হয়ত ভালোবাস, নয়ত মারো গলা টিপে,
কিন্তু অবহেলা দিও না দোহাই তব সমীপে;
যদি অবহেলা পেতে-পেতে দেখি মৃত্যু-দ্বার,
তবে তুমি মাটি লয়ে এস না কিন্তু খবরদার।

হয়ত তোমার গন্ধে জীবিত হয়ে যাব ফের,
কাছে পেয়ে ভালোবাসার দাবি করব ঢের;
তুমি হয়ত আবার মুখ গোমড়া করে যাবে,
বলো তোমার গোমড়া মুখ কেমন দেখাবে!

হয়ত ভালোবাস, নয়ত বহু দূরে যাও চলে,
যেখানে চাইলেই যাব না আর খুঁজতে হলে;
যেন ভুলে যাই তুমি নামক কেউ ছিল মম,
যেন একাই আমি মহাবিশ্বে ঐ চাঁদের সম।

বাঁচতে শিখে যাব চাঁদের মতোই একাকী,
কলঙ্ক যত দেবো গায়ের পৃষ্ঠে মোর রাখি;
তবু ভালোবাসা চাই না যদি অবহেলা রয়,
অবহেলার চেয়ে যেন মৃত্যুই বড় প্রেমময়।

যদি দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় কভু মোর,
যদি তীব্র যন্ত্রণায় দুই নয়নে দেখি ঘোর;
তবে অবহেলার হিসাব-খাতা খুঁজে নেব,
সেদিন সব হিসাব দ্বিগুণ ফিরিয়ে দেবো।

মনে রেখ মাজলুমের ক্রোধ ফাটলে ভবে,
নিধন হয়ে যায় যত রাজা-মহারাজা সবে;
আমি নিপীড়িত তব একচেটিয়া আঘাতে,
যেদিন ছুটবে ক্রোধ মিশে যাবে ভূ-সাথে।

তাই আঘাত দিও নাকো আর এই প্রাণে,
হয়ত তুমি ভালোবাস, নয়ত মারো জানে;
তবু অবহেলা দিও না তব দোহাই লাগে,
শুধু একবার ভালোবেস মরণের আগে।


রচিত: ২৯ আগস্ট ২০২৩; মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭