ড্রপসিনে আরোগ্য-রজনী।


সকলেই নিয়মিত করে যায় নিজস্ব প্যারেড
কেবল আমিই বাকী
বুঝি না কেন
পদতলে আটকে আছে অসহ্য স্কি
সান্ত্বনা পাই তবু
এই ভেবে চলে খোঁজাখুঁজি
রয়েছি যেখানে সে তো আপন ইকোলজি
কুঁকড়ে রই---নিষ্প্রদীপ ঈগলু
তবু মেনে নিই
হোক এ জীবন আলুথালু
এল বলে যৌবন নিয়ে তার বদলী-ঘোড়া
দু-পায়ের মাঝে তাকে স্থিরে চালনা করা
কি কঠিন----এ এমন বেয়াড়া
চারদিকে ঢেউদার শৈলশিরা আর
বরফে মোড়া দেওদার বন
এ পাহাড় এমন
যে এখনও কোনো নিচোলপিয়াসী চোল
অথবা কোনো আগামী পল্লবদের হাতে
পল্লবিত হবার আকাঙ্ক্ষায় তার মন
আমি কিন্তু স্কেটিং করতে করতে বুঝে গেছি
আমি তোমায় এক গুহায় তুহিনকন্যা,
আমার স্পর্শে পেয়ে গেছি
হিমাদ্রি বরফমুক্ত না হলেও,
তোমার দেহ থেকে বরফ পড়ছে ঝড়ে ঝড়ে
বেরিয়ে পড়ছে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম সমস্ত কারুকার্য কায়িক
আজ আর নয় ওগুলো এজয়িক
সবই আজ বেরিয়ে পড়ে
এতদিন তোমায় দেখে এসেছি পাখির চোখ মেনে
আর তুমি দেখলে শুধু পাখির চোখেরই দৃষ্টি হেনে!
এ গুহায় তোমার স্ফিংক্স-মূর্তি দেখতে চাই না
বাইরে শুনতে পাই বরফ ঝরার ঝুরুঝুরু
ফোনোগ্রাম
আঙুলের মাঝে তোমার শিমূল-কেশে মাখানো
সুগন্ধি পমেটাম
নয়ন-দোয়াবে চুম্বনের টাটকা প্রতীক
পাশে নয়ানজুলি---প্রেম প্রোটপ্লাজম
পূর্ণ করেছে ঠিক।
এক কানে সুপ্রাচীন আধ্যাতিকতার "ক্লীং"
আর এক কানে হাল-প্রযুক্তির "ক্লিক"
শুনে শুনে মনে কি ভীষণ বিষমমেল!
তোমার চারদিকে বরফ পাহাড়ের কর্ডন
সীমান্তে আমাকে আটক করেছে ইস্রায়েল
তোমার সাথে আমার মনের আবাদ জর্ডন
মাঝে এক মরু-সাগর থাকুক
তবু তার পাড়ে মন যেন কেমন আধাশঙ্কিত লাজুক।
ভেড়াতে পারি না----
আপন জলাধারে আমার টলমল আর্মাডা
নাচছে নাচুক।
কি বিস্ময়কর শুনতে লাগে---
প্রেম নন-স্টিকি!
আঁধার-গুহায় আঠালো মৃত্যুর প্রতীক্ষায়
মন-কৈশিকী।
আঁধার-গুহাতেই তবু থাকতে চাই
এ বরফ-পাহাড়-কুলুঙ্গিতে দেখতে চাই
তোমাতে আমাতে মূর্ত, খোদাই।
বাইরে দেখি রাতের ড্রপসিন
আমি তোমার অঙ্কলীন।
সিনট্যাক্স-হীন ক্ষণিক শীৎকারের
মাঝে নেই রুপকথার ট্যাক্স----
এভাবেই আরোগ্য-রজনী যাপন করি আমরা
আকাশের চাঁদ যেখানে
শুধুমাত্র "সিনে-ক্যামেরা"।