মেছো ভূতের গেছো ছেলে
এমন তারা বিচ্ছুটি
বকা দিলে কানটি মুলে
লজ্জা পায়না কিচ্ছুটি ।


মেছোর ছেলে , সবার বড়
মস্ত শুনি সংগীতে
নৃত্যে নাকি দারুন দঢ়
নাচেন নানা ভঙ্গীতে ।


বসত আসর গভীর রাতে
কাপতো গাছের যতেক ডাল
গানের গুতোয় কাতর ভূতে
পিটিয়ে গোটায় পিঠের ছাল ।


মেছোর মেজো , ধুমসো মোটা
পেট-টা নাকি পেটুকের
বাড়ির খাবার ‘ ছিটেফোঁটা ’
ভাগ দেয়না সেটুকের ।


রাত্রি জুড়ে দাপায় বাসায়
চোখ বোজেনা দুপুরে
সকাল – সন্ধ্যে মাছের আশায়
জলার ধারে , পুকুরে ।


মেছোর সেজো , হাতটা নুলো
একটু যেটা লম্বাটে
বম্বে গিয়ে ভূতো হলো
এখনো ব্যাটা বোম্বেটে ।


গাছে গাছে দৌড়ে বেড়ায়
নুলো হলেও ছটফটে
যেইনা গেছে আঁশ-শ্যাওড়ায়
মরলো আবার বোমফেটে ।


সবার কথা বলবোকি আর
ওদের মধ্যে ল্যাংড়াটা
খুইয়ে ছিল ঠ্যাংটি সেবার
চুরিয়ে খেয়ে ট্যাংরাটা I


উড়িয়ে শিক্ষে, বাপের ধারা
পড়লে ধরা সিঁদকেটে
এখনো শুনি পায়নি ছাড়া
মরছে পচে জেলখেটে ।


মামদো ভূতের নাতনী নেঁকি
ডানা কাটা সুন্দরী
ব্যস্ত সদাই ফোনে সেকি !
পটানোতে নেই জুড়ি ।


ছোট্ট মেছো পাড়ার মোড়ে
দিলো প্রেমের পত্রখান
মামদো শুনে উঠলো তেড়ে
‘করবো চামড়া ছত্রখান ।’

চাবকে পাছায় , ঝাড়লো ঘুসি
পড়লো সঠিক শিরদাঁড়ায়
মামদো মেরে বেজায় খুসি
‘নেঁকির দিকে হাত বাড়ায় !’


মেছোর মনে কষ্ট ঠাসা
‘মরেও পেলাম শান্তি কই?’
ধস্তঃ মনের গোপন আশা
‘ইচ্ছে মরে মানুষ হই ।’


নাঁকি সুরে বললো কথা
দুঃখ , ব্যাথা , সংসারের
‘বুঝবি থোড়াই মুন্ডু-মাথা
বলাটাও তো দরকারের ।’