অবুঝ বয়স মাত্র সাত,
যখন পড়ুয়া আমি দ্বিতীয় শ্রেণির,
বুঝিনি তো সাহিত্য কী?
তবু পড়েছি বাঁধা সাহিত্য বেণীর।


শ্রেণিকক্ষ দেয়ালে ছিল
অঙ্কিত রবি নজরুলের আনমনা চিত্র,
বুঝিনি কেন চিত্রিত তাঁরা!
শুধু মনে হয়েছিল যেন আমারই মিত্র।


কেন যেন ভেবেছিলাম
বোধহয় ওঁদের মতোই দিনেক হব চিত্রিত,
কেন হব? তাও জানি না!
শুধু জানি, আমি ওঁদেরই কোনো উদ্ধৃত।


ওঁরা দিয়েছিল আমাকে
নিঃশব্দে সাধনার বিশদ বাণীর মহা ইঙ্গিত,
দিয়েছিল শিল্পের অনুপ্রেরণা,
আমার অনুপ্রেরণায় শুধু ওঁদের চিত্রই ভীত।


আমি ওদের সাথে কারচুপি
কত বলেছি নির্বাকে হৃদয়ের না বলা কথা!
আমায় শিখিয়েছে ওঁরা ছন্দ,
শিখিয়েছে কাব্য, বুঝিয়েছে সাহিত্যের মর্মতা।


সেই থেকে ভাবতে-ভাবতে
আমি ওদের চিত্রের মতো হতাম আনমোনা;
হতে থাকি সাহিত্যের অনুরাগী,
মস্তিষ্কে ভীড় করে লেখালেখির আনাগোনা।


ওঁদের তরেই আমার মতো
এই আমিকে ধীরে ধীরে করি আবিষ্কার;
তখন থেকেই কলম খাতায়
শুরু একটু-আধটু লেখার অবুঝ প্রচেষ্টার।


সময়ের ক্রমান্বয়ে দিন-দিন
সাধনায় অর্জন করছি কিছুটা পরিপক্কতা,
জানি না ওঁদের মতো আমি
কতটুকু পারব অর্জিতে জ্ঞান আর দক্ষতা।


তবু এতটুকু জানি আমি,
পেরেছি মানবতাকে উপলব্ধিতে এই জ্ঞানে;
পেয়েছি আত্মার সকাশ,
পেয়েছি সৃষ্টিকুল আমার এই গৌণ ধ্যানে।


আপন করেছি কবিতাকে,
জানি না আমি হয়েছি কি না কোনো কবি;
সাহিত্যের প্রতি তীব্র দরদ,
আমার এই অনুপ্রেরণায় নজরুল আর রবি।



॥ ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, আপনালয়, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ॥