হিমালয় নন্দিনী নও
তুমি রক্ত মাংসের দুগ্গা,
মত্ত নগরের চক্র ব্যূহে
তুমি যে এখন ভোগ্যা।
পঙ্ক সলিলে মগ্ন স্বদেশ
কে বোঝে তোমার মূল্য,
মাফিয়ারাজের জয় জয়াকার
শকুনেরা উৎফুল্ল।
পদ্মা গঙ্গা গোমতীর তীরে
দু:শাসনেরা ক্ষিপ্ত,
গুপ্ত ঘাতক খল ছলনায়
দুগ্গা নিধনে লিপ্ত।
দুগ্গা কী তবে রণ ক্লান্ত
দুর্বৃত্তের দ্বেষে,
এই ভূবনের ধর্ম কফিনে
দুগ্গারা যায় ভেসে।
যমুনার কূলে উত্থিত তুমি
গোমতির বুকে মশাল,
গঙ্গা বেতোয়ায় তরঙ্গ আজ
সুনামীর মতো বিশাল।
দুগ্গা তুমি দু:খ পেওনা
আগুন জ্বালাও আরো,
মনিপুর থেকে কন্যাকুমারী
যত দূর তুমি পারো।
দুগ্গারা সব উঠোনের রোদে
পুড়ে পুড়ে হলো সারা,
বন্ধ্যা সমাজ মাটির পুতুলে
কেবলই আত্মহারা।
রক্ত মাংসের দুগ্গা তুমি
খড়্গ তোলো হাতে,
রণ ঝঙ্কারে হুঙ্কার তুলে
সত্যেরে নাও সাথে।
জয় পরাজয় যা কিছু হোক
এখন থাকুক তোলা,
যে শপথ তুমি নিয়েছো একা
সে কথা যাবে না ভোলা।
শয়তান যত চক্রীরা শত
দুগ্গাকে দেয় সাজা,
সুপ্ত জনতা জাগবে যখন
ধূলায় লুটাবে রাজা।
দুগ্গা শক্তি মহাশক্তি
নষ্ট নগরে দৃপ্ত,
তোমারই পদ সঞ্চারে
শোকাকূলা মাতা তৃপ্ত।
রক্ত মাংসের দুগ্গা তুমি
প্রতি ঘরে আজ এসো,
পুড়িয়ে জ্বালিয়ে খাক করে দাও
তারপর ভালোবেসো।