মামার খুড়োর মাসির ছেলে নয়কো দুরের রিস্তে
গুণের কথা লিখতে লাগে কাগজ কয়েক দিস্তে


কাছে-পিঠেই থাকেন তিনি , নাক বরাবর সিধে
বিস্তারিত বলায় আছে নানান অসুবিধে ।


জানতে চাইলে কারণ তিনি যুক্তি ঝাড়েন চোস্ত
এই দুনিয়ায় শত্রু সবাই , হয়না কেহ দোস্ত ।


ব্যবসা তিনি করেন বটে না জানি তা কিসের
কেউবা বলেন তামার আড়ৎ , কেউবা বলেন সীসের ।


চেহারাতে বিশাল বপু দেখতে ভারি মোঁচটা
জলখাবারের শেষে প্রিয় ডবল ডিমের পোঁচটা ।


একটু তিনি কিপটে বটে , যদি দেখেন শস্তা
পচবে জেনেও কিনে নেবেন গোটা আলুর বস্তা ।


ব্যবসা আছে রক্তে মিশে , জানেন সকল কায়দা
খালি বস্তা বেচেও নাকি আছে ভালোই ফায়দা ।


বস্তা বেচার ফাকে মাথায় খেলল নতুন ‘আইডিয়ে ‘
বস্তা যদি তৈরী হতো শস্তা দামের পাট দিয়ে ।


লাভের অঙ্ক উঠবে ফেপে ব্যবসা জাতে মন্দ না
ধন্যি ধন্যি পড়ে যাবে , জুটবে দেশে বন্দনা ।


যেইনা ভাবা ওমনি যত গুছিয়ে নিয়ে টাকা
পাট কিনতে ছোটেন তিনি বাংলাদেশের ঢাকা ।


পাটের আছে জাতের বিচার , ছিলনা জানা মোটেই
সান্ত্বনা এই নতুন ধান্দায় ঝামেলা কিছু জোটেই ।


কালচে – বেটে – লম্বা – সাদা পাটের নানান জাত
হাতড়ে শুধুই ঘুরে বেড়ান পাটেই হলেন কাত ।


অবশেষে ক্লান্ত হয়ে চড়ে বসেন ট্রেনে
ব্যবসা ভালোই , তবে কঠিন , কুলোবেনা তার ব্রেনে ।


ঘরের ছেলে ফেরেন ঘরে , গাঁটের কড়ি গর্চ্চা
‘ দেশ – বিদেশে ঘুরতে গেলে আছে একটু খর্চ্চা ’।