড়ি,
ভাবে সে বসে আবার,
কবে পাবে দু মুঠো ভাল খাবার ।


এখানে পথে, ঘাটে ডাকা ডাকি
হকারের হাঁকা হাঁকি,
সবাই তৈরি,
কে কাকে দেবে কিভাবে ফাকি
সবার যেন সত্যের সাথে আড়ি ।


গাড়ির হর্ন
শব্দ দূষণ
সিগারেটের ধোয়ায়
বাতাস করে অনশন
আকাশে উড়ে না কোন ঘুরি ।


সন্ধ্যা হলেই রঙ্গিন আলো
সব শকুনের মুখ গুল হয় আরো কাল,
অট্টহাসি রাশি রাশি
ভেসে আশে থেকে পাশের কোন আস্তা-কুড়,
সেই সাথে ভেসে আসে চিৎকার
বাবার দেয়া ধিক্কার
তার সন্তানের খুনিরে ।


এই শহরে এমন অনেক কিছু আছে
তুমি জান না, জানবেও না
কারন যাওনি তুমি গভীরে,
গভীরে যতই যাবে
তুমি যাবে হারিয়ে ।


এই শহরেরও আছে বাচার অধিকার,
এই শহরেও শুনায় কেউ গল্প
সত্যিকারি ভালবাসার,
অলি গলির মোরে
চায়ের দোকানে মানুষের ভিড়ে
কেউ স্বপ্ন দেখে সত্যি আশার
হোক না তা অল্প,
এই শহরের আছে অধিকার
এই শহরেরও আছে গল্প,
হাজার, হাজার
আছে অধিকার বাঁচার ।


এই শহর তোমার
এই শহর আমার
এই শহর সবার ।।