আমি একটা সিনেমা বানাতে চাই
সিনেমাটা শুরু হবে ঠিক সেখান থেকে
যখন বঙ্গবন্ধুর রক্ত সিঁড়িতে নয়, শরীরে বহমান তখনো।
বুলেট তার অন্ধকার গুহা ছেড়ে
বের হয়ে বাতাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে
বঙ্গবন্ধুর বুক ভেদ করেনি।


...অতঃপর বুটের শব্দে ভর করে, বন্দুকের গর্জনে
ভোরের আলো চুরমার করে
এগিয়ে যাবে সিনেমাটা।
বুলেট হিংস্র হবে।
বাতাস ভারী হবে।
বন্ধ হবে পাখির গান।
একটা পাশবিক উল্লাস থাকবে ব্যাকগ্রাউন্ডে শুধু।
তারপর...
তারপর...
১৯৯০।
২০০৪।
২০১০।
২০১৪।
সিনেমাটা শেষ হবে না তবু।
শেষ করার আগেই সিনেমাটা নেবো রিভার্স মোশনে।
টেলিফোন তোলার আগের মুহূর্তে গেলে আটকে দেব সিনেমাটা অতঃপর।
তারপর স্রষ্টাকে বলবো-
আমি একটা ভিন্ন সিনেমা বানাতে চাই।
তুমি সময়ের গতিপথ বদলে দাও।
তুমি বিভাজন সব তুলে নাও।
তুমি বঙ্গবন্ধুর সকালটাকে সকাল করে দাও।
নিঃশ্বাস নিক বঙ্গবন্ধুর রাত।
আশ্বাস প্রবাহিত হোক টেলিফোনের সচল তারে।


তুমি তো জানো,
বায়ান্নতে বানিয়েছি ট্রাজেডি এক।
বানিয়েছি একাত্তরে অনেক।
প্রতিটি ঘর একেকটি ট্রাজেডি ছিলো তখন...


আমি কোন ট্রাজেডি বানাতে চাই না আর!